কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়
সারা দেশে গরুর তড়কা(অ্যানথ্রাক্স) রোগে আক্রান্তের খবরে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। সরকারী পশু সম্পদ বিভাগ ও গণ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে এই রোগ সম্পর্কে জন সচেতনতা সৃষ্টির জন্য। যাতে করে মহামারী আকারে এই রোগ ছড়িয়ে না পড়ে। সরকার এবং গণমাধ্যমকে অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে তাদের কার্যক্রমের জন্য। আক্রান্ত গরুর মাংস না খেলে আর কোন সমস্যা নেই।
তড়কা(অ্যানথ্রাক্স) রোগের টিকাও দেয়া হচ্ছে গরুকে বাঁচানোর জন্য।
প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় কত মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে, কেউ পঙ্গু হয়ে আজীবন দুঃসহ জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে তার জন্য আমরা কি করছি।
* মানিকগঞ্জে বাস খাদে পড়ে নিহত ১, আহত ৪০
* চট্টগ্রামে পিকনিক যাত্রীদের বাস উল্টে নিহত ২
* পাবনায় ট্রাক-কার সংঘর্ষ, নিহত ৫
* ঢাকা,নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
এই খবর গুলো আজকের বিডিনিউজে শীর্ষ খবর হয়ে ঝুলে আছে।
বিগত ৩ বছর আগে বার্ড ফ্লু নিয়ে বেশ সাড়া পড়ে গিয়েছিল সারা দেশের পোল্ট্রি খামারীদের মধ্যে। ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকাও করা হয়েছিল।
লক্ষ লক্ষ মুরগী পুড়িয়ে অথবা মাটি চাপা দিয়ে এই এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। স্বাস্থ বিভাগের মতে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত মুরগী স্বাভাবিক রান্নার তাপে জীবাণু নষ্ট হয়ে যায় এবং মুরগী কাটা বাছার পরে সাধারণ সাবান দিয়ে হাত ধুলেই কোন সমস্যা থাকে না। অথচ এমন আতংক ছড়িয়ে দেয়া হলো যে, কেউ আর মুরগীর মাংস খেতে চাইতো না, খামারীরা তাদের পূঁজি ধ্বংস করে দিলে আগুনে অথবা মাটি চাপায়। হায়রে আতংক, হায়রে অজ্ঞানতা!
গরুর তড়কা রোগটিও প্রায় তাই, প্রাচীন কাল থেকেই এই রোগ গরুর মধ্যে দেখা গেছে, এখনও বহাল আছে। গ্রামাঞ্চলে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, কোন পশু পাখির রোগ হলে তা যাচাই বাছাই না করে জবাই করে তার মাংস খাওয়া।
এতে কি ক্ষতি হতে পারে বা না পারে তা আমরা জানি না বা জানতে চাইও না।
আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, পাবনা সিরাজগঞ্জে অ্যানথ্রাক্সের যে খবর পাওয়া গেছে তা কিন্তু গ্রাম অঞ্চলেই। একই সাথে ঢাকা বা বড় কোন শহরে কেউ অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে বলে কোন খবর আমি পাইনি।
পরিশেষে ভাবনার বিষয় হলো, আতংক ছড়িয়ে যেমন বার্ড ফ্লুর জন্য পোল্ট্রি শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে তেমনি যেন গরুর খামারীদের পথে না বসাই এদিকে আমাদের সচেতন হতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।