লালনের ১২০তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়ার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল লালন মেলা (তিন পাগলের মেলা নয় কমপক্ষে তিন লক্ষ পাগলের মেলা... আরিব্বাস!!)। মেলায় লালন ভক্ত, অনুসারিদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যাই, যাবো করে এর আগে লালন মেলায় যাওয়া হয়নি (মন সহজে কী সই হবা?)। এবার গো ধরলাম যাবোই এবং চলেও গেলাম। সে এক অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা।
একেই বোধহয় বলে বাড়ির পাশে আড়শি নগর... । যাই হোক সে অভিজ্ঞতা না হয় অন্য একদিন শেয়ার করবো। আপাতত কিছু ছবি শেয়ার করলাম। ছবিগুলো দেখে কিছুটা বোঝা যাবে এ অভিজ্ঞতা কেন অম্ল-মধুর।
লালন শাহ্ এর মাজার
মাজারের পাশেই মৃতপ্রায় কালিগঙ্গা নদী।
এই নদীর ঘাট থেকেই বসন্ত রোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু অবস্থায় লালনকে গ্রামবাসী উদ্ধার করেন
উৎসব মঞ্চ। উৎসবে রাতভর লালনগীতি পরিবেশনের পাশাপাশি চলে আমন্ত্রিত এমপি, মন্ত্রী, প্রশাসন এমনকি আয়োজকদের নিলর্জ্জ রাজনৈতিক গলাবাজি
মঞ্চে জায়গা না পেয়ে সাধু দলবল নিয়ে মেলার পাশে একটু জায়গা খুঁজে পেয়ে জমিয়েছেন লালনগীতির আসর
মেলায় আগত লালন ভ্ক্ত, অনুসারীরা লালন একাডেমির সামনে, পাশে, বারান্দায় এভাবেই যে যার মত রাতের আশ্রয় খুঁজে নিয়েছেন
হাতে ক্যামেরা দেখেই সাধু বললেন, একটা ছবি তুলে দে... ঘোড়াশাহ বাবার দরবার শরীফে পাঠাইয়া দিবি... আমি পাইয়া যাব
লালন একাডেমির পাশেই জাদুঘর। দুই টাকা টিকেট। জাদুঘরে লালন শাহের ব্যবহৃত মাত্র দুটো জিনিস আছে। এটি তাঁর ঘরে ব্যবহৃত দরজা
জাদুঘরে মিলল লালন শাহের ব্যবহৃত দুইটি জিনিসের একটি এই জলচৌকি
এগুলো লালন শাহ এর নয়।
তার ভক্তদের ব্যবহৃত তৈজসপত্র। এমন গুটিকয়েক তৈজসপত্র এবং লালন শাহ এর ছবি (বিভিন্ন জনের হাতে আঁকা) জাদুঘরে রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা লালনের একটি স্কেচ
রাতের আলোয় লালন শাহ এর মাজার। বোঝা যায় উৎসব উপলক্ষে এই বাড়তি আলো। বাকিটা সময় শুধুই আঁধার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।