যে মুখ নিয়ত পালায়......। ।
আলবার্ট আইনস্টাইন কে চিনেন না এমন এই ব্লগবাসী মানুষ আছেন কি না সন্দেহ। আজ এই পোস্টের বিষয়বস্তু আইনস্টাইন সাহেবের কিছু সুন্দর ছবি এবং তার সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য। এই মহান পদার্থ বিজ্ঞানীর জন্ম জার্মানীতে ১৮৭৯ সালের মার্চ মাসের ১৪ তারিখর কোন এক শুভলগ্নে।
তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র(E=MC2) আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য তিনি ১৯২১ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
তার গবেষনা কর্মগুলো ৫০টিরও অধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র রয়েছে। ১৯৯৯ সালে বিখ্যাত টাইম সাময়িকীতে আইনস্টাইনকে "শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি" হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাকে ধরা হয় সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে ।
প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন কোন ব্যক্তিকে বুঝাতে মাঝে মাঝে "আইনস্টাইন" শব্দটি ব্যবহৃত হয়। আইনস্টাইন এখন মেধার সমার্থক।
তবে ট্রিনিটি কলেজের মনোবিদ্যার প্রফেসর মিখাইল ফিটৎজেরাল্ড আইনস্টাইন কে মেধার সমার্থক মনে করলেও তার সমস্যা অন্য জায়গায়। তার মতে আইন্সটাইন একজন প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি বলেন, আইনস্টাইন নিউটন সহ বহু বিজ্ঞানী মনীষীর মাঝে 'এসপার্জার' নামক প্রতিবন্ধীতার লক্ষণ দেখা যায়।
আত্বভোলা এই মহান বিজ্ঞানী বলতেন,"মানুষ হত্যা আমার কাছে নিদারুন বিরক্তিকর একটি ব্যাপার। আমার এই মনোভাব কোন বিজ্ঞ চিন্তা থেকে আসেনি। এর মূলে রযেছে ঘৃণা আর নিষ্ঠুরতার প্রতি আমার তীব্র বিদ্ধেষ। "
ইশ্বর সম্পর্কিত তার ভাবনা ছিল অন্যরকম। তিনি বলতেন যদি তাঁর মধ্যে ধর্মানুভূতি বলে কিছু থেকে থাকে তবে তা শুধু বিজ্ঞানের জন্য যা বিশ্বব্রহ্মান্ডের রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত প্রতিনিয়ত।
ধর্ম সম্পর্কে তিনি বলেন, মৃত্যুর পর শাস্তির ভয়ে মানুষ জীবিত অবস্থায় পাপ করা থেকে বিরত থাকবে এটা তিনি আশা করেন না। এ যুক্তির চেয়ে তিনি মানুষের মুল্যবোধের জাগরন বেশী প্রত্যাশা করেছেন। হাজারো জীবিত আর মৃত মানুষের কর্মের সুফল একজন মানুষ ভোগ করে-এ মুল্যবোধই কেবল পারে উন্নত চরিত্রের মানুষ সৃষ্টি করতে। ধর্ম বা মৃত্যুভয় নয়। এরকম ধারনাই ছিল আইন্সটাইনের।
এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। যার যার ব্যক্তিগত মত থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
আইন্সটাইনের মা পিয়ানো বাজাতেন। মায়ের কাছ থেকেই পিয়ানোর সাথে পরিচয় হয়েছিল তার। এই পিয়ানোই ছিল তার নিত্যসঙ্গী।
কবিগুরুর সাথে আইনস্টাইন
এই মহান বিজ্ঞানী ১৮ ই এপ্রিল ১৯৫৫ সালে মৃত্যুবরন করেন। তার অবদানের জন্য বিজ্ঞান এবং মানবজাতি আজীবন তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করবে।
মহাবিজ্ঞানীকে এই ক্ষুদ্র মানবের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা। আপনি ভাল থাকেন অন্যভুবনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।