আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দন্মেহঃ ইসলামী ঐতিহ্য ধ্বংসে সৌদি-ইসরাইলি তাণ্ডব

আমি আঁধারে তামাসায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে। দন্মেহ বা সাব্বাতেয়ানিজম যা ইহুদীধর্ম এর একটি রূপ যা প্রকাশ্যে ইসলামের সাথে সম্বন্ধযুক্ত নয় বরং গোপন চর্চা যারা অটোমান সাম্রাজ্যের চোরা ইহুদীদের দল এবং বর্তমান তুরস্ক বোঝায়। সাব্বাতাই যেভি যীশুখ্রীষ্ট বলে নিজেকে দাবী করেন এবং শেষ পর্যন্ত সুলতান মেহমেদ চতুর্থ দ্বারা শাস্তি অব্যাহতি করার জন্য মুসলমান ধর্ম গ্রহন করে কৃত্রিম ভাবে এবং যারা একটি সতের শতকের ইহুদী কাব্বালিও যুগ সময় পরেই সম্ভূত। যেভি এর রূপান্তরের পরে ইহুদীদের একটি সংখ্যা ইসলামের মধ্যে তাকে অনুসরণ করে এবং দন্মেহ হয়ে ওঠে। বিশ শতাব্দী থেকে অনেক দন্মেহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আন্ত-বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ আছে এবং সবচেয়ে তুর্কি সমাজের মধ্যে সম্পৃক্ত করেছেন।

কতক এখনও নিজেদের ইহুদী বিবেচনা করলেও দন্মেহ আনুষ্ঠানিকভাবে ইহুদী কর্তৃপক্ষ দ্বারা স্বীকৃত হয় না। ইতিহাস ইসলাম ধর্মে তাদের রূপান্তর সত্ত্বেও সাব্বাতিনরা গোপনে ইহুদীধর্ম এড়িয়ে যাওয়া বন্ধ না রেখে বরং প্রচ্ছন্নভাবে ইহুদী ধর্মানুষ্ঠান অনুশীলন অব্যাহত রাখে। তারা যীশুখ্রীষ্ট হিসাবে সাব্বাতাই যেভি স্বীকৃত ইহুদী ধর্ম নির্দিষ্ট আদেশের পালন এবং হিব্রু ও পরে লেডিন প্রার্থিত। তারা যেভি এর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উদযাপন, ধর্মানুষ্ঠান পালন এবং একটি কাবাল্লাহ্গতভাবে যেভি এর রূপান্তর ব্যাখ্যা দাড় করায়। দন্মেহ দলের বিভিন্ন শাখা আছে।

ইযমির যা তুরস্ক গঠিত পরে ইস্মিরলি হয়। প্রথম বিভেদ জেকব কুয়েরিদ, যেভির শেষ স্ত্রীর ভাই দ্বারা প্রতিষ্ঠিত জেকব এর উপদল তৈরি করে। কুয়েরিদ যেভি পুনরায় দেহধারণ করেন এবং তার নিজের ডানদিকে যীশুখ্রীষ্ট আছে বলে দাবী করেন। ইস্মিরলি থেকে দ্বিতীয় বিভক্তি ওসমান বাবা হিসেবে তুর্কি পরিচিত বেরিচিয়াহ রুশহ ,সত্যিই যেভি এর আত্মা পরবর্তী পুনরায় দেহধারণ সেই দাবী বলে। কারাকাশি থেকে এই অভিযোগ লিখিত ভাবে অর্জন করে চলেছে এবং কারাকাশি অথবা লেডিন শাখা দন্মেহ অধিকাংশ অনেক কঠিন এবং শাখা বৃদ্ধি দিয়েছেন।

