একই সঙ্গে এই ধরনের কোনো প্রকল্পে ইতোমধ্যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়ে থাকলে তা সম্পূর্ণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঋণের বিপরীতে থাকা বন্ধকী সম্পত্তি ছাড় না করতে বলা হয়েছে।
রোববার এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
ইতোমধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্মিত ভবন বা স্থাপনা ও ক্রয়কৃত বা ইজারাকৃত সম্পত্তির ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবদ্ধ সংস্থার যথাযথ অনুমোদন নেওয়া আছে কিনা তা জানিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
গত ২৮ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য নির্দেশনা দিয়ে এ ধরনের একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
রোববারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “ইতোমধ্যে যেসব নির্মিত বা নির্মাণাধীন ভবন বা স্থাপনায় ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করেছে সেসব ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট সকল আইন ও বিধিমালা যথাযথ পালন এবং বিধিবদ্ধ সংস্থার অনুমোদন নেওয়া আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই প্রজ্ঞাপনেই বলা হয়, “বিধিবদ্ধ সংস্থার অনুমোদন না থাকলে বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন এবং এ ধরনের আবাসিক প্রকল্পে ইমারত নির্মাণ বা এরূপ নির্মিত ইমরাতের ফ্ল্যাট বা ফ্লোরস্পেস কেনার জন্য কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোন ঋণ বা ইজারা সুবিধা দেবে না। ”
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্লোরস্পেস কেনা বা ইজারা নেওয়ার ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ, ভূমি উন্নয়ন এবং ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্লোরস্পেস কেনার উদ্দেশ্যে অর্থায়নের (ঋণ, বিনিয়োগ, ইজারা ইত্যাদি) ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি সার্কুলারেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবন নির্মাণ আইন ১৯৫২, বাংলাদেশ জাতীয় ভবন কোড ২০০৬, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭, অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন ২০০৩, বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা ২০০৪ এবং প্রযোজ্য সকল আইন ও বিধিমালা যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা থেকে যথাযথ অনুমোদন নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, “আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত আবাসন প্রকল্পের জমি ছাড়া অন্য কোনো জমিতে অথবা অন্য কোনো আবাসন প্রকল্পে ভূমি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের অর্থ ব্যবহার করছে কিনা সে বিষয়টিও সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক নিশ্চিত হতে হবে।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।