হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীকে বলছি। আপনাকে আর ঐ পদে মানাচ্ছে না। এরপর যতদিন ঐ চেয়ারটি আগলে থাকবেন, লোকজন প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আপনার দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে বলবে, ঐ মহিলার গুণধর পুত্র অবসরপ্রাপ্ত উইং কমাণ্ডার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক আসাদুজ্জামানের ছেলে সাবরি-ই-জামানকে লক্ষ্য করে এসিড ছোড়ার ঘটনায় সহযোগীতা করার দায়ে গুলশান থানার পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হলে পর ঐ মহিলা একজন আইনজীবিকে সাথে নিয়ে গুলশান থানায় ছুটে যান ছেলেকে ছাড়িয়ে আনার জন্য। ধিক এই মহিলাকে যিনি নিজে একজন বিচারক হয়ে নিজের ছেলের অনৈতিক কাজকে পরোক্ষ-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। এরপরও কি আপনি মনে করেন ঐ চেয়ারটি আগলে থাকা আপনার পক্ষে শোভা পায় ? তাহলে ত ফরিয়াদী আপনার আদালতে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির কোন ভরসাই পাবে না। সুতরাং এই মূহুর্তেই কালবিলম্ব না করে ছেলের দায়ভার স্বীকার করে এই পদ থেকে পদত্যাগ করুন। তাতে আপনার স্বীয় মর্য্যাদা অটুট থাকবে নতুবা লোকের ছিঃ ছিঃ আপনাকে শুনতে হবে।
(দৈনিক প্রথম আলো, প্রথম পৃষ্ঠা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ ইং)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।