আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন
সেদিন সূর্যাস্তগামী সড়কটা নিয়মিত ঔদার্যে মঞ্চের পর্দাটা উঠিয়ে নিলে,
ঘন্টায় পঞ্চাশ মাইল বেগে শাদা এক প্রাইভেট কারের পিঠে চারটে চাকা তুলে দিয়ে সহসা চড়ে বসেছিল অশ্লীল কুৎসিত একটা দশটনী ট্রাক; যেন কোন ক্লান্ত বুনো মহিষ হৃষ্টচিত্তে এলিয়ে আছে সদ্যধর্ষিত এক ভীত হরিণীর শরীরের উপর। তার যৌনাঙ্গসদৃশ প্রপেলার শ্যাফট এবং হরিণীর বুটের অধৈর্য প্রয়াসের ক্ষতচিহ্ন এঁকে যাচ্ছিল থিরথিরিয়ে কাঁপা একটা কাটা রক্তাক্ত হাত। এই অযৌক্তিক মিলনের তাৎক্ষণিক ফসল হিসেবে পাঁচটি মৃত্যু নিয়ে থেঁতলে-দুমড়ে-মুচড়ে-চুপসে গিয়েছিলো সেই গর্ভবতী প্রাইভেট কারটি। আর পিচের রাস্তায় সেই ট্রাকের বীর্য সগর্বে কদর্যতার ছাপ এঁকে যাচ্ছিল পেট্রল আর রক্তের সাথে মিশে।
ওই পথনাট্যের কৌতুহলী দর্শক ছিল ব্যস্ত দুটো ইউনিফর্ম, আমি এবং গোটা বিশেক অন্য কেউ।
-২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।