ধর্মপ্রচারকদের প্রথম অংশ পোল্যান্ডে সক্রিয় ছিল ১৮শ শতাব্দীতে এবং জেকব ফ্রাঙ্ক , রুশহ এর আত্মা কথিত উত্তরাধিকারী শেখানোর প্রতিফল। ফ্রাঙ্ক উপদল পূর্ব ইউরোপের অন্য দন্মেহ দল তৈরি করতে গিয়েছিলেন। কোনো পোলিশ বংশদ্ভুত অন্য দল লেচলি, সালনিকা নির্বাসন এর মধ্যে বসবাস করতেন। দন্মেহ তরুণ তুর্কি আন্দোলন অটোমান সাম্রাজ্য যারা আধুনিক বিপ্লবীদের একটি গ্রুপ একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে। ১৯২৩ সালে গ্রীস ও তুরস্ক মধ্যে জনসংখ্যার বিনিময় সময়, সালনিকা দন্মেহ এর মধ্যে হতে কিছু স্বীকৃত করার চেষ্টা করে অ মুসলমানদের শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা এড়ানো হয়েছে।

১৯২২-১৯২৩ সালে তুর্কি প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি পরে, দন্মেহ অতিমাত্রায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠার শক্তি সীমিত করতে এবং সমাজের আধুনিকায়নের চেষ্টা আতাতুরক এর রিপাবলিকান পাশ্চাত্য সংস্কারের সমর্থিত। বিশেষ করে দন্মেহ প্রথম প্রজাতন্ত্র বছরে বিশেষ করে সাধারণ, এবং সালনিকা এর রুমেলি অভিবাসীরা, এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আংশিকভাবে থাকার কারণে তুরস্ক এর উঠতি রিপাবলিক বাণিজ্য, শিল্প, সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ছিল। একটি আকর্ষণীয় ক্ষেত্রে ইল্গায যরলু ২০০০ সালে যেভি পাবলিশার্স প্রতিষ্ঠা এবং একটি ইহুদী হিসেবে স্বীকৃতি চাওয়া একজন দন্মেহ প্রকাশক কিন্তু বেথ ডিন একটি সম্পূর্ণ রূপান্তর ছাড়া তার ইহুদী স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। তিনি পরিবর্তিত হয়েছে দাবি করার পর ইস্রায়েল এবং তার রেজিস্ট্রি দলিল ও সনাক্তকারী ইসলামের থেকে ইহুদীধর্ম পরিবর্তন করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত তার পক্ষে ভোট দেয়।

মতাদর্শ আঠারোটি ধারনাকে কাছাকাছি প্রাথমিকভাবে করে আবর্তিত হয় সতের শতকের দন্মেহ মতাদর্শ। ব্যভিচার এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি সতর্কতামূলক পরিমাপ ব্যাখ্যা করা হয়, যার মধ্যে দশটি আদেশের একটি সংক্ষেপিত সংস্করণ, সম্ভবত সাব্বাতিন্দের এর যৌন ক্রিয়াকলাপ ব্যাখ্যা এর অন্তর্ভুক্ত। অতিরিক্ত আদেশের দন্মেহ এবং ইহুদী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘটতে পারে এমন কথাবার্তাও এই ধরণের সংজ্ঞার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করা হয়। ইন্টারঅ্যাকশন এই আইনের সবচেয়ে মৌলিক ইহুদী বা মুসলিম দের সঙ্গে বিবাহ এড়ানোর জন্য এবং এটা যারা বাইরে উপদল মধ্যে সম্পর্ক পছন্দ ছিল তাদের জন্য কার্যকর করা হয়। এই সত্ত্বেও, তারা গোপনে ইহুদী আইন বিষয়ে দন্মেহ এর মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি যারা ইহুদী , এমনকি রূপান্তরিত ছিল না যারা সাব্বাতিন্দের সঙ্গে তারাও বন্ধন রক্ষা করা।

