আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিফিনের টাকার লটারিতে ভাগ্য খুলেছে মিনুর



এ টাকা দিয়ে আমি পড়াশোনা করব, চিকিৎসক হব। ছোট বোনদের পড়াব। বাবা-মাকে আর কষ্ট করতে দেব না। ’ কথাগুলো বাংলাদেশ স্কাউট লটারির প্রথম পুরস্কার বিজয়ী মিনু তঞ্চঙ্গ্যার (১২)। আদিবাসী এ শিশু মাত্র একটি লটারির টিকিট কিনে এ পুরস্কার জিতেছে।

গত শুক্রবার লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। পুরস্কার হিসেবে মিনু পাবে ২৫ লাখ টাকা। মিনু তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায়। সে স্থানীয় ওয়াগ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। মিনুর বাবা কালো তঞ্চঙ্গ্যা সবজি ব্যবসায়ী।

মা তারা তঞ্চঙ্গ্যা গৃহিণী। চার বোনের মধ্যে মিনু সবার বড়। লটারি জেতার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মিনুর নিরাপত্তা দিতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। গতকাল সোমবার মিনুকে জেলা প্রশাসকের কাছে নিয়ে আসে উপজেলা প্রশাসন। সেখানে মিনুর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।

মিনু জানায়, স্কুলের টিফিনের টাকা দিয়ে সে লটারির টিকিটটি কিনেছিল। লটারি জিতবে—এ কথা সে কখনো চিন্তা করেনি। তবে ওই দিন রাতে সে স্বপ্ন দেখে, লটারি জিতেছে। পরদিন সকালে এ কথা সে তার মাকে জানায়। মাকে সে বলে, সত্যি সত্যি এ টাকা পেলে সে প্রাইভেট পড়বে, বোনদেরও প্রাইভেট পড়াবে।

মিনু বলেছে, লটারির টিকিটটি সে সব সময় ব্যাগে রাখত। গত রোববার স্কুলে যাওয়ার পর সে জানতে পারে লটারিতে সে প্রথম পুরস্কার জিতেছে। প্রথমে তার বিশ্বাস হয়নি। পরে প্রথম আলোতে ছাপা হওয়া লটারির নম্বরের সঙ্গে তার টিকিটের নম্বর মিলে গেলে সে খুশিতে লাফ দিয়ে ওঠে। স্কুলের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীরাও আনন্দ প্রকাশ করে।

তারা সবাই তাকে অভিনন্দন জানায়। জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, লটারির টিকিটটি তিনি সরকারি ট্রেজারিতে রেখে দিয়েছেন। জেলা স্কাউটের সম্পাদক মোস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশ স্কাউট পরিচালিত লটারির মধ্যে ২৫ হাজার টিকিট দেওয়া হয় রাঙামাটি জেলায়। সেখান থেকে কাপ্তাই উপজেলায় দেওয়া হয় চার হাজার। আর ওয়াগ্গা বিদ্যালয়ে দেওয়া হয় ২০০টি।

সুত্র প্রথম আলো

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।