সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ!
আমি এখানে,
পরিচিত পৃথিবীর বাইরে এক নির্জন প্রেক্ষাগৃহে,
কত কি খবর আসে ইথারে ইথারে...
রুনিটাকে দেখতে এসেছিল পাত্রপক্ষ,যদিও বহু আগেই ভুলে গিয়েছি তাকে,
সে ভুলে যেতে বলেছে বলে।
বসন্তের প্রথম দিবস ছিল সেদিন,রুনি এসেছিল ক্যাম্পাসে..
পরনে শাড়ী ছিলনা,বাসন্তি কামিজে তাকে অপ্সরীদের রানী মনে হচ্ছিল আমার কাছে,
আজ আর মনে পড়ছেনা চাঁদের কপালে টিপ ছিল কিনা!
তবে এরপর সে প্রায়শই টিপ পরে আসতো,আর এক চোখ জিজ্ঞাসা নিয়ে বলতো,
''দেখোতো,টিপটা ঠিক জায়গায় পড়েছে কিনা। ''
আমি আলতো হাতে ছুঁয়ে দিতাম কপাল...
আমার হাতে আটেকে যেত তার মিষ্টি হাসি।
আমার নীলপদ্ম জমা রেখেছিলাম তার কাছে,
হঠাৎ একদিন ফেরত দিয়ে বললো,'ভুলে যেও,ভাল থেকো। '
তাই কি হয় মেয়ে?এই দেখো কেমন ভালো আছি,হ্যাঁ ভালোইতো আছি,তবে ভুলে যেতে
পারিনিতো!
বসন্ত পোড়ায় আমাকে,তবু অপেক্ষায় থাকি,বসন্তই যে এনেছিল তাকে;
আমার বুকের খুব কাছাকাছি একটি মেয়ে,বড় বেশি সপ্নের মত-
পুরো জীবনের জন্য স্মৃতি সঞ্চয় করে রেখেছি....
খুব জানতে ইচ্ছে করে রুনি,পাত্র পক্ষের সামনে যখন সেজেগুজে গেলে,চাঁদ কপালে টিপটা ঠিকমত
পড়েছিল কি?
পত্রগুলো জমিয়ে রেখেছি রুনি,তোমার দেয়া নীলপদ্মের সাথে...
তুমিতো ফেরত নাওনি!
রোজ রোজ তোমাকে লিখি,পাঠানো হয়না।
ক্লান্ত দিনের শেষে তোমাকে একপাতা লিখে ঘুমুতে যাই,
বড় বেশি একঘেয়ে জীবন রুনি,তুমি যে উত্তর করোনা....
আজ সারাদিন ভেবেছি,পাত্রপক্ষ যদি আমি হতাম!
বড় অন্যায় ভাবনা... তবু ভাবি।
ভালো থেকো রুনি,যতটা ভুলে গেলে ভালো থাকা যায়,ততটায় ভুলে যেও।
তবু ভালো থেকো।
(উদ্ধৃত ডায়রির সামান্য অংশও যদি কারো ডায়রির সাথে মিলে যায়,
তবে দায়ভার তার উপরেই বর্তাবে। লেখক এর জন্য দ্বায়ী নয়)
আমার বন্ধু তূর্য.....
তার জন্য এই কবিতাটি লেখা।
বহু আগের একটি কবিতা নতুন করে পড়ে ভাল
লাগলো। চতুষ্কোনের একটি লাইন উদ্ধৃত না করে পারছিনা ''বিষাদ সুন্দরতম....''।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।