বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে ইভ টিজিং সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এই সব অমানুষের বাচ্চারা এতোটাই বেপরোয়া যে এদের হাতে শিক্ষক এমনকি মা-ও প্রাণ দিয়েছেন । মিডিয়া অনেক বেশী উন্নত হবার কারণে দেশের বদনাম স্বদেশ ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে।
তাই ইভ টিজারদের প্রতিরোধে আর বিলম্ব করলে চলবে না। এমনিতেই অনেক বেশী দেরী হয়ে গেছে। তাই তাদেরকে প্রতিরোধের এখনই মোক্ষম সময়। আসুন, নরাধম ইভ টিজারদের প্রতিরোধের ১০ টি কার্যকর পদ্ধতি দেখি।
১-মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢালা পদ্ধতিঃ
প্রতিটি বালিকা স্কুল কিংবা কলেজের সামনে থেকে কম পক্ষে ৫ জন ইভ টিজার ধরে তাদের কানে ধরিয়ে পুরো এলাকা ঘুরাতে হবে।
সম্ভব হলে মাথা কামিয়ে ঘুল ঢেলে দেয়া যেতে পারে। মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে এই সব গুণধর পুত্র দেরকে তাদের ততোধিক গুণধর মা-বাবার কাছে সোপর্দ করতে হবে।
২- ইলেকট্রনিক মিডিয়া পদ্ধতিঃ
সরকারী ও বেসরকারী টিভিতে প্রাইম টাইম নিউজের একটা অংশ ইভ টিজার বখাটে ছোড়াদের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। এতে প্রতি দিনের জাতীয় পর্যায়ের ১০ জন ইভ টিজারের কানে ধরা ভিডিও চিত্র সহ তাদের কীর্তিকলাপ প্রচার করতে হবে। বলাই বাহুল্য এই সংবাদে গুণধরপুত্রদের সাথে তাদের ততোধিক গুণধর মা-বাবাকেও দেখানো হবে।
৩- সংবাদপত্র পদ্ধতিঃ
দেশের প্রতিটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার একটা অংশ ইভ টিজার বখাটে ছোড়াদের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। এতে প্রতি দিনের জাতীয় পর্যায়ের ১০ জন ইভ টিজারের কানে ধরা স্থিরচিত্র সহ তাদের কীর্তিকলাপ প্রচার করতে হবে। বলাই বাহুল্য এই সংবাদ চিত্রে গুণধরপুত্রদের সাথে তাদের ততোধিক গুণধর মা-বাবাকেও দেখানো হবে।
৪- আকর্ষণীয় পোস্টার পদ্ধতিঃ
প্রতিটি বালিকা স্কুল কিংবা কলেজের সামনে থেকে কম পক্ষে ৫ জন ইভ টিজার ধরে তাদের কানে ধরিয়ে সুন্দর কিছু ছবি তুলতে হবে । তারপর সেই ছবি দিয়ে কিছু সুন্দর পোস্টার বানিয়ে এলাকার সর্বত্র সেঁটে দিতে হবে।
বলাই বাহুল্য এই সংবাদে গুণধরপুত্রদের সাথে তাদের ততোধিক গুণধর মা-বাবার ছবিও থাকবে।
৫-স্যান্ডেলের মালা পদ্ধতিঃ
প্রতিটি বালিকা স্কুল কিংবা কলেজের সামনে থেকে কম পক্ষে ৫ জন ইভ টিজার ধরে তাদের গলায় মেয়েদের পুরাতন স্যান্ডেল দিয়ে মালা তৈরী করে তাদের গলায় পড়িয়ে এলাকায় মিছিল করানো হবে। উল্লেখ্য এই মিছিলে বখাটেরাই ইভ টিজিং বিরোধী সব ধরনের শ্লোগান দেবে। কেউ শ্লোগান দিতে না চাইলে তাদেরকে পদাঘাত, মুষ্ঠাঘাত সহ যত প্রকারের আঘাত প্রচলিত আছে তা তাদের উপর প্রয়োগ করতে হবে। বলাই বাহুল্য এই সব গুণধরপুত্রদের সাথে তাদের ততোধিক গুণধর মা-বাবাও এই মহা মিছিলে থাকবেন।
৬- কাক তাড়ুয়া পদ্ধতিঃ
প্রতিটি বালিকা স্কুল কিংবা কলেজের সামনে থেকে কম পক্ষে ৫ জন ইভ টিজার ধরে তাদেরকে এলাকার প্রধান সড়কের চৌরাস্তার মোড়ে কানে ধরিয়ে সারাদিন দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। তাদের বুকে এবং পিঠে থাকবে তাদের মহান কাজের ব্যানার। এলাকাবাসী তাদেরকে থু থু নিক্ষেপ করবে। কেউ প্রয়োজন মনে করলে চড় থাপড়ও মারতে পারেন। ইভ টিজারদেকে চড় থাপড় মারা প্রতিটি সুস্থ নাগরিকের গণতান্ত্রিক বৈধ অধিকার।
