চুপ!
তাহার দেখা পাই না বলিয়া বিপুল অভিমানে আমি দুনিয়ার সকল কিছু হইতে নিজেকে লুকাইতে চাহিয়াছিলাম। সামুকে বিদায় জানাইয়া, মুঠোফোনটিকে বন্ধ করিয়া, ফেসবুকটিকে সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় করিতে গিয়া দেখি ম্যাসেঞ্জারে সে আমাকে বিকট শব্দে বাজ্জ দিল। আত্মা ধড়ফড়াইয়া উঠিল যতটা না বাজ্জের শব্দে তাহার চাইতেও বেশী অপর প্রান্ত হইতে বার্তা দেখিয়া। ম্যাসেঞ্জারটিতে তো সাধারণত আমি অদৃশ্যই হইয়া থাকি, কী করিয়া যেন অনলাইন হইয়া গিয়াছিলাম আর সেই কারণেই তাহাকে...
সেঃ অবশেষে তোমাকে পাইলাম।
(তাহার মানে কি সে আমাকে খুঁজিয়াছে? সেও আমাকে চাহিয়াছে মনে মনে? )
আমিঃ কী করিয়া যেন এইখানে অনলাইন হইয়া গেলাম!(মুখ লুকাইবার ইমো খুঁজিয়া বেড়াইলাম)
সেঃ কাহার’পরে এত অভিমান?
খানিকটা লজ্জায় আর কতকটা অভিমানে আমি কিছু বলিলাম না, কিন্তু তাহার পরে কেমন করিয়া ইয়াহু হইতে সে আমার ক্যাম্পাসে চলিয়া আসিল মনে করিতে পারিতেছি না, তবে তাহা ফ্র্যাকশন অফ এ সেকেন্ড এই ঘটিয়াছিল বলিয়া আমার বিশ্বাস।
তাহার পর...নাহ, হাতে হাত বা চোখে চোখ রাখিয়া নহে; পাশাপাশি আমরা হাঁটিয়া বেড়াইলাম ক্যাম্পাসের ছায়া ছায়া পথ ধরিয়া । এই পথে প্রকৃতির পরিষ্কারক পরিষ্কার করিবার পরিবর্তে বিষ্ঠা ছড়াইয়া পুঁতি-গন্ধময় করিয়া রাখিলেও আমাদের কাহারও নাসিকায় সেই দুর্গন্ধ পৌঁছিল না। হালকা বৃষ্টির পর পিচঢালা পথ হইতে তাপ নির্গত হইতে থাকিলেও আমাদের হৃদয়ের উষ্ণতায় তাহা ঢাকা পড়িয়া গেল।
আহা! কত জনমের প্রতীক্ষার পর অবশেষে সে আর আমি......
ইহার মাঝে দুইজনের হৃদয়ের তারকে বেতার করিয়া কর্কশ শব্দে মুঠোফোনটি বাজিয়া উঠিল।
(আমি তো উহাকে বন্ধ করিয়া রাখিয়াছিলাম, বাজিয়া উঠিল কীরূপে! )
ফোনটিকে ধরিতে গিয়া আমার নিদ্রা ছুটিয়া গেল।
আয় হায়! আমি তবে এতক্ষণ স্বপ্ন দেখিতেছিলাম!
চোখে চোখ রাখা হয় নাই বলিয়া যে আমি তাহার চেহারাও দর্শন করিতে পারি নাই!
ম্যাসেঞ্জারে কী নামে সে আবির্ভূত হইয়াছিল, তাহাও তো ভুলিয়া গিয়াছি!
এতদিনের পরে যাহার দেখা পাইলাম স্বপনে, স্বপনেই তাহাকে হারাইয়া ফেলিলাম!!
(দিবসকালে নিদ্রা যাইবার ফুরসত আমার কখনো হয় না, অভ্যেসও নাই; কী কুক্ষণে বা সুক্ষণে অদ্য আমি এই কর্মটি করিলাম আর তাহার পরেই হৃদয় আকাশে তাহার আগমন। তাহাকে আবারো দেখিতে হইলে দিবসকালের নিদ্রা জারি রাখিতে হয়, যাহা প্রায় অসম্ভব। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।