শিকাগো সানটাইমস পত্রিকার জন্য তিনি সিনেমার রিভিউ লিখেছেন একটানা ৪৬ বছর, টেলিভিশনে সিনেমার অনুষ্ঠান করেছেন ৩১ বছর, প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিটিক জিন সিসকেল সাথে মিলে সিনেমাকে রেটিং করেছেন - থাম্বস ডাউন, থাম্বস আপ, টু থাম্বস আপ; বই লিখেছেন ২০টিরও বেশী, সিনেমার ক্রিটিক হিসেবে প্রথম জিতে নিয়েছেন পুলিৎজার পুরস্কার - তিনি বিশ্বখ্যাত ফিল্ম ক্রিটিক রজার এবার্ট। গতকাল ৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে শিকাগোর হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন - তার জীবন-ছবির শেষ ফ্রেম 'দি এন্ড' উঠে গেছে, আর কোন সিনেমার রিভিউ লিখবেন না রজার এবার্ট।
১৯৪২ সালের ১৮ই জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন রজার এবার্ট। লিখালিখির ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সায়েন্স পত্রিকায় মন্তব্য চিঠি লেখার মাধ্যমে, পরবর্তীতে তিনি সায়েন্স সংক্রান্ত আর্টিকেলও লিখেন। ১৯৬৬ সালে তিনি শিকাগো সান-টাইমস পত্রিকায় ফিচার লেখক হিসেবে যোগ দেন।
কিছুদিন পরে পত্রিকার নিয়মিত ফিল্ম ক্রিটিক চাকরী ছেড়ে চলে গেলে সম্পাদক রজার এবার্টকে ফিল্ম ক্রিটিসিজমের দায়িত্ব দেন। তখন ১৯৬৭ সাল। সেই শুরু, মৃত্যুতে শেষ হল।
এবার্ট সিনেমার রেটিং করতেন চার তারকার স্কেলে। চারটি তারকা মানে খুব ভালো ছবি, আর অর্ধেক তারকা মানে হল সবচে খারাপ ছবি।
"artistically inept" or "morally repugnant" ছবির জন্য তার পক্ষ থেকে কোন তারকা বরাদ্দ থাকতো না।
When you ask a friend if Hellboy is any good, you're not asking if it's any good compared to Mystic River, you're asking if it's any good compared to The Punisher. And my answer would be, on a scale of one to four, if Superman is four, then Hellboy is three and The Punisher is two. In the same way, if American Beauty gets four stars, then The United States of Leland clocks in at about two.
রজার এবার্ট চলে গেছেন। কিন্তু তার লেখাগুলো রয়ে গেছে। ১৯৬৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যে সিনেমাগুলোর রিভিউ লিখেছেন তিনি সেগুলো যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে, সিনেমার দর্শকরা কোন ছবির গভীরতায় ঢুকে যেতে পারবেন হয়তো রজার এবার্টের হাত ধরে।
শেষ করি রজার এবার্ট সম্পর্কে বলা দুটো বাক্য দিয়ে।
Roger Ebert loved movies.
Except for those he hated. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।