আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবেরের নির্বাচনের ঘোষণা

তিনি নির্বাচন করবেন, এমন ইঙ্গিত ছিলই। সাবের হোসেন চৌধুরী আভাস দিয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্রের সংশোধনী আর আদালতের রায় বিপত্তি বাধায় মাঝখানে। সংশোধনী এবং বর্তমান অস্থায়ী কমিটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ ছিল বিসিবির সাবেক সভাপতির। ফলে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসতে পারেন বলে মনে হচ্ছিল একটা সময়।

বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্য এখনো আছে। তবে কাল সন্ধ্যায় পরিবাগে নিজের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি এবং নির্বাচনে জেতাটাই হবে বর্তমান কমিটির কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাঁর সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ।
বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান এবং সাবের হোসেন চৌধুরী দুজনই সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন নিয়ে এখন তাঁরা মুখোমুখি অবস্থানে। তবে ব্যাপারটিকে দলের জন্য ‘ক্ষতিকর’ হিসেবে দেখতে চান না বিসিবির সাবেক সভাপতি। বরং প্রধানমন্ত্রীও বিসিবির সভাপতি পদে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চান বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

একই সঙ্গে জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে তাঁর। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সময় নাজমুল হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
নাজমুল হাসানের নেতৃত্বাধীন এই অস্থায়ী কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তিন মাসের মধ্যে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের। সেই তিন মাস পেরিয়ে নয় মাসে গড়িয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ সাবের হোসেন চৌধুরী।

এমনকি নিরপেক্ষ নির্বাচনের বদলে এই কমিটি নিজেরাই আবার নির্বাচিত হয়ে আসার ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করলেন তিনি, ‘নির্বাচন-প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে গেলেই বোঝা যাবে একটা ছক সাজানো হয়েছে, যাতে এই কমিটি নিজেরাই আবার নির্বাচিত হয়ে আসতে পারে। বর্তমান কমিটির কতজন নির্বাচন করেন, সেটা দেখলেই এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ’ আইসিসি ট্রফি ও বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির সময় বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সাবের হোসেন। এ দুটি অর্জন তাঁর দৃষ্টিতে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের সম্মিলিত অর্জন। সে অর্জন যাতে বিফলে না যায় সে জন্য সাজানো ছককে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেই নির্বাচন করতে চান তিনি, ‘ক্রিকেটের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দায়বদ্ধতার।

সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। যে অশুভ ছক তৈরি হয়েছে সেটা ভাঙতেই নির্বাচন করতে চাই। ’ বিসিবির বর্তমান ‘অসম’ গঠনতন্ত্র ও নির্বাচন সামনে রেখে বর্তমান কমিটির বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে সভাপতি নাজমুল হাসানকে এ বিষয়ে উন্মুক্ত বিতর্কে অবতীর্ণ হওয়ারও আহ্বান জানান বিসিবির সাবেক সভাপতি।
তবে বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সরাসরি সভাপতি পদে নির্বাচনের নিয়ম নেই বলে সাবের হোসেনকে আগে পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। সেখান থেকে পরিচালকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত হবেন সভাপতি।

সাবেক বিসিবি সভাপতি অবশ্য আশাবাদী পুরো প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আবারও বিসিবির নেতৃত্বে আসতে পারবেন, ‘যাঁরা সত্যিকার অর্থে ক্রিকেটকে ভালোবাসেন তাঁদের সমর্থন নিয়ে এই অশুভ ছক চ্যালেঞ্জ করেও নির্বাচনে জেতা সম্ভব। ’
ফিক্সিং নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। তবে সাবের হোসেন জানিয়েছেন শুরুতেই এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিলে আজ এ অবস্থা হতো না, ‘প্রথম বিপিএলে পাকিস্তানি এক ক্রিকেটারকে (নাসির জামশেদ) স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। একজন জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছিল। তখন যদি এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হতো আজ এটি এত বাজে চেহারা নিত না।

’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।