নাহ! যথারীতি ফোন অফ ঈষিতার। আজ পাঁচদিন চলছে মেসেন্জার, ফেসবুক, টুইটার, ফোন কোথাও কোনো খবর নেই মেয়েটার। সত্যি এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা যায় না। হঠাৎ হঠাৎ এমন উধাও হয়ে যাওয়ার বদভ্যাসটা মনে হয় আর ইহজীবনে বদলাবে না ওর। আবারও ফোন দেয় ইমতি।
ফোন বন্ধ। অস্থির লাগছে ওর। এবার একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বে সে। এই যে এই হুট হাট ঈষিতার হাওয়া হয়ে যাওয়া, কথা বন্ধ, ফোন বন্ধ, বন্ধ সব রকম যোগাযোগের পথ এই ব্যাপারটা এই বিদেশ বিভুই এ বসে কতখানি ভোগায় ইমতিকে সেটা কি একটুও বোঝেনা মেয়েটা! আছাড় দিয়ে ফোনটা ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে ওর। সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে এক ছুট্টে চলে যেতে ইচ্ছে করছে অনেক অনেক দূরে।
স্যুপারম্যানের মত হঠাৎ যদি উড়ে গিয়ে নামা যেত ঈষিতাদের বাড়ির ছাঁদে অথবা যদি হঠাৎ হানা দিয়ে চমকে দেওয়া যেত পাজী মেয়েটাকে ওর পড়ার রুমে বা ওদের ছোট্ট ব্যালকোনিটাতে রোজ বিকেলে যেখানে দোলনায় বসে চা খায় ঈষিতা সেখানে একটু যদি চুপি চুপি গিয়ে গুটিসুটি চুপ করে বসে থাকা যেত ঈষিতার পাশে। কেমন হতো ব্যাপারটা! নিজের পাগলামি ভাবনাটা কল্পনা করে নিজের অজান্তেই হেসে ফেলে ইমতি। সাথে আবার শুরু হয় অস্থিরতা।
ঘুমুতে যাবার আগে আবারও ঈষিতাকে মেসেজ দেয় ইমতি। ইনবক্স করে।
হতাশাগ্রস্ত মনে ধরেই নেয় মেসেজগুলো ব্যাক করবে, ইনবক্সগুলো সিন হবে না, কোনো হঠাৎ চমকে দেওয়া ফোনকলও আসবেনা কাল সকালেও বা সারাটাদিন। অথচ কাল ওর বার্থডে। প্রথম মুহুর্তটিতেই উইশ করার কথা ছিলো ঈষিতার। বেশ মন খারাপ আর দুশ্চিন্তা নিয়েও কখন যেন প্রগাঢ় ঘুমে তলিয়ে যায় সে।
সাইড টেবলের উপর সেলটা বেজে চলেছে।
ঘুম ঘুম চোখেই হাত বাড়িয়ে ফোনটা উঠায় ইমতি। স্ক্রিনে ঈষিতার নাম। চট করে চোখ চলে যায় টাইমে। ভোর পাঁচটা বেজে বিশ! নাহ মেয়েটাকে নিয়ে সত্যি ভুগতে হবে ওর। এর আগেও বেশ কয়েকবার সে এই কাজটাই করেছে।
টানা কয়েকদিন উধাও আর তারপর হঠাৎ রাত তিনটাই ঘুম থেকে ডেকে উঠানো, স্বপ্ন দেখে নাকি মন খারাপ করেছে তাই ফোন বা খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে চা খেতে খেতে মনে পড়েছে ওর ইমতিকে। যাইহোক ওর ভোর পাঁচটা মানে ঈষিতাদের সকাল ৮টা।
ফোন রিসিভ করে বিশাল মন খারাপ করে ওকে বকা দিতে গিয়ে থমকে যায় ইমতি। চিরায়ত ঈষিতার কন্ঠস্বর! ফিসফিস করে,
: হ্যাপী বার্থডে ইমতিবাবু। তাড়াতাড়ি গেটটা খুলোতো....
