এর চেয়ে ভালো শুরু সুদূরতম কল্পনাতেও নিশ্চয়ই ভাবতে পারেননি জেরার্ডো মার্টিনো। বার্সেলোনার কোচ হিসেবে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই স্বপ্নের মতো শুরু হলো এই আর্জেন্টাইনের। প্রথমার্ধেই লেভান্তের জালে ছয়-ছয়টি গোল ঢুকিয়ে দিল বার্সেলোনা। লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার মিশনটাও দুর্দান্তভাবে শুরু করল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেটিও নেইমারকে ছাড়াই।
ডাগআউটে বসে নতুন সতীর্থদের গোলউত্সব দেখছেন আর মাঠে নামার জন্য অস্থির হয়ে আছেন এই ব্রাজিল তারকা। এমন গোল-উত্সবে যোগ দিতে কার না মনটা আনচান করে!
বার্সার গোলবন্যায় অবশ্য একক কোনো কৃতিত্ব নেই। কোচকে বরণ করে নিতে মেসি-জাভি-ফ্যাব্রিগাসনরা যেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন। গত মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি অবশ্য এরই মধ্যে দুটো গোল করে হ্যাটট্রিক দিয়ে শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বার্সার বাকি চারটি গোল এসেছে চারটি ভিন্ন পায়ে।
শুরুটা করেছিলেন অ্যালেক্সিস সানচেজ। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই। ১২ মিনিটে ব্যক্তিগত গোলের খাতা খোলেন মেসি। ২৩ ও ২৬ মিনিটে আরও দুই গোল লেভান্তেকে হজম করান দানি আলভেস ও পেদ্রো। ৪২ মিনিটে মেসির পেনাল্টির পর প্রথমার্ধের শেষ প্রান্তে ৬-০ করেন জাভি।
বার্সেলোনা সর্বশেষ প্রধমার্ধেই আধ ডজন গোল করেছিল ২০০১ সালে।
লেভান্তে যে হেলাফেলার দল, তাও কিন্তু নয়। আসলে বার্সা যখন নিজের পূর্ণ ছন্দে নাচতে থাকে, তখন তা একই সঙ্গে অবিশ্বাস্য সুন্দর এবং ভয়ংকরও! পেপ গার্দিওলার হাত ধরে যে টিকিটাকার নবজাগরণ শুরু হয়েছিল, টিটো ভিলানোভার হাত ঘুরে এবার মার্টিনোর কাঁধে চড়ে সেই দৃষ্টিনন্দন পাসিং ফুটবল যেন অন্য এক মার্গে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিচ্ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।