সময়কে কাধে নিয়ে চলো বন্ধু
নিউওয়ে, বিজনাস, ডেসটিনি..... র মতো নতুন আরো একটি এমএলএম কোম্পানী গজিয়েছে। তারা বলছে সরকারের অনুমোদন আছে তাদের ব্যবসায়। তারা স্বর্ণ ও ডলার ব্যবসা করে বলছে। সদস্য এন্ট্রি ফি ৮,০০০টাকা। তারপর ১লাখ টাকা রাখলে শিগগিরই সেই টাকার দ্বিগুন উঠে আসে ইত্যাদি ইত্যাদি অফার তাদের।
প্রতি নতুন সদস্যকে যুক্ত করলে পাবেন ৯০০টাকা।
এই কথাগুলো আমাকে জানাচ্ছিল আমার এক বন্ধু, সে জানালো তার ফুপ্পি, খালারা সবাই এর সদস্য হয়েছে। তাদের টাকা উঠে এসেছে। তারা নতুন সদস্য খুজছে তাই সে আমাকে অফার করছিল তার এই ব্যবসায় জড়িত হতে। আমি বললাম আমি কখনো এই নেটওয়ার্কিং ব্যবসায় বিশ্বাস করি না।
ইতিপূর্বে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় যুবক বন্ধ হয়ে গেছে। নিউওয়ে তরুন ছেলে মেয়েদের মাথা খারাপ করে তারাও পালিয়েছে। এসবই ধোকা। মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে তারা একটা বৃহৎ পুজি সংগ্রহের চেষ্টা করছে। ৮০০০টাকা করে যদি তারা নেয় তবে এই রকম ১হাজার সদস্য করতে পারলে তাদের পুজি দাড়াবে ৮০লাখ টাকা।
এভাবে যে তার সদস্য হবে সে নতুন সদস্য খুজবে তার পুজি তুলে আনতে। তখন সে নতুন নতুন মানুষদের উদ্বুদ্ধ করবে। এবং তাদের ব্যবসার লাভের ফুলঝুড়ি ছড়াবে। আর এ সুযোগে পকেট ভারী হবে কোম্পানীর। তারা মাঠ থেকে পুজি নিয়ে মাঠেই কর্মীদের তৎপর রাখবে।
এসব যখন বলছিলাম তখন আন্টি এসে আমার সাথে শুরু করলেন নতুন করে। তিনিও বলা শুরু করলেন এই ব্যবসার গুনাগুন সম্পর্কে। তিনি জানালেন তাকে তার এক ভগ্নিপতি জানিয়েছেন যে ১লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন সব রিস্ক তার। তাই তিনিও ভগ্নিপতির বিশ্বাসে লাভের স্বপ্ন দেখছেন। কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না এটা ধোকাবাজির ব্যবসা।
তিনি অবশ্য বললেন তোমার আঙ্কেল জানলে আমাকে বকা দিবে। কিন্তু ওরা যেভাবে ধরেছে তাতে সদস্য না হয়ে পারিনি। তিনি জানান ব্যাংকের মাধম্যে তাদের একাউন্টে টাকা জমা দিয়েছেন তিনি।
ইচ্ছে করলে টাকার বিনিময়ে তিনি কিছু পন্য তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। জানতে চাইলাম সেটা কি পন্য? তিনি বললেন এই যেমন ধরো মোবাইল।
বুঝতে পারলাম চায়না নিম্ন মানের মোবাইল দিয়ে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা।
অবশেষে তিনি আমাকে দায়িত্ব দিলেন তুমি ওদের অফিসে যাও গিয়ে বিস্তারিত জেনে আমাকে জানাবে। আমি বললাম আচ্ছা। ইতিমধ্যে তাদের বাসায় আরো কিছু তরুনের উপস্থিতি যারা এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে এবং তারা নতুন সদস্য খুজতে মিটিংয়ে বসছে।
প্রিয় পাঠক এই ব্লগে এই ভন্ড নেটওয়ার্কিং কোম্পানীটির সম্পর্কে জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন প্লিজ।
এতে শুধু আমার ঐ আন্টির জন্য কিছু তথ্যই সংগৃহীত হবে না। ব্লগের হাজার হাজার পাঠকের জন্যও অনেক উপকার হবে। সচেতনতার জন্য ইউনিপেটুইউ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন কি কেউ?
unipay2u র নাকি ওয়েব সাইট ও আছে।
ওরা বিদেশী বুর্জোয়া। ওরা আমাদের সহজ সরল মানুষকে কথার ফুলঝুড়িতে স্বপ্ন দেখিয়ে পকেট ফাকা করতে তৎপর।
ওদের কেউ প্রশ্রয় দিবেন না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ বন্ধু প্রিয় এবং সরল বিশ্বাসী। তাই ওপনিবেশিক শাসকরা বারে বারে আমাদের মাথার ওপর শকুনের কালো দৃষ্টি ফেলে। আর একাজে ওদের হয়ে কাজ করে এদেশের নব্য শিক্ষিত সভ্য রাজাকারেরা। আসুন এদের প্রতিহত করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।