আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নয়টায় অফিস কয়টায় আসি... আমার দোষ?



বছর দুয়েক আগেও টঙ্গী থেকে শান্তিনগর আসতে গড়ে সময় লাগত দেড় ঘন্টা। মোটামুটি ঠিক সময়েই অফিস করতে পারতাম। (একেই বলে যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ। তাই বলে এতো খারাপ!!!) ৭টায় বাসে রওনা দিলে ৯টার মধ্যেই সুবোধ কর্মকর্তার মত অফিসে চলে আসতে পারতাম। এখন ৩ ঘন্টাতেও মাঝে মাঝে অফিসে আসতে পারি না।

গড়ে আড়াই ঘন্টা সময় লাগে। মহাবীর আলেকজান্ডার এতো প্রস্তুতি নিয়ে শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পরতেন কিনা জানি না। বাট আমাকে প্রতিদিন সকালে অফিসে আসতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হয়। কেননা পথে পদে পদে বিড়ম্বনা। প্রথমেই কাউন্টারে টিকেটের জন্য গুতাগুতি, তারপর বাসের জন্য ওৎ পেতে অপেক্ষা।

আসলেই আ...ক্র...ম...ণ...। কিন্তু হায় পোয়াতির মত বাসে খালি সিট তো দুরের কথা রড খালি পাওয়া মানেই ঈদের চান হাতে পাওয়া। তারপর আবার গুতাগুতি। এবার উদ্দেশ্য একটা সিট পাওয়া। কিন্তু জনাব বিষয় অতো সহজ না।

প্রতিটি বাসের গেটে মধু লাগানো থাকে তাই সহজে গেট ছেড়ে কেউ পেছনে যেতে চায় না। কিন্তু আমি দেখেছি পিছনে গিয়ে দাড়ালেই সিট পাওয়া যায় (এজন্যই লোকে বলে আগে গেলে বাঘে খায়, পেছনে থাকলে সোনা পাওয়া যায়)। কিন্তু সোনা পেয়ে লাভ কি বাস-ই যদি সামনের দিকে না আগায়? ফলাফল অফিসে লেট। এখন দোষ আমার!!!! অথচ আমি ৬টায় ঘুম থেকে উঠে ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হই। এরপর ভাবলাম ট্রেনে যাতায়াত করব।

শুরু করলাম সে প্রস্তুতি। পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্যও আমি এতো ঘুরি নাই। অথচ কয়টার ট্রেন কখন আসে কয়টায় ছাড়ে সেটা রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে বুঝতে বুঝতে ৬ মাস পার হয়ে গেল। এখনও বুঝতে পারলাম না। সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা।

তবে এটা ঠিক বাসের চেয়ে ট্রেনে টঙ্গী থেকে ঢাকা আসা অনেক আরামের। তবে ব্যারাম যা কিছু আছে তা ঐ রেল কর্তৃপক্ষের। তবে আশার কথা হলো, টঙ্গী থেকে বাসে আসলে কখনও কখনও অফিসে ঢুকতে ২ ঘন্টা লেট হতো, এখন ট্রেনে আসায় ২০-৩০ মিনিট লেট হয়। লেট আমার পিছু ছাড়ছে না। লেট আমার সাথে ল্যাপ্টাইয়া আছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।