মত প্রকাশের মুক্ত মাধ্যম তৈরী হোক
সেই একই দৃশ্য......................
ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার দিনে ছাত্রলীগের মারামারি
ভর্তিচ্ছুদের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামরি করেছে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের দুই পক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত এবং হাজি মোহাম্মদ মুহসিন হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ মুহাম্মদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে শুক্রবার এ সংঘাত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
'খ' ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এদিন শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরের ৬৩টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের ৬৩ কেন্দ্রের এ ভর্তি পরীক্ষায় ২৮ হাজার ৪২২ জন অংশ নেন।
বেলা ১১টার দিকে ভর্তি পরীক্ষা যখন শেষ হয়, তখন কলা ভবন এবং ডাকসু ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে ছাত্রলীগকর্মীদের মারামারির কারণে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। দিগি�দিক ছুটাছুটি করতে দেখা যায় অনেককে।
কলাভবন কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী রিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ভর্তি পরীক্ষা দিতে এই প্রথম ক্যাম্পাসে এলাম। এসেই দেখতে হলো ছাত্ররা মারামারি করছে। "
ভর্তিচ্ছুদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকাল থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হতে থাকে।
এরই এক পর্যায়ে জহুরুল হক হল ও মুহসিন হলের একদল নেতা-কর্মী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুহসীন হলের ছাত্রলীগকর্মীরা মিছিল নিয়ে মধুর কেন্টিনে যাওয়ার সময় কলাভবনের সামনের রাস্তায় দাঁড়ানো জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগকর্মী বরকতের সঙ্গে মিছিলকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে মুহসিন হলের তুষারের নেতৃত্বে ১০/১২ জন মিলে বরকতকে বেধড়ক পেটায়।
পরে সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় মিছিল শেষ হওয়ার পর বরকতকে মারার প্রতিশোধ হিসেবে জহুরুল হলের ছাত্রলীগকর্মীরা কলাভবন ও ডাকসুর মধ্যবর্তী স্থানে তুষারকে বেদম মারধর করে।
তখন পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে হটিয়ে দেয়।
শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, "ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। "
তবে এরপর মুহসীন হলের ২০/২৫ জন কর্মী লোহার রড, হকিস্টিক নিয়ে মধুর কেন্টিনে এলে কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের হলের দিকে পাঠিয়ে দেয়।
মধুর ক্যান্টিন থেকে মুহসীন হলের ছাত্রলীগকর্মীরা জহুরুল হক হলের গেট সংলগ্ন রাউফুন বসুনিয়া চত্বরে গিয়ে জড়ো হলে সেখানে পুলিশ অবস্থান নেয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় মুহসীন হলের কর্মীরা হলে ফিরে যায়।
সংঘাতের জন্য জহুরুল হক হল ছাত্রলীগকে দায়ী করে মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলী বলেন, "রাহাতের কর্মীরা আমাদের জুনিয়র কর্মীদের পিটিয়েছে। "
তবে জহুরুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত দাবি করেন, সংঘর্ষে জড়িতরা ছাত্রলীগের কর্মী নয়। তিনি সংঘর্ষে জড়িতদের শাস্তি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৪তম জন্মদিনের 'আনন্দ মিছিলে' সামনের সারিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ঢাবি শাখার ছাত্রলীগ ও ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের নারী কর্মীদের হাতাহাতি হয়েছিলো। এর আগে বছরের শুরুতে এ এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মারা যায় আবু বকর নামে এক শিক্ষার্থী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।