কি বলে মেয়েটা! বিস্ময়ে হতবার ইমতি।
গেইট খুলে কি হবে! এই ভর সকালে ঈষিতা ওকে গেট খুলতে বলছে কেনো? সে তো বাংলাদেশের যায়নি। নিজের গায়ে চিমটি দিয়ে দেখে ইমতি, ঘুমাচ্ছে নাকি জেগে আছে? আবার চেক করে ফোনস্ক্রিনটা। নাহ ঈষিতাই তো। হ্যাঁ ঈষিতাই। ঈষিতারই ফোনকল।
: আরে কি হলো? গেইট খুলতে বল্লাম না? একটু রাগস্বরে বলে বুঝি ঈষিতা।
: ওকে ওকে এখুনি খুলছি। কিন্তু কি হয়েছে বলোতো?
: আগে খুলোই না। খিলখিল হাসিতে ভেঙ্গে পড়ে এইবার পাগলিটা।
তাড়াতাড়ি হাউজকোট টা গায়ে চড়িয়ে দৌড়ে নিচে নামে ইমতি।
মেইন গেইটের লক খুলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় সে। দরজায় দাঁড়িয়ে ঈষিতা! মিটি মিটি হাসছে। একটু বিধস্থ, হয়তো লং জার্নীতে একটু ক্লান্ত-মলিন কিন্তু এতদিন ফোটো, ক্যাম আর ভিডিওতে দেখা ঈষিতাকে চিনতে এতটুকুও ভুল হয়না ইমতির। সাদা আর লাল ছোপ সালোয়ার কামিজে ওকে সদ্য ফোটা একটা লালগোলাপ বা সাদা পদ্মের মতই লাগছে যেন। মুগ্ধতায় পলক পড়ে না ইমতির আর বিস্ময়ে সে হয়ে পড়ে অনঢ়।
: কি ভেতরে আসতে দেবে নাকি গেইট থেকেই তাড়িয়ে দেবে?
: ঈষিতা তুমি ! আমতা আমতা করতে থাকে ইমতি। বিশ্বাসই করতে পারে না!!! ঘোর কাটতেই ওকে জড়িয়ে ধরে ইমতি। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয় সে .... ঈষিতা!!!!!!!!!!!!তুমি ঈষিতা!!!!!!!!!! ঈষিতা তুমি!!!!!!!!!!!!! আমি কি সপ্ন দেখছি!!!!!! দুহাতে ওকে উঁচু করে ধরে ইমতি। ধপ করে এনে ফেলে কৌচের উপর। খিলখিল হাসিতে ভেঙ্গে পড়ে ঈষিতা।
:আরে আরে!!!! থামো থামো পাগল হলে নাকি?
: বলো!! বলো!!! বলো!!! কি করে এ অসাধ্য সাধন করলে তুমি ঈষিতামনি? বলো আমাকে!! এইভাবে না জানিয়ে শুনিয়ে , আমাকে কিচ্ছু না বলে ........
এই কদিনের মেসেন্জার, ফোন বা কোনো রকম যোগাযোগ না করে ওকে কষ্ট দেবার সকল দুঃখ, ক্ষোভ, অভিমান মুহুর্তে ভুলে যায় ইমতি।
:ঈষিতা আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিনা। বলো তুমি সব কিছু খুলে বলো আমাকে। কিভাবে কি মনে করে এইরকম হঠাৎ.........
: সারপ্রাইজ! সারপ্রাইজ দিলাম তোমাকে।
ঈষিতার চোখে মুখে দুষ্টুমী খেলা করে।
:সারপ্রাইজ!!! বিস্ময়ের ঘোর কাটেনা ইমতির।
: আরে বাবা বলবো, সব বলবো পরে। আগে একটু রেস্ট নিতে দাও। বলেছিলাম না একদিন তোমাকে আমি সারপ্রাইজ দেবো। আচ্ছা তোমাকে দেখি এইবার প্রাণভরে, মন ভরে।
একটু লজ্জা পায় বুঝি ইমতি। তাই দেখে ঈষিতা বলে,
: দাঁড়াও ভালো করে সব চেক করে দেখি, কোথায় থাকো তুমি, কি খাও, কি করো, কয়টা মেয়ের সাথে টাংকীবাজি করো সব খবর বের করছি এইবার দাঁড়াও!!!
