অনেক হাসি-কান্না মিথ্যা হতে পারে কিন্তু প্রতিটি দীর্ঘশ্বস'ই সত্য।
সাইখ সিরাজ বর্তমান বাংলাদেশে মিডিয়া ব্যাক্তিত্বের এক অনন্য নাম। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থাপনার অগ্রগতি ও ভবিষ্যত গন্তব্য নির্ধারনে যার ভুমিকা অনস্বিকার্য। মিডিয়াকে সাধারনের বঞ্চনা মুক্তির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের সম্ভব্যতা তিনিই প্রমান করেছেন। কিন্তু গত রাতের ”চ্যানেল আই” এ তার ডকুমেন্টরী দেখে খুবই হতাশ হয়েছি।
মিডিয়া নিয়ে তিনি যে সমস্ত তথ্য তুলে ধরলেন তা সবই নেগেটিভ। বস্তুত ডকুমেন্টরী'টি ছিল মিডিয়ার সমালোচনামূলক। যেখানে মিডিয়া সমাজের কি কি ক্ষতি করছে, মিডিয়া কিভাবে মিথ্যাচার করছে, কিভাবে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করছে তাই তুলে ধরা হয়েছে এইডকুমেন্টরী'তে। এখানে তিনি মিডিয়ার অপকর্ম ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কয়েকটি হলিউড মুভি এবং সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউডের ছবি ”পিপলি” এর কিছু ক্লিপস দেখালেন। সেখানে আর্ন্তজাতিক কিছু প্রসঙ্গও ছিল যেমন- ইরাক যুদ্ধ, আল-জাজীরা।
"পিপলি" সম্পর্কে এখানে কিছু বলর দরকার মনে করছি না। তিনি স্পষ্ট স্বীকার করে নিলেন ” মিডিয়ায় পারে সাধারনের দাবী কে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে আবার তেমনি পারে তিলকে তাল বানাতে”।
কিন্তু যা দেখালেন সবই নেগেটিভ, পজিটিভ তেমন কিছু উল্লেখ করেননি, শুধু স্বীকার করে নিলেন আমিও মিডিয়ার অংশ কাজেই এই দায়ভার আমারও।
ডকুমেন্টরীতে তিনি যা দেখিয়েছেন তা সত্য বটে কিন্তু প্রশ্ন হলো মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব হয়ে মিডিয়ার বিরুদ্ধে এই সত্য বচন হঠাৎ এখনই প্রয়োজন হলো কেন ?
আমার কাছে সম্ভব্য উত্তর একটায়, তিনি প্রকৃত পক্ষে সংসদে বসে যারা মিডিয়াকে তিরষ্কার করছিলেন তাদের বিপক্ষে যখন সারাদেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে তখন তাদেরকে ব্যাকআপ দিতেই এই আয়োজন করেছেন। ক্ষমাতাসীন দলের লোকজন যখন সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে তখন দেশের মিডিয়াগুলো ঐসব তথ্য প্রচার করে কি কোন দোষ করেছে ? এর সাথে 'পিপলি' কিংবা হলিউডের কোন ছবির কোন সম্পর্ক কতটুকুই বা আছে।
দৈনন্দিন খবরের কাগজে প্রকাশিত সরকারী দলের অপকর্মের বাস্তবতা সাধারন মানুষ স্বচক্ষেই দেখছেন, ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের এই দেশে টিভি নিউজ বা খবরের কাগজ ছাড়াও সংবাদ সবার কানে কানে পৌছে যায়। কিন্তু টিভি নিউজ বা খবরের কাগজে যাদি সংবাদগুলো না আসে তাহলেই বরং মিডিয়া গ্রহণ যোগ্যতা হারায়। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক কোন চ্যানেল ইচ্ছে করলেই সরকারী দলের এসব অপকর্ম ঢাকতে পারবে না।
কাজেই 'সাইখ সিরাজ' আপনি দয়া করে আপনার শ্রদ্ধা-সম্মানের জয়গটা নষ্ট করবেন না। আপনার মত রাজনিতীমুক্ত সমাজ সংঘঠক এ দেশে আরও প্রয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।