আদিলকে গ্রেপ্তারের দুদিন পর সোমবার এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানিয়ে বলেন, সরকারের এ পদক্ষেপ জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলার পথ রুদ্ধ করে দেয়ার ইঙ্গিত দেয়।
হেফাজতবিরোধী মতিঝিল অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শনিবার রাতে গুলশানের বাড়ি থেকে আদিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চারদলীয় জোট সরকার আমলের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিম্ন আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠালেও সোমবার তা স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত।
বিবৃতিদাতারা বলেন, আদিলুর রহমান একজন মানবাধিকার কর্মী এবং তার গ্রেপ্তার সমালোচকদের প্রতি সরকারের ক্রমশ বাড়তে থাকা দমন নীতির প্রমাণ দেয়।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আরো রয়েছেন অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচারক মো. ইফতেখারুজ্জামান, মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, সঞ্জীব দ্রং, অধ্যাপক পিয়াস করিম, অধ্যাপক আমেনা মহসীন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, রেহনুমা আহমেদ, আলোকচিত্রী শহিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, শিরীন হক, ইলিরা দেওয়ান, উদিসা ইসলাম, ফস্টিনা পেরেইরা প্রমুখ।
অধিকার গত ৫ মে’র হেফাজতবিরোধী মতিঝিল অভিযানে ৬১ জন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সরকারের দাবি, ওই অভিযানে কেউ নিহত না হলেও অধিকারের প্রতিবেদনের ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।