ঢাকা মেট্রোপলিটন সিটি। কোটি লোকের বাস। প্রতিদিন এই শহরে মানুষ আসছে জীবনের তাগিদে। আমি এবং আমরা ধানমন্ডির আশেপাশে একটা ফ্লাট নিয়ে থাকি ভাই ব্রাদার নিয়ে। প্রায় সবাই প্রাইেভট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট।
গতকাল রাতে একটি অপ্রিতিকর ঘটনার কথা শেয়ার করতেই সামুর এই একাউন্ট রি-এক্টভি করা।
০৪ অক্টোবর ২০১০, রাত ১টা ৫৬ মিনিট
বাসার সবাই ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনেক দিনপর গেস্ট ছাড়া ফাকা ফাকা বাসাতে শান্তির ঘুম দিয়ে কাল সকাল থেকে আবার দৌড়াবো। হঠাৎ কলিংবেলের শব্দ……..
কে? কে এত রাতে…..?? নিশ্চিত মাহাবুব ভাই…. মদ খেয়ে মাতলামি করতে এসেছে।
মাহাবুব ভাই (এলাকার বড়ভাই, আমাদের সামনের ফ্লাটের বাসিন্দা।
আমাদের ফ্লাট মালিকের মামা। )
কলিংবেল অনবরত বাজছে…. মাঝে মাঝে দরজায় ধাক্কা, লাথি, মাতালের উল্টাপাল্টা গালাগালি।
রাত ২টা ৩০মিনিট
আমরা ফ্লাটের মেইন দরজা বন্ধ করে একটা রুমে আশ্রয় নিলাম। সবাই আল্লাহ কে ডাকছি, আর যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত আছি।
রাত ২টা ৪৫মিনিট
মাহাবুব দা নিয়ে আসল…. দরজা কেটে ফেলবে।
অনবরত গালিগালাজ…. “এই দরজা খোলেনা ক্যেরে…..”
রাত ৩টা ১৬মিনিট
মাহাবুব নিজের ফ্লাটে ঢুকে গেল। আমরা সবাই এক রুমে মিটিংএ বসলাম, কাল কি করব আমরা? সাথে একটা আতংক আবার যদি আসে…
সব আলোচনার শেষে সিদ্ধান্ত হল এই বাসাই আমরা আর থাকবো না, নতুন বাসা খুজতে হবে।
০৫ অক্টোবর ১৪টা ২১মিনিট
বাইরে বৃষ্টি নামবে, মেঘলা আকাশ। বাসার মদ্ধ্যে ১০ জন অসহায় ছেলে, আস্তে আস্তে কথা বলছি, সবার মদ্ধ্যে আতংক। বাসা খুজছি… যার যেখানে পরিচিত আছে ফোনে চেষ্টা করছি, একটু পর বাইরে বের হবো ব্যচেলর ফ্লাট খুজতে।
বৃষ্টি হলেও কিছু করার নাই। কারন মাহাবুবের হাত অনেক লম্বা। থানার লোকজন, পার্টির লোকজন সব রাতেই তার সাথে আড্ডাই বসে।
এভাবে আর কত দিন চলবে মাহাবুবদের অত্যাচার?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।