Mahmood Khan
প্রতিমাসে মহিলাদের পিরিয়ড বা মাসিকের ৭-৮ দিন আগে থেকে এক বা একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- মাথা ব্যথা, পিঠে ও কোমরে ব্যথা, পেটের সমস্যা ইত্যাদি। এসব উপসর্গকে বলা হয় প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম, সংক্ষেপে পিএমএস। শতকরা ৮৫ ভাগ মহিলাই পিএমএস সমস্যায় কমবেশি ভুগে থাকেন।
পিএমএস-এর শারীরিক লক্ষণ
১. ত্বকের সমস্যা, যেমন- ব্রন, অ্যালার্জি
২. স্তনে ব্যথা, স্তন ফুলে যাওয়া
৩. পেটের সমস্যা
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য
৫. তলপেটে ব্যথা
৬. মাথাব্যথা
৭. পিঠে ও কোমরে ব্যথা
৮. জয়েন্টে ও পেশিতে ব্যথা
৯. ক্লান্তি লাগা
১০. অনিদ্রা
১১. ওজন বেড়ে যাওয়া
১২. অনিয়মিত ক্ষুধা লাগা
১৩. হাত-পা ফুলে যাওয়া
১৪. ইন্টারকোর্সের সময় ব্যথা হওয়া।
পিএমএস-এর মানসিক লক্ষণ
১. ডিপ্রেশন
২. খিটমিটে মেজাজ
৩. অল্পতেই উত্তেজিত হওয়া
৪. অল্পতেই টেনশন
৫. সব কিছুতেই বিরক্ত হওয়া
৬. মনোযোগের অভাব
৭. স্মরণশক্তি হ্রাস
৮. একাকিত্ব ভালো লাগা
৯. অল্পতেই মন খারাপ হয়ে যাওয়া।
পিএমএস সমস্যায় কি করবেন?
পিএমএস-এর কোনো বিশেষ চিকিৎসা নেই। দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন এনে উপকার পাওয়া সম্ভব। আর যদি খুবই সমস্যা হয় তবে একজন গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
কি করবেন?
১. দিনে অল্প করে বারবার খান।
২. ফলমূল, শাক-সবজি, বিশেষ করে আঁশযুক্ত সবজি খান।
৩. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান।
৪. প্রতিদিন ফলিক এসিডসমৃদ্ধ মাল্টিভিটামিন খান।
৫. ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খান।
৬. খাওয়ার সময় কাঁচা লবণ পরিহার করুন।
৭. অ্যালকোহল ও মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
৮. নিয়মিত হাঁটুন, এক্সারসাইজ করুন।
৯. ধূমপান পরিহার করুন।
১০. রাতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
১১. কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খান।
১২. খাবারে ক্যালরি ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করুন।
মেডিকেল জার্নাল থেকে সংগৃহিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।