আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জজ আদালতেও রনির জামিন নাকচ

মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আকতারুজ্জামান মঙ্গলবার শুনানি করে রনির আবেদন নাকচ করে দেন।   
আদালতে রনির পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী কবির হোসাইন। অন্যদিকে এ মামলার বাদি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউনুস আলীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আনিসুল হক।
জামিনের আবেদনে কবির হোসাইন বলেন, হাকিম আদালত এর আগে আত্মপক্ষ সমর্থণের সুযোগ না দিয়েই সাংসদ রনির জামিন বাতিল করে। জামিন বাতিলের আগে তাকে নিয়ম অনুযায়ী নোটিশও দেয়া হয়নি।

  
তাছাড়া রনির বিরুদ্ধে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের কর্মকর্তা ইউনুস আলীর দায়ের করা মামলা ও হুমকির অভিযোগে দায়ের করা সাধারণ ডায়রির তদন্ত একই পুলিশ করায় তদন্তের নিরপেক্ষতা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এই আইনজীবী।  
অন্যদিকে বাদির আইনজীবী আনিসুল হক বলেন, রনি একবার জামিন পেয়েও আইনে দেয়া সুযোগের অপব্যবহার করে বাদিকে হুমকি দিয়েছেন।
শুনানি শেষে বিচারক সাংসদ রনির জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।  
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুল গত ২০ জুলাই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের জন্য পল্টনে রনির কার্যালয়ে গিয়ে মারধরের শিকার হন। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সংসদ সদস্য রনি নিজেই প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপার্সনের ওপর চড়াও হয়ে লাথি মারছেন।


ঘটনার পর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ রনিকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এই মামলা করে। রনি পরদিন বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেও টেলিফোনে হুমকির অভিযোগে ইনডিপেন্ডেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি জিডি করার পর ২৫ জুলাই জামিন বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় আদালত।
এর দুই ঘণ্টার মাথায় গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে। মহানগর হাকিম এস এম আশিকুর রহমান শুনানি শেষে রনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠাতে বলেন।
হাকিম আদালতে জামিন না পেয়ে গত ২৮ জুলাই জজ আদালতের কাছে আবেদন করেন রনি।

কিন্তু সেখানেও জামিন না মেলায় আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে এই সাংসদকে।    
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মাওলা রনি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের নিগৃহীত করার অভিযোগ উঠেছে।
গ্রেপ্তার হওয়ার দিন এক বিবৃতিতে রনি বলেছিলেন, “ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণে বোঝা যায়, আমি মূলত পরিস্থিতির শিকার। এই ঘটনায় সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে অসংযত আচরণের দায় পুরোপুরি আমার।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।