দুইহাতে কান ধরে হাটু গেড়ে ওর সামনে বসে ইমতি!!!
: কসম খোদার!!! আমার ঈষিতাকে দেখার পর হতে ভুলিয়াছি পৃথিবীর সকল রমনীকুল। কাহারো সাথে নো মোর টাংকীবাজি, নো মোর... নো মোর ...। আমার চারিদিকে শুধু একজনই এখন। ঈষিতামনি, আমার ঈষিতাজানটুস, ঈষিতা মানটুস, ঈষিতা পাগলী... ঈষিতা ঢঙ্গী.......
:হইসে হইসে !! থামো থামো থামো।
থামো এইবার। ইমতির মাত্রাতিরিক্ত পাগলামীতে দুজনেই হাসতে থাকে হো হো করে ........
অফিসে এমার্জেন্সী কল দিয়ে আগামী সাতদিনের ছুটি নিয়ে নেয় ইমতি। সারাদিন টই টই করে ঘুরে বেড়ায় দুজনে। এতদিন ইমতির মুখে শুনে শুনে ঈষিতার কাছে মনে হয় এ দেশের প্রতিটা জায়গা, রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, মানুষজন সবকিছুই যেন চেনা পরিচিত ওর। দুপুরে ইমতির প্রিয় পিজ্জা শপে লাঞ্চ খেতে খেতে জানিয়ে দেয় ঈষিতা যে চিরদিনের জন্য তার আত্মীয় স্বজন পরিবার ছেড়ে চলে এসেছে সে ইমতির কাছে।
অবাক হয়ে হা করে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে ইমতি। গত দুবছর ধরে ওদের পরিচয় ফেসবুকে। কবে কখন ধীরে ধীরে ওকে এতটাই ভালো বেসে ফেলেছে সে যে ওকে ছাড়া কিছুই ভাবতেই পারেনা এখন আর। ঈষিতাকে ছেড়ে এক মুহুর্ত থাকতে ইচ্ছে হয়না ওর । পরিকল্পনাহীন অজানা ভবিষ্যত জেনেও সেই মুহুর্তে ঈষিতার কথা শুনে ইমতির মনে হয় সর্বশ্রেষ্ঠ সুখী মানুষ সে এই পৃথিবীর।
তক্ষনাৎ লাঞ্চ টেবিলে বসেই ওরা ডিসাইড করে বিয়ে করার।
অনেক কষ্টে খুঁজে পেতে ইন্ডিয়ান শপ থেকে লাল টুকটুক বিয়ের শাড়ি যোগাড় করেছে ইমতি। দুঘন্টার মাঝেই অবাক করা দ্রুততায় শাড়ী চুড়ি কাঁচা ফুলের মালায় বেশ বাঙ্গালী বঁধু সাজিয়ে ফেলে সে ঈষিতাকে। পরিপূর্ণ বঁধু সাজে ঈষিতাকে সামনে দাঁড়া করিয়ে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে। কাঁপা ঠোঁটে ভালোবাসা এঁকে দেয় ওর চোখের পাতায়।
লজ্জায় চোখ মুঁদে আসে ঈষিতার। আর তারপর কিছু নিয়ম কানুন, কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধ বান্ধব, খানাপিনা, হাসি ঠাট্টা।
ইমতির ছোট্ট এক চিলতে বারান্দায় চাঁদের আলো বুঝি জ্যোস্না ঢেলে দিয়েছে অকাতরে আজ। ব্যালকোনিটার একধারে ঝুলানো দোলনায় নববঁধুর বেশে বসা ঈষিতার কোলে মাথা রেখে শুয়ে ইমতি। ওর মাথার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ঈষিতা।
গুন গুন করে গানও গাইছে কি একটা, সব মিলিয়ে ইমতির মনে হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সুখি মানুষ সে আজ। সারারাত কেটে যায় স্বর্গের উদ্যানে !!!!! দুজনের হাসি আনন্দ আর মধুর খুনসুটিতে।