আপনার এই অধিকার প্রয়োগ করতে ভুল করবেন না।
৭- ডুব সাতার পদ্ধতিঃ
প্রতিটি বালিকা স্কুল কিংবা কলেজের সামনে থেকে কম পক্ষে ৫ জন ইভ টিজার ধরে তাদেরকে এলাকার প্রধান জলাশয় যেমন পুকুর কিংবা নদীতে নামতে হবে। পুকুর হলেই ভাল । পুকুরের চারপাশে থাকবে এলাকাবাসী। তারা সবাই মিলে এলাকাবাসী তাদেরকে ছোট ছোট ঢিল নিক্ষেপ করবে।
কেউ প্রয়োজন মনে করলে বড় ঢিল কিংবা পাটকেলও মারতে পারেন। গুণধর ইভ টিজাররা ডুব সাতার খেলে ঢিলের হাত থেকে আত্নরক্ষার চেষ্টা করবে। ইভ টিজারদেকে ঢিল-ইট-পাটখের মারা প্রতিটি সুস্থ নাগরিকের বৈধ গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনার এই অধিকার প্রয়োগ করতে ভুল করবেন না। ইভ টিজাররা ঢিল খেয়ে আর নাকানি চুবানি খেয়ে আধামরা না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
৮- ঝাড়ু পদ্ধতিঃ
প্রতিটি বালিকা স্কুল কিংবা কলেজের সামনে থেকে কম পক্ষে ৫ জন ইভ টিজার ধরে তাদেরকে বিশেষ পোশাক পড়ানো হবে। তারপর এলাকা বালিকা বিদ্যালয়টি ছুটি হয়ে গেলে তাদেরকে দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিটি রুম এবং প্রাঙ্গণ ঝাড়ু দেয়াতে হবে। বিদ্যালয় ঝাড়ু দেয়া শেষ হলে বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান সড়ক এক মাইল পর্যন্ত ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করানো হবে। এই সময় তাদের বুকে আর পিঠে থাকবে বিশেষ ব্যানার।
৯- গণধোলাই পদ্ধতিঃ
প্রতিটি বালিকা স্কুল কিংবা কলেজের সামনে থেকে কম পক্ষে ৫ জন ইভ টিজার ধরে তাদেরকে গণধোলাই দিতে হবে।
গণধোলাইয়ের সময় খুব বেশী সদয় হলে চলবে না। এই সময়ে তাদেরকে পদাঘাত, মুষ্ঠাঘাত সহ যত প্রকারের আঘাত প্রচলিত আছে তা তাদের উপর প্রয়োগ করতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে নরাধমগুলো যেন পটল তুলে পালিয়ে যেতে না পারে।
১০- জাতীয় পর্যায়ে দিগম্বর পদ্ধতি:
এটি হবে সর্বশেষ পদ্ধতি। জাতীয় পর্যায়ে সারা দেশ থেকে কম পক্ষে ১০০ জন বিশিষ্ট ইভ টিজারকে ধরে আনা হবে।
তারপর তাদেরকে ঢাকার ফার্মগেট কিংবা গুলিস্তানে এনে দিগম্বর (পুরো দিগম্বর না করে ৭৫% কিংবা ৮৫ % করা যেতে পারে। ) করে ছেড়ে দেয়া হবে। তাদের বুকে পিঠে সাদা রং দিয়ে “ইভ টিজার নিপাত যাক” কথাটি লেখা থাকবে। মাঝে মাঝে পুলিশ ইচ্ছে করলে মৃদু লাঠি চার্জ করতে পারে। কোন টিভি চ্যানেল চাইলে এই মিছিল সরাসরি সম্প্রচার করতে পারে।
মিছিল উপলক্ষে সংবাদপত্র গুলো প্রকাশ করতে পারে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
অনেক সুন্দর একটা দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। অনেক সুন্দর এই দেশের মানুষ। যেই দেশ এতো সুন্দর যেই দেশের মানুষ এতো সুন্দর সেই দেশে কেন ইভ টিজারের মতো বাজে মানুষ থাকবে। আসুন, ইভ টিজারদেরকে সুপথে আনার চেষ্টা করি।
ইভ টিজার নিপাত যাক । মুক্ত পরিবেশে আমাদের মেয়েরা, আমাদের বোনেরা, আমাদের মায়েরা হাসি মুখে পথ চলুক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।