আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউনিপেটুইউ

I want to be a dedicated social worker.

আমাদের দেশে নাকি প্রতারণার ছাপ সব জায়গাতে। কিন্তু কেন? আমাদের দেশের মানুষ কি এতই বোকা বা হাদারাম যে যা বলবে তাই মেনে নিয়ে চলতে হবে? নিজের কোন বিচার বা বিবেক বুদ্ধি নেই? নেই কোন সচেতনতা বোধ? নেই কোন আত্মসম্মান? আমাদের কি অন্যের প্ররচণায় প্রতিবার মুখহুমরিখেয়ে পড়বে? আমাদের তো সবই আছে। সচেতন মহল থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর মানুষই আমাদের দেশে আছে। কিন্তু কেন তবে আমরা প্রতিবারই প্রতারণার শিকার হচ্ছি? যারা সচেতন বলে দাবি করে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন হল: যখন মানুষ কোন বিষয় নিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে তখন কিছুই বলে না! বরং শিকারের মুখের ভিতর চলে গেলে তাকে টেনে বের করে আনার জোর ব্যর্থ চেষ্টা করে অথবা আমাদের সচেতনতাকে ব্যর্থ বা নিন্দার জানানো হয়। যখন মানুষ প্রতারণা কাছে যায় তখন যে ভাল মানুষ তারা চেয়ে চেয়ে দেখে আর মজা লুটে।

আবার কিছু লেখার মাধ্যমে তারা তাদের সচেতনতাকে ফুটিয়ে তুলতে বা নিজেদের দোষ কমানোর জন্য নানা ফন্দি ফিকির করে। আমার কথার মধ্য দিয়ে অনেক লেখক বা সচেতন মহল কষ্ট পেলেও এটা সত্য। যদিও আমি নতুন, সেহেতু কথার ভাব সেই ভাবে তুলতে পারি নই হয়তো। আজ সকালে যুগান্তর পত্রিকা খুলে পড়ার সময় ৩ নং পাতার প্রথমেই ইউনিপেটুইউ-এর ঝুকিপূর্ণ লেনদেনের কথা পড়লাম। এর সারমর্ম এই যে, একটি প্রতারক চক্র বাংলাদেশে এসে যা মালশিয়ানভিত্তিক একটি নামদারি প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিচ্ছে মানুষের লাখ লাখ টাকা।

আমি গাজীপুরের বাসিন্দা। আমিও এই কোম্পানি সম্পর্কে কিছুটা জানি। কিন্তু আমার সাংঘাতিক ভাই যে উক্তিটি প্রকাশ করেছেন তা আমি আমার ব্লগে না লিখে পারলাম না। সাংঘাতিক ভাই বা সচেতন মহলের একজন সদস্য হিসেবে তাকে আমি বলতে চাই যে, তিনি কতটুকু যেনে নিয়ে এসব উক্তি করেছেন তা আমার বোধগম্য হয়ে গেছে। তার প্রথম উক্তিটি হল বিনিয়োগ: ঝুকিপূর্ণ।

এটা মানা যায়। যেহেতু শুধু মাত্র একটা ওয়েব সাইট নির্ভর বিনিয়োগ যে কোন মানুষই যারা বুঝে তারা বলবে না মেনে নিবেই ঝুকিপূর্ণ। কিন্তু যারা ইন্টারনেটে ডাটা কালেক্শন করে বা আয় করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে তারা তো শুধু মাত্র একটি ওয়েভ সাইটের উপরই নির্ভর করে। যা হোক পরের কথায় আসি। তিনি বলেছেন যে এখনও পর্যন্ত কোন ইউজার বা ক্লাইন্ড বা সদস্যই প্রতারণার শিকার হয় নাই।

তবে হতে পারে বলে অনেকেই মনে করে। আমার প্রশ্ন হল অনেকে কি মনে করে তা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে লাভ কি? আমার সাংঘাতিক ভাই যদি সব কিছু জানতে ঢাকার অফিসে বা বাংলাদেশের নিযুক্ত সংস্থার কাছে গিয়ে অবস্থা নির্ভর বা যুক্তি নির্ভর সংবাদ আমাদের সামনে প্রকাশ করলেই তো আমরা আমাদের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে পারি। তিনি আরো বলেছেন যে, তিনি শোনেছেন যে মানুষ জমি-জমা, শেষ সহায় সম্বল বিক্রি করে, ডিপোজিট ভেঙ্গে, জমানো টাকা নিয়ে বা প্রতারণার ফাদে পা দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন তিনি যখন প্রথমেই বলছেন যেখানে উক্তিটি বলেছেন যে, এখনও পর্যন্ত কেউ প্রতারণার শিকার হন নাই বা যিনি বিনিয়োগ করেছেন তিনি তার টাকা ফেরত পাচ্ছেন নিয়মিত ভাবে। তখন এই বিনিয়োগ কিভাবে প্রতারণা হতে পারে।

তিনি পূর্বে অনেক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বলেছেন। যা সত্যি ভাল লেগেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বা প্রতারক চক্র আমাদের দেশকে কেন বেছে নিচ্ছে? তা আমাদের ভাবার সময় কি হয় নি? তার পরও কথা থেকে যায় তিনি শুনেছেন বা সচেতন মহল মনে করে এরকম সংবাদটি পড়ে আমার মনে হয়েছে যে সংবাদটি তিনি অন্য কারও মুখের কথায় লিপিবদ্ধ করেছেন। তার শেষের কথায় মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশে ব্যাংক দ্বারা পরিচালিত বা নির্দেশিত কিছু শর্ত মেনেই তারা লেনদেন করেছে। এখানে অনেকেরই মনে হতে পারে যে এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে দালালি করছি।

আসলে আমার লেখার আসল উদ্দেশ্যই হলো আমার কথার ভিত্তিতে যদি এ প্রতিষ্ঠানের কোন সত্যি দিক গুলো বেরিয়ে আসে তাহলে আমাদের দেশের লোকের জন্য কি ভাল হবে না? যারা জানেন তারা যেন যুক্তির মাধ্যমে সত্য বিষয়টি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।