আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১২০ বছর বয়সেও মফিজইদ্দিনের মেলেনি বয়স্কভাতা, তবে বয়স্কভাতার বয়স কতো ?

মাহবুব

১৮৯০ সালে জন্ম নেয়া মফিজইদ্দিনের বয়স এখন ১২০ বছর। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা আলীপুর গ্রামের কমর উদ্দিন বেপারী বাড়ীর মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মফিজইদ্দিন এই বয়সেও পাননি বয়স্কভাতা। আর কতো বয়স হলে তিনি বয়স্কভাতা পাবেন তাও জানা নেই তার। শতবর্ষেরও অধিক বয়সেও তিনি এখনো সংসারের বৈঠা বেয়েই চলেছেন। আর এই যাত্রায় তার সঙ্গে আছেন তার ২য় স্ত্রী সাফিয়া খাতুন।

কোনো কাজ করতে পারেন না এই বয়সে। তাই হাত পেতে যা পান তাই দিয়ে চালিয়ে নেন। প্রথম আর দ্বিতীয় সংসার মিলে মোট ৫ ছেলে আর ৫ মেয়ের জনক মফিজউদ্দিন। ১০ সন্তানের ঘওে নাতি নাতনি মোট ১৭ জন। মফিজউদ্দিনের প্রথম স্ত্রীর আর তিন মেয়ে মারা গেছেন বার্ধক্যজনিত কারণে।

আর ছেলেদের সবাই দিন মজুরী করে যা পায় তা দিয়ে নিজেদের সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। তাই তারাও পারেন না বাবা-মার দেখাশোনা করতে। ১৯১৫ সালে ২৫ বছর বয়সে তৎকালীন বৃটিশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে চাকুরী শুরু কওে তিনি। এরপর ১৯১৯ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মফিজ উদ্দিন কলিকাতা ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখা শুনার দায়িত্ব পালন করতেন।

১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি দেশে আসার সময় ভারতে দায়িত্বরত অফিসারগন মফিজকে পরবর্তীতে বিভিন্ন সহায়তা সহ কাগজ পত্রাদি প্রদানের আশ্বাস দিলেও তা পূরণ হয়নি আজও। স্বাধীণতার সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধার দেখা শোনা করতেন। দিয়েছেন তাদের প্রেরণা। স্বাধীণতার পেছনেও তার রযেছে একবিন্দু হলেও অবদান। পুরো জাতি যে সময়ে মুক্তিযুদ্ধে যাদেও অবদান আছে তাদেও স্বিকৃতি দিচ্ছে ঠিক সে সময়ে কেনো বঞ্চিত হবেন মফিজউদ্দিন? এ প্রশ্ন সবার কাছেই রইলো.....



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।