আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাইক্রোসফ্ট ফান ফ্যাক্টস

পজিটিভ ভাবুন__পজিটিভ বলুন__পজিটিভ কাজ করুন....

মাইক্রোসফট কেবল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই নয়, বিপুল অর্থসম্পদ, কম্পিউটার প্রযুক্তির ভুবনে নব নব আবিষ্কার এবং এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস-এর কারণেও মাইক্রোসফট সবসময় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এ কারণে মাইক্রোসফট, এর ইতিহাস, পণ্য এবং এমনকি বিল গেটস-এর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। সি নিউজ পাঠকদের জন্য আমরা তাই চেষ্টা করেছি মাইক্রোসফট সম্বন্ধে এমন কিছু তথ্য উপস্থাপন করতে যেগুলো খুব বেশি মানুষের জানা নেই। আসুন, শোনা যাক মাইক্রোসফট-এর কিছু ‘ফান ফ্যাক্টস’। ১।

সবপ্রথম ‘মাইক্রোসফট’ শব্দটির উলে-খ সর্বপ্রথম মাইক্রোসফট কথাটি উলে-খ করেন কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু পল অ্যালেনকে ১৯৭৫ সালে লেখা একটি চিঠিতে এ কাজটি করেন গেটস। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিল গেটস প্রথমদিকে তাঁদের কোম্পানির নাম লিখতেন এভাবে: ‘মাইক্রো-সফট’ (গরপৎড়-ংড়ভঃ)। ১৯৭৬-এর নভেম্বরে কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করার সময় মাঝখানের হাইফেনটি বাদ দেয়া হয়। শুরুতে নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে কাজ শুরু করলেও ১০ বছর পর ১৯৮৬ সালে ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের রেডমন্ডে বর্তমান সদর দপ্তরে আসে মাইক্রোসফট।

এর মধ্যে কোম্পানিটির লোগোও পরিবর্তিত হযেছে বেশ ক’বার। বর্তমান ‘প্যাক- ম্যান’ লোগোটি চলছে ১৯৮৭ সাল থেকে, এর আগে ছিল উপরের ছবিতে প্রদর্শিত লোগোটি। ২। মাইক্রোসফট সাউন্ড বিখ্যাত মিউজিশিয়ান ব্রায়ান ইনো তৈরি করেন উইন্ডোজ ৯৫ স্টার্ট নেবার সময় যে সুরটি শোনা যেত সেটি। এটির অফিশিয়াল নাম হচ্ছে ‘দি মাইক্রোসফট সাউন্ড’।

ডেভিড বাউয়ি এবং ইউটু-র মত ব্যান্ডের সঙ্গে মিউজিক করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইনো মাইক্রোসফট-এর এই টিউনটি তৈরি করার কাজটিতে বেশ মজা পেয়েছিলেন। তিনি একে ‘ছোট্ট একটি রতœ’ তৈরি করার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ৩। মাইক্রোসফট-এর শেয়ার এ পর্যন্ত নয়বার বিভক্ত হযেছে ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে পাবলিক রিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হবার পর আজ পর্যন্ত মাইক্রোসফট-এর স্টককে নয়বার ভাগ করতে হয়েছে। সহজ করে বললে, কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম যখন খুব বেড়ে যায় তখন এর স্টককে বিভক্ত করতে হয়।

এ পর্যন্ত মাইক্রোসফট যেহেতু ছয়বার একটি শেয়ারকে ভেঙে দুটো এবং তিনবার একটিকে ভেঙ্গে তিনটি করেছে সেহেতু মাইক্রোসফট-এর শুরুর দিককার প্রতিটি শেয়ার আজকের ২৮৮টি শেয়ারের সমান। শুরুতে মাইক্রোসফট-এর প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল ২১ ডলার, বর্তমানে এটি ২৩ ডলার। মূল দাম বজায় থাকলে আজ প্রতিটি মাইক্রোসফট শেয়ারের দাম হত ৬ হাজার ডলার! ৪। মাইক্রোসফট কোড নেম পছন্দ করে প্রথম অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্যই প্রথমে একটি কোডনেম ঠিক করে নেয় মাইক্রোসফট। বিল গেটস প্রথমে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নাম ঠিক করেছিলেন: ‘ইন্টারফেস ম্যানেজার’।

এক সহকর্মী বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁকে নামটি পরিবর্তনে রাজি করান। এছাড়া বিভিন্ন সময় মাইক্রোসফট যেসব কোডনেম ব্যবহার করেছে তার মধ্যে আছে ‘শিকাগো’/‘ক্যুগার’ (উইন্ডোজ ৯৫), ‘মেমফিস’ (উইন্ডোজ ৯৮), ‘লংহর্ন’ (উইন্ডোজ ভিস্তা), ‘হুইসলার’ (উইন্ডোজ এক্সপি) এবং ভিয়েনা (উইন্ডোজ ৭)। ৫। মাইক্রোসফট কর্মী মাইক্রোসফট-এর কর্মীরা নিজেদেরকে ‘সফটি’ নামে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। মাইক্রোসফট- এ কর্মরত একজন ডেভেলপারের গড় বার্ষিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০ লাখ টাকার কিছু বেশি।

বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন কোটি স্কয়ার ফুট এলাকাজুড়ে ৮৯ হাজারের মত কর্মী কাজ করছেন মাইক্রোসফট-এর অফিসগুলোতে, যাদের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরতদের শতকরা ৭৬ জনেরও বেশি পুরুষ। ৬। ‘এমএন্ডএম’ দিয়ে সেলিব্রেট করে মাইক্রোসফট সব প্রতিষ্ঠানেই ছোটখাট অনুষ্ঠান এবং উদ্যাপনের ব্যাপার থাকে। চাকরিতে তাদের বিভিন্ন বার্ষিকী উদযাপনের সময় মাইক্রোসফট কর্মীরা বিখ্যাত এমএন্ডএম (গ্গং) কোম্পানির তৈরি চকোলেটের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখান।

সেলিব্রেশনের সময় মাইক্রোসফট কর্মীদেরকে চাকরিতে কাটানো প্রতিটি বছরের জন্য এক পাউন্ড করে এমএন্ডএম চকোলেট কলিগদের খাওয়াতে হয়। এর মানে হচ্ছে, ২০০৮-এর ২৭ জুন বিল গেটস যদি মাইক্রোসফট-এ তাঁর চাকরির বর্ষপূতি উদযাপন করতেন তাহলে তাঁকে সহকর্মীদের ৩৩ পাউন্ড চকোলেট খাওয়াতে হত!৭। মাইক্রোসফট কর্মীদের প্রিয় খাবার হচ্ছে ‘পিজা’ খাবার দাবারের প্রতি আগ্রহের ব্যাপারে গুগল এবং এর কর্মীদের নামই বেশি শোনা যায় বেশি, তবে মাইক্রোসফটও এ ব্যাপারে খুব একটা পিছিয়ে নেই। রেডমন্ডে মাইক্রোসফট-এর কর্পোরেট ক্যাম্পাসে সমস্ত কর্মীকে বছরভর ফ্রি ড্রিংকস খাওয়ানো হয়। মাইক্রোসফট কর্মীদের পছন্দের দুটো পানীয় হচ্ছে কমলার রস এবং দুধ।

এছাড়া কর্মীরা ইচ্ছে করলে যখন খুশি পেতে পারেন ফ্রি চকোলেটও। আর খাবারের কথা বললে পিজার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। মাইক্রেসফট ক্যাম্পাসের ৩৫টি ক্যাফেটেরিয়ায় (উপরে একটি ক্যাফেটেরিয়ার ছবি দেয়া হল) প্রতিদিন ৩৭,০০০ কর্মী খান। তাঁদের পছন্দের খাবারের মধ্যে এক নম্বরে আছে এক ও অদ্বিতীয় পিজা। ৮।

মাইক্রোসফট-এর ইন্টারভিউতে অদ্ভুত সব প্রশ্ন করা হয় একটু যারা খোঁজখবর রাখেন তারা এ ব্যাপারটি জানেন। ভিন্ন রকমের, ব্যতিক্রমী প্রশ্ন করার জন্য মাইক্রোসফট-এর ইন্টারভিউ বোর্ড বিখ্যাত। এর মধ্যে যে প্রশ্নটির কথা লোকমুখে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় সেটি হচ্ছে: ম্যানহোলের কাভার গোলাকৃতি কেন? এটাও শোনা যায়, গুগলের মত কোম্পানিগুলো মাইক্রোসফট-এর দেখাদেখি এখন চাকরির ইন্টারভিউতে এ ধরনের প্রশ্ন করা শুরু করেছে। ৯। মাইক্রোসফট-এর নামে আছে প্রায় দশ হাজার পেটেন্ট প্রতি বছর মাইক্রোসফট ইউএস পেটেন্ট অফিসে প্রায় ৩০০০-এর মত পেটেন্ট ফাইল করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রে সেরা পাঁচ পেটেন্ট মালিকের একটি মাইক্রোসফট। অবশ্য এসব পেটেন্টের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি হচ্ছে সফটঅয়্যারের সঙ্গে জড়িত দুর্বোধ্য সব বিষয়-আষয়। মাইক্রোসফট- এর ৫ হাজারতম পেটেন্টটি ছিল এক্সবক্স গেমের একটি প্রযুক্তি যার সাহায্যে দূর থেকে ভিডিও গেম দেখতে পারবেন আগ্রহীরা, আর ১০ হাজারতম পেটেন্ট হচ্ছে ‘মাইক্রোসফট সারফেস’ প্রযুক্তির জন্য, যেটির সাহায্যে বাস্তব দুনিয়ার বিভিন্ন বস্তুর সঙ্গে ডাটা এবং ইমেজকে লিংক করা যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.