যতদুর জানা যায় অনুষ্ঠান উদ্বিগ্ন ছিল দন্মেহ, ইহুদী এবং মুসলিম ঐতিহ্য উভয় অনুসরণ অটোমান সমাজের মধ্যে ইন্টিগ্রেশন এর জন্য এক এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্যের মধ্যে নাড়াচাড়া করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য। আপাতদৃষ্টিতে মুসলমান ও গোপনে ইহুদী সাব্বাতিন, দন্মেহ রোজার মত ঐতিহ্যবাহী মুসলিম ছুটি পালন করত কিন্তু ইহুদী বিশ্রামবারে এবং প্রধান ছুটি রাখা পালন করত। অনেক দন্মেহ অনুষ্ঠান হয় কাব্বালার, সাব্বাতিন্দের, ইহুদি প্রথাগত আইন ও সুফিবাদের বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণ। দন্মেহ লিটার্জি উপদল বৃদ্ধি পায় প্রসূত এবং ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে দন্মেহ সাহিত্যের অনেক হিব্রু লেখা ছিল।

পরে উন্নত দল হিসেবে লেডিন বিশিষ্ট ভাষা হিসেবে হিব্রু প্রতিস্থাপিত করে এবং স্বদেশীয় ভাষা শুধুমাত্র রীতিনীতির মূল ভাষা হয়ে ওঠে। দন্মেহর বিভিন্ন অংশগুলো মধ্যে শাখা ছিল, যদিও তাদের সব যেভি ঐশ্বরিক যীশুখ্রীষ্ট যেভি দ্বারা অনুষ্ঠিত এবং তিনি সত্য "আধ্যাত্মিক তওরাত" চেয়ে বাস্তব পার্থিব তওরাত উচ্চতর হিসেবে প্রকাশ করে ছিল। দন্মেহ তৈরি এবং ছুটির যেভি এর জীবন এবং রূপান্তর ও তাদের নিজস্ব ইতিহাস বিভিন্ন তথ্য সংযুক্ত করে পালন করত। কাবাল্লাহ্গতভাবে বুঝতে অন্তত আংশিকভাবে নির্ভর করে দন্মেহ। একইভাবে মুসলিম ও ইহুদী সম্প্রদায়ের অনেক দ্বন্দ্ব হয়েছে যা ঐশ্বরিক এর তিনটি উপায় সংযোগ ছিল তার মধ্যে অন্যতম বিশ্বাস।

অন্যান্য সমসাময়িক ধর্মের বিরোধী সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উৎস দন্মেহ সদস্যদের মধ্যে স্ত্রীদের বিনিময়ের সাধারণ চর্চা ছিল। দন্মেহ এর অনুক্রমের শাখা বিভাগের উপর ভিত্তি করে ছিল। ইস্মিরলি বণিক ক্লাস এবং অনুক্রমের শীর্ষে রাখা হত। কারিগর নিম্ন শ্রেণীর বেশিরভাগ জাকুবি ছিল যখন বেশিরভাগ কারাকাশি পুষিয়ে যেত। প্রতিটি শাখা তার নিজস্ব প্রার্থনা একটি সংগঠিত সম্প্রদায় "কাহাল" বা ধর্মসভা হিসেবে পরিচালিত হত।

একটি ব্যাপক অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক নেটওয়ার্ক শাখার মধ্যে মতাদর্শগত পার্থক্য সত্যেও নিম্নবর্গ দন্মেহ এর জন্য সমর্থন উপলব্ধ করাই ছিল অন্যতম। সৌদি সরকার গুড়িয়ে দিয়েছে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের অবশিষ্ট ঐতিহাসিক নিদর্শন। মসজিদুল হারামেই রয়েছে পবিত্র কাবা ঘর। এই কাবা ঘর মুসলমানদের কিবলা বা এই ঘরের দিকে মুখ করেই মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন। ওয়াহাবি মতবাদে বিশ্বাসী সৌদি কর্তৃপক্ষ সেই স্তম্ভটি গুড়িয়ে দিয়েছে যেখান থেকে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) পবিত্র মে’রাজ বা ঊর্ধ্বাকাশ সফরের প্রাক্কালে মুসলমানদের প্রথম কিবলা বা আলকুদস অভিমুখে রওনা হয়েছিলেন।

