কবিতা:বিরহের ছায়াপুত্তলিকা
-এম জসীম
অন্ধকারের গর্ভ থেকে
বলেশ্বরের তীব্র জোয়ারের মতো জেগে উঠি
শ্মশান বুকের তৃষ্ণা নিয়ে ....
তবু অঘ্রাণে নদীর শ্বাসে হিম হয়ে আসে দেহ
মাঝরাতের পূর্ণিমার ধবল তারার মতো !
চাঁদের গায়ে সফেদ কুয়াসারা বরফের আস্তর ঢেলে দেয় শীতল
আমার স্বস্তি কোথায় সে জানে
যে গেছে ধূসর হয়ে ছবির মতো
সন্ধ্যার মেঘের মতো রং বদলে মিলে গেছে রাতের জৌলুসে ।
কেন, আমার অন্তরে এখনো মাটির গন্ধ ?
কেন, মৃত স্মৃতির কফিনের ঘ্রাণ জুড়ে থাকে পাজরে ?
কেন, পুরনো কবরের মতো নিস্তব্দ করে কোলাহল ?
বেদনা জমে জমে কান্ত পাখির মতো
শিশিরে পালক ঘসে- ঘসে প্রবোদে শীতল করে মন
মাঠে -মাঠে শিশিরের সুর শুনে
পাখির ছানার মতো রাত জেগে থাকে বেদনার্ত চোখ
হেমন্তের কুয়াশা ফুরে জন্মানো সূর্যের প্রতিক্ষায় !
তবু দেখি, অসীম বেদনার সমুদ্রে তুমুল জোয়ার
ঢেউয়ে- ঢেউয়ে তটে ফেরে ঝিনুকেরে সাথে করে
আবার ফেরে গভীরে ।
আমাকে চেনেনি সে; আমিও চিনিনি তাঁরে ....
পূর্ণিমার জোসনা আর রুদ্র তরঙ্গ আমাকে চেনে ; অথবা কেউনা
হয়তো কেউ জানবেওনা কোনোদিন
হেমন্তের দিন শেষে কোথায় লুটিয়ে আছে ঘুমকাতর দেহ এক
অন্ধকারে মিলিয়ে বিরহের ছায়াপুত্তলিকা তাঁর ।
২৩ অক্টোবর-২০১০
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।