যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
ব্লগের আড্ডা মানেই সেরকম একটা ভাব। কেমন যেনো টানে। সবচেয়ে মজার যা ঘটে তা হলো ব্লগে যে নামে একজন মানুষ পরিচিত হয় - তার সাথে আর কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। যেমন ধরেন রাষ্ট্রপ্রধানের কথা। ভাবলাম বিশাল প্রটোকল মেনে আসবেন তিনি, কিন্তু এলেন একেবারে বীরবিক্রমে, কোনো এক্সট্রা ফোর্স ছাড়া।
তবে আমি একটু গুলিয়ে ফেলেছিলাম রাষ্ট্রপ্রধান আর রাজসোহানের মধ্যে। অনেকক্ষণ রাজসোহান মনে করে কথা বলে শেষে জানলাম যে আসলে সে রাষ্ট্রপ্রধান! তবে রাজসোহানের সাথে পরিচয় হলো আরো একটু লেটে।
যাদের সাথে পরিচয় হয় তাদের মধ্যে দারুণ একটা সম্বন্ধ গড়ে ওঠে সম্ভবত। যেমন বৃত্তবন্দী। একমাত্র ব্লগাড্ডাতেই দেখা হয়।
রাতমজুরও তেমন। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা তা হলো বয়সের শ্রেণীবৈসম্য ঠিক মেলে না। তাজুল ইসলাম মুন্না আর কালপুরুষ দা সবই এক বিন্দুতে এসে মেশে। আর এখন মুন্নাতো বিশেষজ্ঞ ব্লগার। তবে আমি নিশ্চিত ক্যামেরাম্যান ভাইয়ের বয়স কোনভাবেই ৪৫ হতে পারে না, বড় জোর চল্লিশ হবে।
মনুসর মোটা হইছে। বিষয়টা সন্দেহজনক। হাজির বিরিয়ানি খাওয়ানোর কথা কইয়া কথা রাখলো না। মোঘলাই খাওয়াইছে। অবশ্য এর আগে কালপুরুষ দা পিয়াজু আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই না নিয়া আইলে মনসুরের জন্য বদদোয়া করতাম।
আল্লাহ যেনো অরে দুইদুইটা বউ দেয়।
একদম নতুন আরো কয়েকজনের সাথে পরিচয় হইছে। তারমধ্যে একজন মিস্টিওয়ালা। ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে নিয়া আইছে। ফাটাফাটি টেস্ট।
নামটা ভুইলা গেছি। শামসির আইছে গ্যপে। চেহারাটা কিঞ্চিত চেঞ্জ হইয়া গেলেও টের পাইছি বিখ্যাত ফটোওয়ালারে। তারপরে দেখা হইলো ফয়সালের সাথে। ছোট মির্জার সাথে।
ছোট মির্জা একটা আইডিয়া নিয়া ব্লগে আলাপ করতে চায়, কিন্তু এখনও প্রথম পাতায় এক্সেস না পাওয়ায় বেচারা আলাপ করতে পারতেছে না। জসিম আসলো বোধহয় আরেকটু পরে। আরো কয়েকজনের নাম মনে পড়তেছে না। আইরিন আপুও আসলো মাঝখানে কোনো একটা সময়।
ব্লগের আড্ডায় আমি শামিমরে মিছ করছি।
অনেক খাওন ছিলো কিন্তু শামিম মিস করলো। আর একটা বিষয় এইভাবে ঘোষণা দিয়া ছাগু নিষিদ্ধ করায় কোনো ছাগুও দেখা যায় নাই। তবে আমি সন্দেহ করতেছি আমাদের পিছনে তিন/চারজন বইসা ছিলো, যারা ব্লগারদের দিকে তীব্র দৃষ্টিতে তাকাইয়া ছিলো। এছাড়া বাইরের কয়েকজন ব্লগারদের চামে ছবি তুইলা নিছে। এইগুলা ছাগু হইতে পারে।
আরেকটা বিষয় ব্লগাড্ডায় ইদানিং বেশী বেশী ক্যামেরা দেখা যাইতেছে। ব্লগাররা কি চিড়িয়াখানার জন্তু যে তাদের এইরকম পোছ মাইরা ছবি তুলতে হবে। মাইনাস, কয়েকোটি মাইনাস সহ তীব্র প্রতিবাদ জানাই ছবি তোলার। ছবিতে কেউ প্রভাবিত না হোক সেদিকে আমাদের সোচ্চার দৃষ্টি রাখতে হবে এবং ব্লগাড্ডাকে ছাগু ও ক্যামেরা মুক্তি ঘোষনা করতে হবে।
পরিশেষে, মনসুর ভাইকে কয়েক গ্যালাক্সি ধন্যবাদ।
কালপুরুষদাকে কয়েক ট্রাক ধইন্যাপাতা, আর ক্যামেরাম্যান ভাইকে ১ টেরাবাইট কৃতজ্ঞতা ফটোগ্রাফি বিষয়ক ডিভিডি দেবার জন্য।
নেকসট আড্ডার আয়োজক হিসাবে আমগো বিখ্যাত রামুদাকে দেখতে চাই। একদফা এক দাবী। নেক্সট আড্ডা যদি রামুদা না করে তাইলে বহুত গিয়ানজাম হইবে কইয়া দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।