বেশ বেলা করে ঘুম ভাঙ্গে ইমতির! চোখ না খুলেই মনে পড়ে যায় গতকাল তার জন্মদিনে তার জীবনের ঘটে যাওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ মুহুর্তগুলির কথা। স্মিত হাসি ফোটে ওর মুখে। পাশে হাত বাড়িয়ে কাছে টানতে চায় ঈষিতাকে।
না পেয়ে চোখ খোলে। কখন ঘুম ভেঙ্গেছে মেয়েটার কে জানে।
চমকে উঠে বসে বিছানার উপর। কান পেতে শোনে বাথরুমে জলের শব্দ। ।
উঠে কিচেনে যায়। চায়ের পানি চাপিয়ে টিভি অন করে অপেক্ষা করে ঈষিতার জন্য। বেশ খানিকটা সময় কেটে যাবার পরও ওয়াসরুম থেকে বের হচ্ছেনা কেনো মেয়েটা। ! দরজার নবে হাত দিতেই খুলে যায়। অবাক হয়ে ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখে ভেতরে কেউ নেই।
দৌড়ে বারান্দায় যায় ইমতি। সেখানেও নেই ঈষিতা। পুরো বাড়ি উপর, নীচ, গ্যারাজ তন্ন তন্ন করে খোঁজে সে। কোথাও কেউ নেই। ক্লান্ত হয়ে সোফার উপর ধপ করে বসে সে।
একরাশ শূন্যতা ঘিরে ধরে ওকে।
-----------------------------------------------
প্রায় এক বছর কেটে গেছে। ওর সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পরও ঈষিতার কোনো খবর পায়নি ইমতি। ওর ফোনে, মেসেন্জারে, ফেসবুকে কোথাও কোনো রকম খোঁজই পাওয়া যায়নি ওর। গত কয়েক মাসে যেন বেশ কয়েক বছর বুড়িয়ে গেছে ইমতি।
হঠাৎ হুট করে এইভাবে কোথায় হারিয়ে গেলো মেয়েটা এই বিদেশ বিভুই এ এসে। ভেবে ভেবে ঘুম হয়না ওর। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করেনা। নাওয়া খাওয়া সবই ভুলেছে সে ইদানিং।
সারাক্ষন ফেসবুক, মেসেন্জার স্কাইপ খুলে বসে থাকে।
মিনিটে মিনিটে ফোন চেক করা অভ্যাস হয়ে গেছে ওর। কারো সাথে যোগাযোগ রাখেই না প্রায় বলতে গেলে। অসামাজিক জীব হয়ে উঠেছে সে। অফিস আর বাসা এই ওর রুটিন।
হঠাৎ একদিন
অফিসে বসে আছে ইমতি।
যথারীতি ফেসবুক, মেসন্জার খোলা পরে সামনে।
এ প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পেয়ে আজকাল আর কেউ ওকে কোনো রকম নকও করেনা।
আজ হঠাৎ চ্যাটবক্সে ইলিনার নক!
:ইমতিভাইয়া কেমন আছেন?
চমকে ওঠে ইমতি। আজকাল কারো নকেও রেসপন্স করেনা সে শুধু এক অজানা অভ্যস্থতায় বসে থাকে ফেসবুক ওপেন করে। তবে আজ চমকানোর কারনটা ইলিনা।
ঈষিতার কাজিন। অনেকদিন আগে ইলিনাকে এ্যাড করেছিলো ইমতি। নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করে। এতদিন এতখানে ঈষিতাকে খুঁজেছে ইমতি অথচ ওর মনেই ছিলোনা ইলিনা ঈষিতার কাজিন ওর সাথে মিউচুয়াল ফ্রেন্ডলিস্টে রয়ে গেছে সে, যার কাছে এক মুহুর্তেই পাওয়া যায় ঈষিতার খবর।
:ইমতিভাইয়া কথা বলেন না কেনো? সম্বিৎ ফেরে ওর।
: হাই ইলিনা। কেমন আছো? ঈষিতা কেমন আছে?
