আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সব যুদ্ধেরই কিছু রণকৌশল থাকে। মিত্রেরও থাকে, শত্রুরও থাকে।

শূন্য মানব , যে মুসলিম হিসাবে গর্বিত । যে সত্য বলতে পিছপা হয় না । যে ধর্মভিত্তিক মানবতায় বিশ্বাসী । যে কুরআন ভিত্তিক শাসনে বিশ্বাসী । এর মানে এই নয় যে আমি ধর্মব্যবসায়ীদের পক্ষে ।

কারন, এরাই ইসলামের বড় শত্রু । সব যুদ্ধেরই কিছু রণকৌশল থাকে। মিত্রেরও থাকে, শত্রুরও থাকে। যুদ্ধে তারই জয়ের সম্ভাবনা থাকে, যে প্রতিপক্ষের রণকৌশল আগে-ভাগেই যৌক্তিক পর্যালোচনার মাধ্যমে জেনে যায় এবং সে মোতাবেক রনাঙ্গন পরিচালনা করে। প্রজন্ম চত্বরের তরুনেরা যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, তাতে পর্যুদস্ত প্রতিপক্ষ জামাত এবং তাদের বি-টিম বিএনপি।

প্রতি-আক্রমন এবং সম্ভবত শেষ আক্রমনের কৌশল তারা এরই মধ্যে নির্ধারন করেছে । তারা তারুন্যের এই আন্দোলনকে 'আস্তিকের বিরুদ্ধে নাস্তিকের' অর্থাৎ 'ইসলামের বিরুদ্ধে কাফেরদের' আক্রমন হিসেবেই প্রচারনা এবং প্রপাগান্ডা করছে। আর এই প্রচারনার কাজে ব্যবহার করছে দেশের বিভিন্ন ফ্রন্টকে। যেমন, হা-হাভাতে কিছু বুদ্ধিজীবী, মিডিয়া, ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট, তৃনমূলে পোষ্টারিং ও লিফলেটিং। সর্বোপরি মাইক এবং ছাতা হিসেবে ব্যবহার করছে বি-টিম বিএনপির চিহ্নিত কিছু পাকি-প্রেমীকে।

অতএব, উন্মাদনায় গা ভাসালে চলবে না। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষকের দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হবে এবং পর্যালোচনা করে সে মোতাবেক পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রজন্ম চত্বর এরই মধ্যে হা-হাভাতে বুদ্ধিজীবীদের মধ্যরাতের অশ্ব থেকে নামিয়ে পালাতে বাধ্য করেছে। মিডিয়াকেও কিছুটা পিঠটান দিতে বাধ্য করেছে। এদুটোই পজেটিভ।

এছাড়াও যদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ ট্রাইবুনাল করবে আইনের মাধ্যমে। এব্যাপারে প্রজন্ম চত্বর কিছুটা রিলাক্স থাকতে পারে বলে আমি মনে করি। এখন কাজ একটাই "জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা এবং এর দোসরদের প্রতিহত করা। " উন্মাদনায় গা ভাসালে চলবে না। বিষয়গুলো গভীর পর্যবেক্ষন করতে হবে এবং পর্যালোচনা করে সে মোতাবেক পদক্ষেপ নিতে হবে।

শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে প্রথম দিন থেকে অদ্যাবধী বাংলার আপামর জনসাধারনের স্বতঃস্ফূর্ত একাত্বতা প্রকাশের ঢল নামতে দেখেছি। অদ্যাবধি যা দেখিনি তাহলো, এই স্বতঃস্ফুর্ত একাত্বতায় মহাজোট সরকারপন্থী বা জামাত বিরোধী কোন ইসলামী দলকে চত্বরে আসতে। অথচ এই ধরনের একাধিক দলকে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে জামাতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখেছি অনেকবার। এছাড়াও দেখিনি বাংলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সরকারী, আধাসরকারী এবং বেসরকারী মাদ্রাসাগুলোর ছাত্রছাত্রীদের প্রজন্ম চত্বরের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করতে। কোথাও কিছু ভুল হয়ে যাচ্ছে কি? মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের বিচার চাইতে বায়তুল মোকাররমের খতিবের অসুবিধা কোথায়? বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অসুবিধা কোথায়? অন্যান্য ধর্মাবলম্বিদের বিভিন্ন সংগঠনকে দেখিনি কেন? আমার দৃষ্টি এবং পর্যালোচনায়, এই ব্যর্থতার দায় "প্রজন্ম চত্বর" এর নেতৃত্বের।

এব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। ---Collected ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।