চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
চেংগিস খানের সময় থেকেই মোংগলরা চড়াও হয়েছিল ইসলাম আর মুসলমানদের উপর। এক ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ত শুধুমাত্র ভার্চুয়ালী মসজিদ পুড়াতে চেয়েছে কিন্তু চেংগিসের নাতি কিংবা পুতি হালাগুরা খান কয়েকশ বছর ধরে গড়ে উঠা ইসলামী সভ্যতার সবকিছুই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। মসজিদ, লাইব্রেরি কিছুই বাদ রাখেনি। তৎকালীন ইসলামীক সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু বাগদাদের খলিফাকে মারা হয়েছিল নির্মমভাবে।
শুরুটা হয়েছিল চেংগিস খানের সময় থেকে অভিনবভাবে, যেখানেই ইসলামের তরিকামতে পশু জবাই করা হত, চেংগিসের গুপ্তচরেরা সে খবর পৌছে দিত চেংগিসের দরবারে আর শুরু হত অত্যাচার।
মোংগলদের মুসলিম বিদ্বেষ এমন পর্যাসে পৌছেছিল যে তারা স্বপ্রনোদিত হয়ে ইউরোপের খ্রিষ্টান শক্তির সাথে ক্রুসেডে হাত মেলায় মুসলমানদের ঘায়েল করার জন্য। হালাগুর বাহিনী জেরুজালেমের প্রান্তে গাজা পর্যন্ত পৌছে যায়। কিন্তু হালাগুর ধংসের হাত থেকে মুসলমানদের তীর্থস্থান মক্কা মদীনা বেচে যায় এক আলৌকিক ঘটনায়। গোল্ডের হর্ডের শাসক ছিলেন বাকু। চেংগিস খান মারা গেলে তার উত্তরাধিকারদের নিয়ে গড়ে উঠে চারটি সাম্রাজ্য।
যার একটি ছিল গোল্ডেন হর্ড। বাকু কাকতালীয়ভাবে একটি আরব ক্যারাভানের সাক্ষাৎ পান। সেই ক্যারাভানে ছিলেন এক দরবেশ। এই দরবেশ কর্তৃক ইসলাম ধর্মান্তরিত হন বাকু। যখন বাকুর কানে পৌছে হালাগু কর্তৃক ইসলামের ধংসযজ্ঞের তখন তিনি আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেন এর প্রতিশোধ নেয়ার।
এবং তিনি নিয়েছিলেনও, হালাগুকে পরাস্ত করে। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন বাকু হালাগুকে পরাজিত না করলে তার ধংসের হাত থেকে মক্কা মদিনাও রেহাই পেত না।
মজার ব্যপার হালাগু যে ইলেকান সামার্জ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার শেষের শাসকরাও ইলসাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত চেংগিসের উত্তারিধাকের বেশিরভাগই (যারা ইসলামের উপর চড়াও হয়েছিলেন) ইলসাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
তাই বলা হয়ে থাকে মোংগলরা ইসলামের প্রভূত ক্ষতি সাধন করে থাকলেও তারা ইসলামের প্রতিষ্ঠায় উল্লেখ্যযোগ্য ভুমিকাও রেখেছিলেন।
১২৫৮সালে বাগদাদের খলিফাকে যখন হত্যা করা হয় তার ৪০ বছরের মধ্যেই ইসলামের ধংসের জন্য দায়ী মোংগলরাই ইসলামকে গ্রহন করে নেয় এবং তাদের সাম্রাজ্য ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।