যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.
পহেলা নভেম্বর থেকে যে নতুন ট্রাফিক আইন চালু হয়েছে সেখানে আছে গাড়ির চালক কে সিট বেল্ট বেধে রাখতে এবং মোবাইল এ কথা না বলতে। আর এদিকে মোটরবাইক চালানোর সময় অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার বাধতামূলক। ট্রাফিক বিভাগকে এটা দেখার দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বেশ শক্ত আইন। আর এ আইন অমান্য কারীকে জরিমানা নয়ত জেল নয়ত ২ টাই ভোগ করতে হবে।
প্রথম দিন অনেক আইন অমান্যকারী কে ধরা হলেও পরে শুনেছি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এটা আসলেই একটা অবাক করা ব্যপার। আসলে পুলিশ বাহিনী কে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করেই তারপর এমন বড় কোন অভিযান এর জন্য নামাতে হয়। কোন কিছুর জন্য আগে থেকে প্ল্যান করা, প্রস্তুতি নেয়া, জনবল বাড়ানো এসব অনেক জরুরি।
এদেশে একটা কথা প্রচলিত আছে ।
তা হল - আইন করাই হয় তা ভাঙ্গার জন্য। এটা একটা সাধারণ কথে হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে আছে অনেক কথা। যা একটা দেশের জন্য কখনই মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। বরং এভাবে চলতে থাকলে আইন শৃংখলা চরম অবনতির দিকে চলে যায়। আর তার নজির এখন এই দেশে আছে অনেক।
মুলত অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে সরকার এত আইন করে কিন্তু তা মানা হয় না কেন? আমি মনে করি শুধু সরকার কে দোষ দিয়ে কোন লাভ হবে না। এতে যে আমাদের এও দোষ আছে তা কিন্তু আমরা বুঝেও মেনে নিতে পারি না। আইন এর প্রতি যদি দেশের মানুষ শ্রদ্ধাশীল হত তাহলে দেশ এ আজ তেমন কোন অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হত না। কিন্তু হায়!! যুগ যুগ ধরে সেই প্রথা চলে এসেছেট। আর তাকে বদলানোর সুযোগ থাকলেও আমরা তা করি না।
দেখা যায়, রাত যখন বাড়তে থাকে তখন রাস্তায় যানবাহন এর সংখ্যা কমলেও অনেকে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হন। আবার ট্রাক গুলো রাত থেকেই চলতে থাকে। সেই সময় সিগনাল পড়লেও তার তোয়াক্কা কেউ করে না। যে যার ইচ্ছা মত গাড়ি চালাতে থাকেন। হাইওয়ে রোড হলে তো এটা খুব বেশি হয় আরো।
আর এতে দুর্ঘটনা সহসাই ঘটতে থাকে। এমনকি ফুট ওভারব্রিজ থাকতেও আমরা দৌড়িয়ে রাস্তা পার হই সবসময়। আর এ কারণেই দুর্ঘটনা আমাদের নিত্ত সঙ্গি হয়ে আছে সবসময়।
আপনারা জেনে অবাক হবেন যে ভারতে রাত ১২ টায় যদি কোন গাড়ি চলতে দেখা যায় তখনও তারা ট্রাফিক সিগানাল মান্য করে চলেন। রাস্তায় সবুজ বাতি পেলেই তারা চলতে থাকেন আর লাল বাতি পেলে তারা থেমে যান।
আশেপাশে কোন গাড়ি থাকুক আর না থাকুক। রাস্তা খালি থাকলেও। ভাবতেও অবাক লাগে তাদের এই আইন এর সম্মান দেখানোতে। কিন্তু আমরা এর ঠিক বিপরীত অবস্থানে আছি।
এর জন্য দায়ী আসলে আমরাই।
আমাদের আইন প্রতি সম্মান দেখানোটা দ্বায়িত্ব এর পর্যায় পরে। কিন্তু সেটা খুব কমই দেখা যায়। মুখ চোখ বাকিয়ে অনেকে কে বলতে শোনা যায় ধুর কিসের আইন ফাইন। এসব কিছু না। পুলিশ কে কিছু মালপানি দিলেই সব ঠিক।
আর কিছু লাগবে না !!! এ দেশে আইন বলে কিছু নাই।
আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনি যদি তাদের কাজটাকে গুরুত্ব এর সাথে বিবেচনা করত তাহলে এমনটি ঘটত না। মুলুত তাদের আইন এর প্রতি সম্মান না থাকা, উদাসিনতা, অজ্ঞতা, দক্ষ লোকাবল ইত্তাদি অনেকাংশে দায়ী বলে আমার মনে হয়। আর তার সাথে আমাদের আছে উদাসিনতা আর অসম্মান করা দেশের আইনকে।
আসুন, আইন এর প্রতি সকলেই শ্রদ্ধাশীল হই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।