'একখণ্ড জমি কিনে রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি যে বিরল ভালোবাসার উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন দরিদ্র রিকশাচালক হাসমত আলী, তাঁর জন্য আজ আমরাও গর্বিত। হাসমত আলীর ভালোবাসা আমাদের সমাজ ও রাজনীতিতে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। চারদিকে আজ যখন শুধু চাওয়া-পাওয়ার হিসাব, তখন হাসমত আলীর মতো দরিদ্র মানুষগুলোর ত্যাগের গল্প আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। '
গতকাল সোমবার ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রয়াত দরিদ্র রিকশাচালক হাসমত আলীর স্ত্রী রমিজা খাতুনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পাকা ঘর নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, রমিজা খাতুনের এই বাড়ি শুধু থাকার বাড়ি হবে না, হবে ভালোবাসার অমূল্য নিদর্শন, ইতিহাসের অংশ।
উল্লেখ্য, হাসমত আলীর বসবাস ছিল গফরগাঁওয়ের রাওনা ইউনিয়নে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিল তাঁর আজন্ম ভালোবাসা। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের কষ্টার্জিত টাকায় গফরগাঁওয়ে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি কিনে লিখে দেন প্রিয় নেতার কন্যা শেখ হাসিনার নামে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর হাসমত আলীর স্ত্রী রমিজা খাতুন ঢাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালাতেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দরিদ্র হাসমত আলীর বিরল ভালোবাসা ও রমিজা খাতুনের জীবনযুদ্ধ নিয়ে কালের কণ্ঠ মে মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রমিজা খাতুনের সাক্ষাৎ ঘটে। হাসমত আলীর কেনা জমি প্রধানমন্ত্রী রমিজাকে ফিরিয়ে দেন। এ ছাড়া অসুস্থ রমিজার চিকিৎসার ব্যবস্থা ও খরচ প্রদানসহ আলোচিত জমিতে রমিজাকে একটি বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। click
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।