পাশ্চাত্যের বামপন্থীদের মধ্যে আন্তোনিও গ্রামসি এখন নিঃসন্দেহে একজন উল্লেখযোগ্য মার্কসবাদী চিন্তাবিদ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু গত শতকের ষাট দশকের আগে ইতালির বাইরে গ্রামসি খুব একজন পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন না এবং ইতালিতেও গ্রামসি সম্বন্ধে অন্যদের ধারণা ইতালির কমিউনিস্ট পার্টি এবং তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধু, সহযোদ্ধা ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী পালমিতো তোগলিয়াত্তির কাছ থেকেই এসেছিল। ইতালির কমিউনিস্ট পার্টি গ্রামসিকে একজন বিশ্বস্ত লেনিনবাদী মনে করতেন- তিনি একজন আত্মত্যাগী কর্মী ছিলেন এবং কখনো দলের ঘোষিত নীতি থেকে বিচ্যুত হন নি।
কিন্তু গ্রামসির লেখা প্রকাশের পরিমাণ যত বেড়েছে সেই পরিমাণেই তাঁর সম্বন্ধে এই আদর্শায়িত, একমাত্রিক ধারণায় সংকট দেখা দিয়েছে। ১৯৫৭ সালে তোগলিয়াত্তি নিজেই ইতালির কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় "The Present Relevance of Gramsci’s Theory and Practice” এই শিরোনামের লেখাটি Reniscita-তে প্রকাশনা উপলক্ষে এক বক্তৃতায় গ্রামসি সম্পর্কে এক নতুন বিতর্কের সূচনা করেন।
উল্লেখিত নিবন্ধে গ্রামসিকে চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে তাঁর চিন্তার অনন্যতাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন মার্কসীয় ধারার মধ্যে গ্রামসিকে নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়। ইতালির কমিউনিস্ট পার্টি, ক্রোচে এবং তাঁর অনুসারীরা, ট্রটস্কীপন্থী ও বিভিন্ন মাওবাদীরা আজো গ্রামসিকে দলভুক্ত করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও বাংলাদেশের মার্কসবাদী ধারায় গ্রামসি এখনো অপরিচিত। সেটা অবশ্য এখানকার মার্কসবাদী সংগঠনগুলোর জন্য দুশ্চিন্তার চাইতে স্বস্তির কারণও হতে পারে।
...
লিখেছেন আহমেদ কামাল।
পুরো লেখাটি পড়তে ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।