সৌদি ওয়াহাবি পুলিশ এই ধ্বংসযজ্ঞকে উৎসব ! হিসেবে পালন করেছে । ওদিকে বিশ্বনবী (সা.)'র মে’রাজের সঙ্গে সম্পর্কিত বা মুসলমানদের প্রথম কিবলার নিদর্শন তথা আল-আকসা মসজিদও ইসরাইলি দখলদারদের মাধ্যমে হুমকির মুখে রয়েছে। আলকুদস বা জেরুজালেমের ওয়াকফ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল আজিম সালহাব এই ঐতিহাসিক মসজিদের পাশে মাটি খননের ইসরাইলি তৎপরতার বিরুদ্ধে চলতি বছরের প্রথম দিকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন যে, বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ সত্ত্বেও ইসরাইলি খনন কাজ অব্যাহত থাকায় মসজিদটির ভিত্তি হুমকির মুখে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হল বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র মে’রাজের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি ঐতিহাসিক নিদর্শনই ভেঙ্গে ফেলার জন্য ইসরাইল ও সৌদি সরকার কেন একইসঙ্গে কাজ করছে? ইহুদীবাদী ইসরাইল কেন এমন কাজ করছে তার উত্তর স্পষ্ট। ইসরাইল ফিলিস্তিন দখলদার হিসেবে ১৩০০ বছরের পুরনো এই ইসলামী ভূখণ্ড থেকে ফিলিস্তিনি জাতির ও ইসলামের সব ঐতিহাসিক নিদর্শন মুছে ফেলতে চায় যাতে এ অঞ্চলে বর্ণবাদী তথা বহিরাগত ইহুদিবাদীদের উপনিবেশ গড়ে তোলা সহজ হয়।

এই লক্ষ্য নিয়েই ইহুদিবাদীরা ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল এবং জোর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল মুসলিম, খ্রিস্টান ও এমনকি ফিলিস্তিনি ইহুদীদেরকেও। মে’রাজ সফরে বিশ্বনবী (সা.) হযরত মুসা (আ.) ও ঈসা (আ.)সহ অনেক নবীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন। আর এ থেকে বোঝা যায়, ইসলাম পূর্ববর্তী নবীদের শ্রদ্ধা করে এবং তাঁদের অনুসারীদের অধিকার রক্ষাকেও গুরুত্ব দেয়। একত্ববাদীদের এই একতা, মিল ও সহিষ্ণুতার প্রতীকী বিষয়টি ওয়াহাবি ও ইহুদিবাদীরা সহ্য করতে পারছে না। উল্লেখ্য ইহুদীবাদীরা আল্লাহ বা প্রভুতে বিশ্বাসী বলে দাবি করলেও তাদের অনেকেই নাস্তিক এবং অন্যরা মনে করে প্রভু বা স্রষ্টা কেবল ইহুদীদেরই নিজস্ব প্রভু, বিশ্বের সব মানুষের প্রভু নন! তিনি কেবল ইহুদীদের জন্যই দয়ালু, তিনি ইহুদীদের সাত খুন মাফ করবেন অন্যদের জন্য দয়ালু বা ন্যায়বিচারক নন! তারা তিন হাজার বছর আগের কথিত ধর্মরাজ্যের সম্পদ পুনর্দখলের অজুহাতে ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব কায়েম করেছে।

