আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোল ঘেঁষে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে অবস্থিত 'মজলিশ আউলিয়া মসজিদ' নামের এই প্রাচীন নির্দশনটি। স্থানীয়দের ধারণা এটি গায়েবি মসজিদ। শিবচর উপজেলার উৎরাইল গ্রাম থেকে দেড় কি.মি. পশ্চিমে দিঘিরপাড়
বাজারের পাশেই বিশাল এক দিঘি। এই দিঘির পশ্চিমপাড়ের ২০০ গজ সামনেই অবস্থিত মজলিশ আউলিয়া মসজিদ। মসজিদের সামনের বিশাল দিঘিটির কারণে ঐ এলাকার নামকরণ করা হয়েছে দিঘিরপাড়।
মনবাসনা পূরণের জন্য মসজিদ ও দিঘিতে 'মানত' করে স্থানীয়সহ দূরদূরান্তের মানুষেরা। তবে জনশ্রম্নতি আছে কমপক্ষে ১৫০ বছর আগে এই দিঘির কাছে মানুষ যা চাইতো তাই পেত। ঐ সময়ে বিশেষ করে বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠানের নানা উপকরণ দিঘির কাছে চাইলেই নাকি পাওয়া যেত। ' এরকম জনশ্রুতি যুগযুগ ধরে মানুষের মুখে মুখে চলে আসছে। তবে এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এ ব্যপারে স্থানীয় শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, 'মসজিদ ও দিঘি নিয়ে অনেক জনশ্রুতিই প্রচলিত আছে। কিন্তু এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। এলাকার সকলেই বিষয়টি শুনে এসেছে। ৮০ বছর বয়স্করাও তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে দিঘির অলৌকিক ক্ষমতার কথা শুনে এসেছে, কিন্তু চোখে দেখেনি। ' দশগম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির অভ্যন্তরে পূর্বদিক থেকে পাঁচটি দরজার মাধ্যমে প্রবেশ করা যায়।
সতন্ত্রভাবে দণ্ডায়মান চারটি পাথরের স্তম্ভে গঠিত একটি স্তম্ভসারি মসজিদের ভেতরকে দুইটি 'আইল'এ বিভক্ত করেছে। উত্তর ও পশ্চিম দেয়ালে দুইটি করে দরজা রয়েছে। মসজিদের দেয়াল প্রায় দুই মিটার পুরম্ন। এবং ভেতরের পরিমাপ (২১.৫৫মিটার ও ৮.৬০মিটার)। পূর্ব দেয়ালের পাঁচটি দরজা বরাবর পশ্চিম দেয়াল অভ্যন্তরে পাঁচটি 'মিহরাব' রয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রবেশপথের দুই খিলানের মধ্যবর্তী অভ্যন্তরাংশ চৌচালা ভল্ট সদৃশ্য, অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দরজার সংশিস্নষ্ট অংশ দোচালা ভল্ট সদৃশ্য। মসজিদটির নকশায় পোড়ামাটির অলংকার এবং দেয়ালের গায়ে আঙ্গুর লতার মতো নকশা অংকিত। এই মসজিদটির সাথে 'লক্ষ্নৌতির ছোট সোনা মসজিদ' ও রাজশাহীর 'বাঘা মসজিদ' এর যথেষ্ট মিল রয়েছে বলে জানা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।