অন্তহীন পথচলা......
রাজধানীর রমনা কালী মন্দিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলের ছাত্রলীগের তিন হিন্দু কর্মী দুটি মূর্তি ভাংচুর করেছে । এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
আটকরা হলেন- অনিমেষ, গোবিন্দ ও প্রকাশ।
কালী মন্দিরের ফটকে দোকানের মালিকানা নিয়ে সংঘাতের জেড়ে এ ভাংচুর হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মিজানুর রহমান।
মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে ৪০-৫০ জনের একটি দল চাপাতি, রড, হকিস্টিক, ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে মন্দির এলাকার দোকান ভাংচুর শুরু করে।
মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক শ্যামল কুমার বলেন, এ সময় তারা মন্দিরে রামপ্রসাদ ও সারদা দেবীর মূর্তি ভাংচুর করে। এছাড়া ব্রাহ্মণের কক্ষেও ভাংচুর করে।
মিজানুর রহমান জানান, জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগ নেতা উৎপল সাহা গ্র”পের কর্মীরা এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরে পূজা উদযাপন কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর শহিদ জানিয়েছেন, ভাংচুরের পর রাতেই তিনজনকে আটক করা হয়।
ছাত্রলীগ নেতা পঙ্কজ অভিযোগ করেন, পূজা উদযাপন কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উৎপল গ্র”পের কর্মীরা মূর্তি ভাংচুর করেছে। তিনি ফটকের কাছে দু’টি দোকানের মালিকানার বিষয়টি স্বীকার করেন।
তবে ছাত্রলীগ নেতা উৎপল সাহা মূর্তি ভাঙার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “পঙ্কজের গ্র”প মূর্তি ভাংচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে--বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।