:আমি ভালো আছি আর যেমন থাকবার কথা ঈষিতার ঠিক তেমনি আছে সে!
একটু বুঝি বিষন্নতা ঝরে ইলিনার কন্ঠে।
:মানে? কেমন থাকবার কথা?
: নিশ্চয় সুখে আছে। সুখে থাকবারই তো কথা আমার লক্ষী বোনটার।
:হুম তা বটে।
গভীর বিষন্নতায় ডুবে যায় ইমতি। অনেক কষ্টে স্বাভাবিক স্বরে জিগাসা করে। এখন কোথায় আছে সে? কি করে ওর হাসব্যান্ড। বেবি হয়েছে? ছেলে না মেয়ে?
: কি বলেন!!! বিস্ময়ে চিৎকার করে ওঠে বুঝি ইলিনা। বিয়ে হবে কোত্থেকে! ছেলেমেয়েই বা আসবে কেমনে! কি বলেন এই সব ইমতিভাইয়া?
:মানে ? তুমি বললে না সুখে আছে সে।
: হ্যা নিশ্চয়ই সুখে আছে । ওর মত লক্ষী একটা মেয়ের তো তাই থাকবার কথা। সৃষ্টিকর্তা ওকে সুখেই রাখবেন।
:মানে? কোথায় আছে ঈষিতা?
: কেনো ইমতিভাইয়া আপনি জানেননা? বিস্ময় ঝরে পড়ে বুঝি ইলিনার কথায়! প্রায় এক বছর হতে চললো গত বছর ৫ই ফেব্রুয়ারী ইউনিভারসিটি থেকে ফেরার পথে বাস এক্সিডেন্ট করে ঈষিতা। মৃত্যুর আগে পাঁচদিন কমায় ছিলো।
আপনি তার জীবনের এমন একটি মানুষ অথচ তার কোনো খবরই জানেননা !! তার সাথে যোগাযোগের কোনো চেষ্টা করেননি! বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়ে বুঝি ইলিনা। কিন্তু সে কি কি বলে যায়, কি কি লিখে যায় কিছুই মাথায় ঢোকেনা আর ইমতির।
:৫ই ফেব্রুয়ারী , পাঁচদিন, তার জন্মদিন, কমা, বিড়বিড় করে কি যেন সব হিসেব মিলোতে চেষ্টা করে ইমতি। কিন্তু বার বার গন্ডোগোল হয়ে যায় তার।
কিছুতেই আর হিসেব মেলেনা তার .....
এই লেখাটা অনেকদিন আগে লিখেছিলাম কোনো এক প্রিয় বন্ধুর জন্মদিনে।
কিন্তু কোনো এক কারণে শেষ পর্যন্ত পাবলিশ করা হয়ে ওঠেনি আর। আজ নিজের জন্মদিনে মনে পড়ে গেলো সেই কথাটা।
আর তাছাড়া এই ভারচুয়াল জগতে ঈষিতার মত কখন কে হঠাৎ হারিয়ে যায়, কে বা তার খবর রাখে, কি বা তার কারণ ? সে সব তো অজানাই থেকে যায় কখনও কখনও আমাদের..................
যাযাবর ভাইয়া, তাসনুভা বিথি, রেজুমনি, আরজুপনি আপুনি, প্রিয় বন্ধু নস্টালজিক, ছোট্ট ভাইয়া সজীব ও পিচকি লক্ষীভাইয়া সাজিদ, রোমেন রুমি আবৃতিকার ভাইয়া, সেলিমভাইয়া আর অনেক অনেক অনেক প্রিয় একটা ভাইয়া ফয়সালভাইয়া যার বার্থডে উইশ ছাড়া আমার জন্মদিনটাই সম্পূর্ন হয়না আর আজকাল ও আমার সেই অনেক প্রিয় বন্ধুটি ও এই ব্লগের প্রতিটি মানুষের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।