ওনার নাম দাইফ। সামহোয়্যার ইন এ রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে কোন মামদো ভূতের খপ্পরে পড়ে নিক নিলেন ডেইফ। আমার ব্লগে প্রথম যেদিন আসলেন আপুনি ভেবে আলগা খাতির করতে গিয়েছিলাম। পরে বুঝলাম উনি মোটেও আপুনি না বরং আমার চেয়ে বছর চার পাঁচেকের বড় এক মর্দ জোয়ান [চ্রম হতাশার ইমো]। তো হল কি এই ডেইফ ওরফে দাইফ নামক ভাইয়া আমার কোন এক পোস্ট ব্যাপক পছন্দ করে কচ্ছপের কামড় মেরে আমার ব্লগে পড়ে থাকলেন।
প্রতিদিন ব্লগে ঢুকে যদি দেখি অদেখা কমেন্ট ১ টা বুঝে নিতাম সেটা দাইফ ভাইয়ার কমেন্ট।
তো আমার আগে অভ্যাস ছিল কেউ আমার পোস্টে কমেন্ট করলে আমিও তার পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করতাম। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেটা প্রায় লুপ্ত হতে বসেছিল। দাইফ ভাইয়া প্রায় ১০-১৫টা কমেন্ট করে ফেলসেন আমার একটা পোস্টে তখন আমার মনে হল ওনার পোস্ট না পড়া টা খুব বাজে কাজ হবে। তো গেলাম।
দুটো সহজ সরল কবিতা মোটে ওনার ব্লগে। কবিতা পড়ে যত না রিএ্যাকশন হয়েছিল তার চেয়ে বেশি শকড হয়েছিলাম কবিতার ফুটনোট পড়ে। ইমোশোনাল হিসেবে আমার এমনিতেই ব্যাপক জুড়ি। ফুটনোট পরে সেইরকম ধাক্কা খেয়েছিলাম।
এরপর আর কি বলব।
একের পর এক গোলা ছুড়তে থাকলেন। ওনার সব পোস্টই নিজের জীবন নিয়ে লেখা। সব গুলো পোস্টই অশ্রু দিয়ে লেখা হাহাকার। ওনার লেখা পড়ে চোখ ভিজে যায়নি এমন কেইস খুব কমই হয়েছে। শুধু আমাকে না উনি আরো অনেক ব্লগারকেই কাঁদিয়ে বেড়াচ্ছেন।
কি আর বলব। পুরো ব্যাড়াছ্যাড়া অবস্থা।
ট্র্যাজিক পোস্ট লেখা এই প্রিয় আর একাকি ভাইয়া টাকে আজ জন্মদিনের অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা। নাহ ভুল বললাম। ভাইয়া আজ মোটেও একা নন।
আমরা কত ব্লগার আজ ভাইয়ার বন্ধু...................
শুভ জন্মদিন ডেইফ ভাই
লেটেস্ট আপডেটঃ আমার মনের মানুষটাকে দাইফ ভাইয়ার লাস্ট পোস্ট সহ তিনটা পোস্ট পড়তে দিসিলাম। হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে সেইরকম অবস্থা । মিনিমাম ২০ বার বলসে কথা দাও আমাকে ছেড়ে কখনো কোথাও যাবানা । আমাকেও ২০ বার কথা দেয়া লাগসে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।