বাঙ্গাল মানুষ
১৯৫৭ সালে পিরোজপুরের নেছারাবাদের ছারছিনা দারুচ্ছুন্নাত আলীয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাঈদীকে মওদূদীর বই বিতরণ করার দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্ত দলকে এ তথ্য জানিয়েছেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ড. সৈয়দ সরাফত আলী।
এদিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে দায়ের হওয়া মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্ত দল সাঈদীর ছাত্রজীবনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বিডির।
গত মঙ্গলবার তদন্ত দল জেলার নেছারাবাদের ৮ টি বধ্যভূমি ও গণকবর এবং ছারছিনা দারুচ্ছুন্নাত আলীয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
তবে মাদ্রাসা পরিদর্শনের বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত ছিল না।
সূত্র জানায়, তদন্ত বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় যুদ্ধাপরাধের ঘটনার সঙ্গে এ মাদ্রাসার নাম উঠে আসে। পরে সেখানে পরিদর্শনে যান তদন্ত দলের সদস্যরা।
এ সময় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ড. সৈয়দ সরাফত আলী তদন্ত দলকে জানান, ১৯৫৭ সালে ফাজিল শ্রেণীতে পড়ার সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ছারছিনা মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অধ্যক্ষ আরো জানান, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মওদূদীর সংগঠনের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক তৈরি হয় তারা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
সে হিসেবে মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে মওদূদীর বই বিতরণ করায় মাদ্রাসার ছাত্র সাঈদীকে বহিষ্কার করা হয়।
এ সময় তদন্ত দল মাদ্রাসার দাখিল সনদ বিতরণ রেজিস্ট্রার জব্দ করে অধ্যক্ষের জিম্মায় রেখে আসেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।