জামায়াতের হরতালের দিন রোববার যুবলীগের এক সমাবেশে তিনি বলেন, “চাঁদাবাজির রাস্তা থেকে সরে আসুন। প্রয়োজনে নিজেদের টাকা দিয়ে সংগঠন পরিচালনা করুন। ”
“আমার উপদেশ ভালো না লাগলে বয়সের গুণে ক্ষমা করে দেবেন,” পরক্ষণেই বলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য।
কমলাপুর রেলস্টেশন চত্বরে হরতালবিরোধী ওই সমাবেশে মুহিত যুবলীগকে শান্তিপূর্ণ পন্থায় সন্ত্রাস মোকাবেলার পরামর্শ দেন।
“সন্ত্রাস দিয়ে সন্ত্রাস দমন করা যায় না।
শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতিরোধে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ”
নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ আর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের তুলনা করে দেখান তিনি।
“শাহবাগের মঞ্চ শান্তিপ্রিয় আর হেফাজতের মঞ্চ সহিংস। প্রতিবাদ সহিংস হলে সেই প্রতিবাদের পাত্তা দেয়ার প্রয়োজন নেই। সেই প্রতিবাদ দমন করা আমাদের দায়িত্ব।
”
হরতাল এবং সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার বলে মেনে নিলেও বাস পোড়ানো, হত্যাকাণ্ড ঘটালে ক্ষমা নেই, হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে মুহিত বলেন, “আমরা এই হেফাজতে ইসলাম চাই না। এ হেফাজতে ইসলাম হলো বরবাদে ইসলাম। “
সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “যারা ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে মানুষ হত্যা করছে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তাদের রুখে দাঁড়ালে পালাবার পথ পাবে না। ”
সমাবেশে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ ঢাকা মহানগরের (দক্ষিণ) সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।