আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
সবচেয়ে খারাপ লাগে এইযে এত গুলো ঘটনা ঘটে সেটা নিয়ে এদের কোন বক্তব্যই নেই! আর পত্রিকা গুলোও কোন ফলোআপ করেনা. .
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ধর্ষণে আমেরিকা, কানাডা, এবং ইউরোপ তথা উন্নত (যেখানে লিঙ্গ বৈশম্য নাই!!) দেশগুলো এগিয়ে। ২৫ নং সিরিয়াল পর্যন্ত কোন মুসলিম (যেখানে লিঙ্গ বৈশম্য আছে) দেশ নাই। ক্রমানুসারে প্রথম মুসলিম দেশ, ইন্দোনেশিয়া, আসে ২৬ নম্বরে। অবশ্য এই চার্ট এক্সাক্ট হিসেব দেয় না, কারণ, এটা কোন গড় হিসেব নয়।
এই চার্টটি করা হয়েছে সর্বমোট কতজন ধর্ষিতা হয়। উপাত্যে আমরা দেখতে পাই যে, ধর্ষণের হার (প্রতি এক হাজারে) সবচেয়ে বেশি সাউথ আফ্রিকায়। এ দেশটি ভালই উন্নত এবং শিক্ষিত, বর্ণ-বৈশম্য লোপ পেয়েছে, লিঙ্গ-বৈশম্য নেই বললেই চলে। তারপর সিসিলি>অস্ট্রেলিয়া>কানাডা। এই হিসেবে (অর্থাৎ, ধর্ষণের হার (প্রতি এক হাজারে)) ৩৭ নং পর্যন্ত কোন মুসলিম দেশ নাই, ৩৮ নম্বরে আসে মালয়েশিয়া ।
এইসব বেহায়া মেয়েরা ????করণীয়
পেট দেখায়া যদি কোন মেয়ে শাড়ি পইড়া ঘুইরা বেড়ায় তার পেটে paint করতে হবে, সিরিয়াল বন্ধ করতে হবে ,বিবাহিত লোকদের ছুটি ৩ দিন করতে পারে যাতে তারা গার্ল ফ্রেন্ড ছাড়াও বউ কে সময় দিতে পারে। (সবার জন্য প্রযোজ্য নয়),
শখ ,শাকিরা, শারিকা, তিশমা ,প্রভা,মিম ...... এদের Sobre করে হবে, মিলাকে দেশছাড়া করতে হবে,ফুয়াদ কে কান ধরে দাঁড় করে রাখতে হবে, মেয়েদের শালীন পোশাক পড়তে হবে , ১৮ বছরের আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে,লুইচ্চা ফ্যাশান ডিজাইনারদের গণ ধোলাই দিতে হবে ,
সকল জায়গায় কো এডুকেশন চালু করতে হবে, বাবা মার দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে ,পর্ন গ্রাফির শাস্থি মৃত্যুদন্ড করতে হবে ,গ্রামাঞ্চলে ছেলে মেয়েদের মানষিক দুরত্ব ঘোচাতে হবে ,ডিজে পার্টি , late night party বন্ধ করতে হবে ,প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষকদের মেয়েদের প্রতি পারশিয়ালিটি বন্ধ করতে হবে ,পর্নো সাইগুলো ব্যান করতে হবে ।
হিন্দি সিনেমার ধাঁচে পোশাক পরা মেয়ে আমরা সবাই দেখেছি। ঢাকার রাস্তায় বের হলেতো কথাই নেই। এখন এ ধরনের পোশাক মফস্বলেও চলে গেছে।
আর এইসব পোশাক, বখাটেদেরকে মেয়েদের শরীরের গঠন সম্পর্কে পরিচিত করে তোলে। এবং তারা মেয়েদেরকে কামনার চোখে দেখতে শুরু করে- সম্মানের চোখে নয়। আর এ কুদৃষ্টি বোরখা বা শালীন পোশাক পরা মেয়েরাও রক্ষা পায় না। বখাটেপনা যারা করে তারা পোশাকের অভ্যন্তরে মেয়েদের দেহকেই কল্পনা করে। আর মেয়েদের দেহের গঠন সম্পর্কে এদের পরিচিত করেছে এইসব বেহায়া মেয়েরা, হিন্দি সিনেমা ও গান এবং বর্তমান কালের বাংলা সিনেমাও বটে।
যারা পোষাক দেখেই মেয়েদের কামনা করে তাদের পারিবারিক রুচি, শিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠাটা স্বাভাবিক। রাস্তায় টাকা ভর্তি মানিব্যাগ কুড়িয়ে পেয়েই যদি আত্মসাত কেউ করে তার সততা, শিক্ষা নিয়ে যেমন প্রশ্ন করা যায় - তেমনি পোষাক দেখে কিংবা কল্পনায় ভারতীয় নায়িকার অবয়ব কল্পনা করে যে সব কুলাঙ্গার ইভটিজিং / নারী নির্যাতন করে এবং তাদের সব সাপোর্টারের রুচি, শিক্ষা আর ওচিত্তবোধ নিয়ে প্রশ্ন করা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।