আহমেদ সাদমানের ব্লগ। বাঙালিদের মধ্যে লেটেস্ট ভারসন।
ইংরেজি হল একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। আমরা দৈনন্দিন জীবনে দু’একটা ইংরেজি বলেই থাকি। অনেকে আবার একে বাংলা ভাষার চেয়ে অধিক গুরুত্ব দেন।
সে যাই হোক, কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে জীবনের নানা পর্যায়ে ইংরেজি নামক অধ্যায়ের কিন্তু গুরুত্ব অপরিসীম। আজকাল ভাল ভাল চাকরির জন্য ইংরেজিতে চটপটা হওয়া অপরিহার্য। কিন্তু আমরা কজনই বা পারি সাবলীল ভাবে ইংলিশ বলতে?
শুনে অবাক এবং বিস্মিত হই যে, যখন জানতে পারি, ইন্ডিয়ার বিভিন্ন জায়গার রিকশাচালক এবং ট্যাক্সি ড্রাইভার পর্যটকদের সাথে সহজেই ইংলিশ ভাষায় ভাব আদান-প্রদান করতে পারে, তারা কিন্তু উচ্চ গ্রামার জানে না। কিন্তু এটি আমাদের দেশে কল্পনা করা সম্ভব নয়, যেখানে রিকশা-আলারা একে অন্যকে গালি দিতে ব্যস্ত। সুতরাং বলা যায়, ইংলিশ শেখার জন্য পরিবেশের প্রয়োজন।
একটি ভাষা শেখার জন্য চারটি বিষয় প্রয়োজন:
১। শোনা
২। বলা
৩। পড়া
৪। লেখা
আমরা বাংলার ক্ষেত্রে ৪টা জিনিসেরই চর্চা করি ঠিকই, কিন্তু ইংলিশের ক্ষেত্রে আমরা ২ ধাপ এগিয়ে (পিছিয়ে)।
অর্থাৎ, আমরা ১ ও ২ নং বাদ দিয়ে সরাসরি পরের টাতে চলে যাই। আমি কাগজে লিখে দিতে পারি যে, এভাবে চলতে থাকলে একজন মানুষের পক্ষে ইংরেজি শেখা সম্ভব নয়। আমরা বাড়ির কারও মুখে কখনও ইংলিশ বলতে দেখি না, নিজে বলা তো দূরের কথা। যদি ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের চর্চা করানো যায়, অর্থাৎ ইংলিশ বলার মত পরিবেশ তৈরি করা যায়, তাহলে বড় হলে দেখা যাবে আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার মতই ইংরেজি বলতে পারছি। আমরা কখনো বাইরে ইংলিশ বলতে চাই না, এর কারণ, বন্ধুরা বলবে, ‘এ, বেশি পণ্ডিত হইছে’, বলুক না, আপনার কি বয়ে গেল।
আচ্ছা, আপনি এটা করতে চান না। তাহলে আপনার এমন এক বন্ধু বা আপন মানুষকে বেছে নিন, যে আপনার সাথে পুরোপুরি একটি নির্দিষ্ট সময় ইংলিশে কথা বলবে। আপনিও তার সাথে ভুল-ঠিক যা পারেন ইংলিশ বলবেন। এতে আপনার ইংলিশ শেখার মূল সার্থকতা ফুটে উঠবে। চার তলা একটি বাড়িতে আপনাকে যদি ১ম ও ২য় তলা টাচ না করে ৪র্থ তলায় উঠতে বলা হয়, আপনি কি পারবেন? না।
ঠিক সেইরকম, বলা ও লেখা ছাড়া ইংলিশ শেখা সম্ভব নয়।
বাচ্চারা বড় হলে আমরা তাদেরকে ইংলিশ লেখা লিখতে ও এলফাবেট লেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, রিডিং পড়াতে ব্যস্ত হই। কিন্তু কখনো কি একবার চোখ খুলে দেখেছেন, তার রিডিং এবং স্পিকিং কেমন? তার মানে আমরা শুধু ইংলিশ শিখি পরীক্ষা পাসের জন্য, ভবিষ্যতে বড় কিছু হওয়ার জন্য নয়।
জীবনে বর্তমান পর্যায়ে উন্নতি লাভ করতে হলে এবং ভাল চাকরি পেতে হলে ইংরেজির কোন বিকল্প নেই। আপনাকে ইংলিশ ভাল জানলে খুব সহজেই পার পেয়ে যাবেন।
যারা ইংলিশ পারেন না, দুখ কইরেন না। সাধনার দ্বারা সবকিছু হয়। এজন্য শুধু মোটা গ্রামার বই না পড়ে, প্রতিদিনের জীবনে একটু-আধটু ইংলিশ বলতে চেষ্টা করুন, ভয় নাই, এতে ভুল হলে আপনার মান-মর্যাদা যাবে না (যেহেতু দেশের ৫০% লোক সঠিকভাবে ইংরেজি বলতে পারে না, একেবারে সত্যি)। এভাবে ইংরেজি বলার পরিবেশ তৈরি করতে পারলে দেখবেন, আপনার সাফল্যের দিন এসে গেছে। যাকে আপনি আগে যম মনে করতেন, তা এখন আপনার পথ চলার সঙ্গী।
গর্ব নয়, সত্যি বলতে কি, ইং ১ম পত্র কি জানি না, তবে ইং ২য় পত্রে আমি কখনো সর্বোচ্চ নম্ববরের নিচে পাইনি, এর কারণ আমি পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম। ভালভাবে এই মূল্যবান ভাষা রপ্ত করতে উক্ত কথার বিকল্প নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।