বাংলার আলো-জলে ধূলো মেখে বেড়ে ওঠা মুক্তি
সেই কবে হৃদয়ের পাতা প্রথম কেঁপেছে তা শুরু মনে করতে কস্ট হয়নি একটুকু। জীবনে প্রথম ইস্কুল গেলাম যেদিন সেদিনই মনে ধরল একজনকে। প্লে-গ্রুপের ছাত্র আমি । ইস্কুলে আসা-যাওয়া হবে সপ্তাহখানেক। ব্যাস, টুম্পার সাখে জমে গেল ভাব।
তবে প্রথম প্রেমের কথা বলতে গেলে সীমা ম্যাডামের কথাই বলতে হবে। প্রতিদিন যার হাত ধরে আমি ইস্কুলে যেতাম।
তারপর ক্লাস থ্রিতে ভর্তি হলাম সুফিয়া কামাল শিশূ নিকেতনে। কালো মেয়ে ডলির হাত ধরেই পরিচিত হলাম প্রাঙ্গণে। আমি ইস্কুলে এলেই ছুটে এসে ক্লাসে নিয়ে যেত ও আমাকে।
আমার জন্য একটা জায়গাও বরাদ্দ রাখত ওর পাশে। পরে কিভাবে যেন সম্পর্কটায় ভাটা পড়ে গেল। এর কারণটা অবশ্য ওর বান্ধবী এ্যাণী।
ফ্যাশন গার্ল এ্যাণীর সাথে ভালোই কেটেছে কিছুদিন।
তারপর ফাইভে এলাম বেগম রোকেয়া শিশু নিকেতনে।
আশার পিছনে আমরা ৭/৮ জন অকারণে ঘুরতেই অনেক মজা পেতাম।
তবে জমে গেল রুম্পার সাথে। ইস্কুল ছাড়াও অফিসার্স কোয়ার্টারে একসাথে থাকার কারণে বিকেলগুলোতে প্রজাপতি হয়ে যেতাম আমরা। ও ভালো নাচত আর আমি ছবি আঁকতাম। একইসাথে বিভিন্ন প্রোগামে অংশ নেয়ার সুবাদে -- স্কার্ট পড়া মেয়েটির দিকে তাকিয়ে খাকতে ভালো লাগত আমার।
কুড়িগ্রামে ছিলাম তিনমাস। ইংরেজী গ্রামার পড়তাম দুইব্যাচ সিনিয়রদের সাথে। ভালোলাগত রক্তলাল নীলা আপু ও ফিনফিনে সাদা সদা হাস্যমুখ লাবণী আপুকে। একটা ভালো বোঝাপড়া গড়ে উঠেছিল যুথী,আশরাফিয়া, তিথি, দের সাথে। বন্ধু খালেক যুথীর প্রেমে হাবুডুবু না খেলে হয়ত আমি ডুবে যেতাম।
তারপরও যুথীর সাথে যোগাযোগ ছিল অনেকদিন।
বন্যার সাথে পরিচয় ক্যাডেট কলেজ কোচিং স্কাফ এ। ধারালো মেয়েটির প্রতিটি পদক্ষেপ শিহরিত করত আমাকে। খুবই লজ্জ্বা পেয়েছিলাম এসএসসির আগে আগে যখন কোচিং এর সবার খুব পছন্দের আহমেদ স্যারের সাথে দেখা হলে স্যার প্রথমে বললেন, কি রে শয়তান কেমন আছিস?? - আমি দাঁতগুলো বের করে বললাম -ভালো। সাথে সাথেই গুগলি ছাড়লেন স্যার, বন্যা কেমন আছে? আমি তো থ..অনেকদিন পরে সেদিন ভূলে যাওয়া বন্যার নামটা মনে হয়েছিল আরেকবার।
ক্যাডেট কলেজ নামক এক জেলখানায় বন্দী হবার পর আমার রাজ্যে নারীদের আনাগোনা কমে গেল।
এস এস সির পর মুমু নামক এক পাগল প্রেমিকার আবির্ভাব ঘটল । তার রাজপুত্রের মত প্রেমিককে ছেড়ে সে আমার সাথে .... তার প্রেমিকের সাথে পরিচয় হল । এমন সুদর্শন ছেলে আমি বাংলাদেশে আগে কখনো দেখিনি।
ঝর্নার সাথেও বোঝাপড়াটা ভালো ছিল।
কলেজ লাইফ শেষের দিকে পরিচয় সুবর্না নামের এক কারমাইকেল কণ্যার সাথে।
আর এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আমি মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকলাম। বোমা মারলেও কিছু বের হবে না। হয়ত হবে অনেক বছর পরে(যদি বেঁচে থাকি)। তবে এখানে তেমন কোন ব্যপার নেই।
ক্যারিয়ার টাই আসলে প্রেম হয়ে গেছে এখন।
সবগুলোই আবার কিভাবে যেন নষ্ট হয়ে যেত। সম্পর্কটগুলো প্রেমেও পরিণত হয়নি আবার বেশীদিন স্থায়ীও হয়নি । কিন্তু আমার স্মৃতি হিসেবে এগুলো অনেক মধুর .....(সেন্সরড)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।