আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মনির্ভরশীলতায় বুটিক হাউস

গতানুগতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরির আশায় বসে না থেকে ভিন্নধর্মী পেশা বা ব্যবসায় নিয়োজিত হলে খুব সহজেই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া যায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বুটিক হাউসের ব্যবসার চাহিদা ব্যাপক। ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে এ সেক্টরটি। তা ছাড়া তরুণ-তরুণীরা ফ্যাশনের প্রতি বেশি সচেতন হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে তাদের এই সচেতনতার ওপর নির্ভর করে দেশে গড়ে উঠছে অনেক ফ্যাশন হাউস, বুটিক হাউস, জরি হাউস ইত্যাদি।

দেশের ফ্যাশন বিপ্লবে তরুণদেরই জয়-জয়কার। রাজধানী পেরিয়ে ফ্যাশনের এই বিপ্লব ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রতিটি ছোট-বড় শহরে। ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম আর সৃজনশীল তরুণদের জন্য বুটিক হাউসের ব্যবসা হতে পারে কর্মসংস্থানের অন্যতম উপায়। বুটিক হাউসকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে যে কেউ হতে পারেন আত্দনির্ভরশীল ও মর্যাদাবান। সেই সঙ্গে বদলাতে পারেন নিজের ভাগ্য।

উন্নতির ছোঁয়া লাগতে পারে ক্যারিয়ারে। গতানুগতিক চাকরির আশায় না থেকে যদি নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে এরকম বুটিক হাউস গড়তে পারি তাহলে ভাগ্য বদলে যেতে পারে।

প্রাথমিক প্রস্তুতি : যে কোনো ব্যবসা শুরুর আগে দরকার প্রস্তুতি। সৃজনশীলতা, হাউস বা দোকানের অবস্থান, বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে আপনাকে এ ব্যবসায় নামতে হবে। ভালো হয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিজ্ঞতা শেয়ার করা।

এটি সহায়ক ভূমিকা রাখে।

পরিকল্পনা : কত টাকা লাগবে, কোথায় ব্যবসাটি লাভজনক হবে, কোন ধরনের পোশাক প্রস্তুত করবেন, কাপড় বা পোশাকে ব্যবহৃত পণ্যগুলো কোথায় পাওয়া যাবে ইত্যাদি জেনে এদের প্রয়োজনীয় ঠিকানা ও ফোন নম্বর জোগাড় করে তবেই বুটিক ব্যবসায় নামা উচিত। সবশেষে প্রয়োজনীয় অর্থ, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নিয়েই যে কোনো বুটিক ব্যবসায় নামা ভালো। কারণ সবার আগে মনের জোরই আসল।

যেভাবে শুরু করবেন : সৃজনশীল মানুষের জন্য বুটিক ব্যবসা হতে পারে একটি আদর্শ পেশা।

ছোটখাটো ব্লক বা বুটিকের জন্য প্রাথমিক পুঁজি ৫০-৬০ হাজার টাকার মতো লাগবে। দক্ষ ২-৩ জন কর্মচারী খুঁজে বের করতে হবে, যিনি মেশিনে কাপড় তৈরি ও সেলাই করবেন। এ ছাড়া ব্লক বুটিকের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন_ টেইলারিং মেশিন, কাঠের ডাইস, রং, বিভিন্ন রংয়ের সুতা, সুই ও সবশেষে কাপড় লাগবে। এসব পণ্য কেনা যাবে ঢাকার গাউছিয়া, চকবাজার, চাঁদনীচক, নিউমার্কেটের দোকানগুলোতে। পণ্য কেনার আগে একজন দক্ষ লোকের সহায়তা নিলে উপকৃত হবেন।

বুটিক হাউসে বিনিয়োগ নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানটি কোথায়, কী আকারে, কী ধরনের করবেন, কী ধরনের ক্রেতা আকর্ষণ করবেন তার ওপর।

বাজারজাতকরণ : দেশে এবং দেশের বাইরে বুটিক হাউসের নিজস্ব পোশাকের যথেষ্ট কদর রয়েছে। তবে সেটি নির্ভর করে পণ্যের ডিজাইন, কাপড়ের সেলাই, গুণগত মান, আধুনিকতা ও ভিন্নধর্মী উপস্থাপনার ওপর। ক্রেতাদের সন্তুষ্টি এবং ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেই পণ্যটি ভালো চলবে। শুরুতে আত্দীয়-স্বজন, প্রতিবেশী বা মহল্লার সবাইকে জানিয়ে ব্যবসাটি আরম্ভ করা ভালো।

এতে একটা নিজস্ব ক্রেতাগোষ্ঠী গড়ে উঠবে। কম মূল্যে একটি ভালো ও আধুনিক মানের পোশাক সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে এগুলেই দিন দিন সুনাম ও ব্যবসা বাড়বে।

যোগাযোগ : পোশাক তৈরি শেষে এগুলো বিক্রির

জন্য বড় বড় পাইকারি মার্কেট, চকবাজার বা নিউমার্কেটের অভিজাত দোকানগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন। নিজস্বতা প্রমাণ করে এসব প্রতিষ্ঠানে পাইকারি হারে পোশাক সরবরাহ করতে হবে। খরচ বাদে লাভের একটা অংশ নির্দিষ্ট করেই পোশাক

বাজারে ছাড়তে হবে।

প্রশিক্ষণ : বুটিক হাউস তৈরি বা এ ব্যবসা শুরু করার আগে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এসব প্রতিষ্ঠানে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কোর্স সম্পন্ন করে পা রাখতে পারেন এ সেক্টরে। বদলাতে পারেন আপনার ভাগ্য, গড়তে

পারেন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। সবচেয়ে বড় কথা হলো আত্দনির্ভরশীল হওয়া যায়।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.