আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

”নাবিলা”

তোমার অতীত,তোমার বর্তমান শেস হবে ভবিষ্যৎতে । ।

{"filesize_ok":true,"image_id":142624,"success":true} মুখ ভরা হাসি আর আনন্দ নিয়ে সব সময় আমাদের সাথে থাকতো নাম তার ”নাবিলা” । আমার বন্ধুদের মাঝে সেই ছিলও হাসি খুশি , হাসি ছারা যেনো সে কথাই বলতেই পারতো না । অল্পতেই সে খুব খুশি থাকতো ।

আমরা যখন স্যার এর বাসাতে পড়তে যেতাম নাবিলা স্যার বাসাতে আনন্দ আর মজা নিয়ে পড়া পড়তো..... পরীক্ষা শেষ স্যার এর বাসাতে আর যাওয়া হয় না । কোচিং এ যাদের সাথে পড়তাম প্রায় সবার সাথেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলো । পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবার পর স্যার এর বাসাতে দেখা করতে গেলাম সেখানে অনেকর সাথে দেখা হলোও , কয় এক জনের মোবাইল নম্বর নিলাম যোগাযোগ রাখার জন্য । আমার বরাবরি হাসিখুসি মানুষ দের ভাললাগতো , রাস্তায় চলার পথে যদি দেখতাম কেও মুখভরা হাসি নিয়ে কেও কথা বলছে বা হাসছে থেমে গিয়ে তা দেখতাম আর আরেকটা পাগলামি আমার মানুষ দেখতে ভাল লাগ তো সিলেটের চোহাট্টায় আমি প্রায় সময় বসে থাকতাম মানুষ দেখার জন্যও মিছিল হলে তো কথাই নাই যে মিছিল হক না কেন ঢুকে যেতাম তার ভিতর । আর সেই কারনে বুঝি নাবিলা কে মিস করতাম, হাসিভরা মুখ যেন আর দেখা হয় না নাবিলার মতো ।

কোচিং পড়া বন্ধুদের মাঝে উত্পি,তানজিনা,রাজু,শিমুল,জুবাই,নাদিম এদের সাথে যোগাযোগ ছিল এক দিন নাবিলা আমায় কল দিলো সেই হাসি ভরা মুখ যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম তার কথার মাঝে । সবার মতো তার সাথেও কথা চলতে থাকলো । আমি নাবিলাকে শয়তান বলে ডাকতাম কারন মোবাইলে যখন কথা বলতো শয়তানটা ফিসফিস করে কথা বলতো আমার সাথে । আমার শুধু মোবাইলে টাকাই নষ্ট হতো কিন্তু কথা বুঝতাম না প্রথম প্রথম আমি বলতাম “কিরে তুই কি খাটের নিচে বসে কথা বলছিস ” সে শুধু হাসতো । উত্পির কাছে যানতে পারি সে নাকি সবার সাথে এই ভাবে কথা বলে ।

সময়ের সাথে সাথে কথা বলার সময়টা পালটে রাতের বেলাতে কথা বলতে লাগলাম শয়তানটার সাথে এই সময়টা সে ঠিক ভাবে কথা বলতো । মাঝে মাঝে তার কথা শুনে আমি খুব অবাক হতাম রাতের ১২টা , ১টার সময় যখন কল করে বলতাম ”কিরে কি করিস ? সে বলতো “ কাজ করি । আমি হেসে বলি “এই রাতের বেলাতে কি করিস চুরি করিস নাকি ?? সে শুধু হাসতো । অনেক দিন ১২টার সময় বলতাম কিরে খেয়েছিস তুই ? বলতো এখনো খাইনি কিছু খন পরে খেতে বসবো আমি শুধু অবাক হতাম এতো রাতে না খেয়ে বসে আছে মেয়েটা কেন ? কিছু যানতে চাইলে শুধু হাসতো কিছু বলতো না তাই আমি কিছু যানতে চাইতাম না । একদিন নাবিলা কল করে আমার সাথে কথা বলতে লাগলো আমার কাছে কেন যানি মনে হতে লাগলো সে কানছে আমি কিছু না বুঝার ভান করে বললাম কিরে তোর কি মন খারাপ ? সে বলে আমার মন সব সময় খারাপ থাকে সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু হয় আর ঘুমানোর পর শেষ হয় ।

আমি কিছুই বুঝতে পারি না তারে বলি কি হযেছে বলতো ? কান্নার শব্দ শুনতে পাই । তোখন সে তার সব কথা আমায় বলতে থাকে----> সে ছোট বেলা থেকে বড় হয়েছে দাদির কাছে সে দাদিকেই বেশি ভাল বাসে মায়ের পায়ের নিচে সে তার জান্নাত চায় না সে তার দাদি কাছে বলে তুমি তোমার পায়ের নিচে একটু যায়গা দিয়ো কারণ ছোট বেলা থেকে মা-বাবার আদোর কি সে যানে না । এখনো সে যানে না । যা ভালবাসা পেয়েছে সব দাদির কাছ থেকে এখন সে দাদির কাছ থেকে অনেক দুরে আছে মা-বাবার কাছে হটাৎ সে আমায় প্রশ্ন করে তোকে কি এখনো মারে এই বয়েসে আমি বলি না তো কেন ? সে বলে আমাকে এখনো মারে দিনে মা মারে রাতে আবার বাবা মারে । তার কথা শুনে আমার চোখে পানি এসে যায় ।

আমি যে তাকে কি বলে শান্তনা দিবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না । আমায় আবার বলে আমি কবেই মরে যেতাম যানিস,মাঝে মাঝে একটু ভালবাসে সেটার জন্য বেচে আছি আমি কোন সময় বাবার কাছে কিছুই চাইনি পরার জন্যও দামি কোন জামাও চাইনি, চাইবার মাঝে খালি চেয়েছি বই,খাতা,কলম এই সব । আবার সে কান্না করতে থাকে আমি চুপ করে ছিলাম কারণ বলার মতো কোন ভাষা ছিল না আমার কাছে । সে যে কেন সব সময় হাসি নিয়ে ঘুরে বেরাতো এখন বুঝি অল্পতে সে কেন এতো আনন্দ পেতো । বাসা থেকে বের হতে পারলে যেন খুলা আকাসের মত হয়েতো সে , সেখানে শুধু আনন্দ থাকে ।

যা নিয়ে সে ঘরে ফিরতে চায় । কষ্টটা অনেক রকম তাই না

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।