বাঙালী বলতে সাধারণভাবে বোঝায় বাংলাভাষী ও বাংলার মুল্লুকে জন্ম গ্রহণ করার যোগ্যতা। এখানে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সব থাকতে পারে। তাদের ব্যক্তি ধর্ম থাকবে, স্বজাতীয় আচার আচরণ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন ধরুন, রবীন্দ্রনাথকে বাঙালী কবি বলা হয়, তার কিন্তু নিজস্ব ধর্মীয় আবারণ ছিল। পোষাকে সর্বদা থাকত ধূতি।
তবে ধূতি কিন্তু বাঙালী পোষাক নয়, ধর্মীয় পোষাক। ধূতি পড়লে রবীন্দ্রনাথের বাঙালীত্ব বাদ যাবে এমন কথা কেউ বলেনি।
আবার ধরুন কলকাতার সোনগাছির বেশ্যাপল্লীর মেয়েরাও বাঙালী হতে পারে। পুরুষের কাছে নিজের সতিত্ব বিক্রি করায় তার বাঙালীত্ব বাদ যাবে এমনটাও বলা যায় না।
আবার ধরুন মিতা হক কপালে বড় টিপ পড়ে।
(কপালে টিপ পড়া বেশ্যাদের লক্ষণ, ইতিহাস) এখন যদি কেউ কপালে টিপ না পড়ে তবে কি তাকে মিতা অবাঙালী বলতে পারবে, পারবে না। কারণ এটা মিতার ব্যক্তিগত ব্যাপার বা চারিত্রিক ব্যাপার। কেউ টিপ না পড়েও বাঙালী হতে পারে।
এখানে মিতার কাছে আমার প্রশ্ন, কপালে বেশ্যার চিহ্ন দিয়ে, ছায়ানটি হয়ে, সোনগাছির মেয়েদের মত হলেই কি কেবল বাঙালী হওয়া যায়? গ-মূর্খটা কি জানে বাঙালীর সংজ্ঞা কি? আর তাকে প্রকাশ্যে বাঙালীত্বে সংজ্ঞা প্রদান করা ক্ষমতা কে দিয়েছে? সে কি দেশের জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ মুসলিম মেয়েকে অপমান করেনি, তাদেরকে ছায়ানটি বেশ্যার বেশ ধারণ করতে বলেনি। বাঙালী নারীদের প্রকাশ্যে চরম অপমান করার জন্য এই ছায়ানটির প্রকাশ্যে বিচার চাই।
বিচার চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।