এই ইহুদীবাদীদের কাছে ইসলামের বিশ্বজনীনতা, সার্বজনীনতা, সহিষ্ণুতা ইত্যাদি ঘৃণ্য বিষয়। তাই ইহুদীবাদীরা মসজিদুল আকসা এবং এর মাধ্যমে ফুটে ওঠা সব মহত বিষয়কে ঘৃণা করবে এটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে সৌদি ওয়াহাবিরাও সহিষ্ণুতা, বিশ্বজনীনতা, বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও আধ্যাত্মিকতার মত বিষয়গুলোকে ঘৃণা করে। উগ্র ওয়াহাবিরা তাদের সমমনা ছাড়া অন্য সব মুসলমানকে ‘কাফির’ মনে করে এবং তাদের হত্যা করাকে বৈধ মনে করে। কিন্তু বাস্তবে সবচেয়ে ভয়ানক অমুসলিমদেরকে তারা সর্বোচ্চ সম্মান দিচ্ছে এবং এমনকি তাদের বিপুল তেল সম্পদের চাবিও তুলে দিয়েছে ওই অমুসলিমদের হাতে।

১৯৭০ সাল থেকে সৌদি তেলের অর্থে স্ফীত হয়েছে পশ্চিমাদের সুদ ভিত্তিক ব্যাংকিং প্রথা। আর এই ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর কর্তৃত্বশীল হল রথচাইল্ড পরিবার, এরা হল ইসরাইলের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭০ সালে হেনরি কিসিঞ্জার সোনার মানদণ্ড-ভিত্তিক ডলারের রথচাইল্ড ফেডারেল রিজার্ভকে সৌদি পেট্রোডলার-ভিত্তিক রিজার্ভে রূপান্তরিত করেন। রুক্ষ ও সংকীর্ণমনা ওয়াহাবিরা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির নিদর্শনগুলোকে মুছে ফেলতে চায় এবং তারা নির্মূল করতে চায় তাদের চিন্তাধারার সঙ্গে একমত নয় এমন সব জনগোষ্ঠীকে। ইসলামের বিরুদ্ধে সৌদি ওয়াহাবিদের এই যুদ্ধের পেছনে কি তাহলে ইহুদিবাদীরাই সক্রিয়? কেউ কেউ বলে থাকেন যে সৌদি রাজ-পরিবার আসলে “দম্নেহ” নামের বিভ্রান্ত ইহুদীবাদী গোষ্ঠীর বংশধর।

এই গোষ্ঠী ভণ্ড ইহুদীবাদী নবী ‘সাব্বাতাই যেভি’ এর অনুসারী। তারা প্রকাশ্যে ইসলামের অনুসারী বলে দাবি করত। কিন্তু তারা বাস্তবে মদ্যপ ও নির্বিচার যৌনাচার বা যৌন অনাচারসহ নানা ঘৃণ্য কাজে অভ্যস্ত ছিল। এই তথ্য যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তার মধ্যে সৌদি প্রিন্স বা রাজপুত্রদের জুয়া খেলার মত বিপুল অর্থ অপচয়ের বিলাসিতার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। অথচ এইসব অর্থের মূল মালিক হল জনগণ।

এ ছাড়াও এর মধ্যেই ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে যে, কেন সৌদি রাজবংশ রথচাইল্ড-ভিত্তিক নতুন বিশ্ব-ব্যবস্থাকে মদদ যোগাচ্ছে। এটাও বোঝা সহজ হবে কেন সৌদিরা ফিলিস্তিনের ওপর ইহুদীবাদীদের দখলদারিত্বকে সহায়তা দিয়েছে। একইসঙ্গে এটাও বোঝা যাবে যে কেন ইহুদীবাদীদের মতই সৌদি ওয়াহাবিরাও ইসলামের সার্বজনীন আধ্যাত্মিক ঐশ্বর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক নিদর্শন বা প্রতীকগুলোকে বুলডজার দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে। ইহুদীবাদীরা কেবল মুসলমানদেরই নয়, অন্যদেরও ঐতিহ্যগুলোকে ধ্বংস করতে চায়। রথচাইল্ডের ইহুদীবাদী লবি আমেরিকার ঐতিহ্যবাহী পরিচিতি ও নৈতিকতার বিরুদ্ধে মিডিয়ার যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে।

তারা আমেরিকার মুদ্রা ও অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারা থেকে বিচ্যুত করেছে এবং আমেরিকার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ওপরও যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। ওরা নানা পদক্ষেপ নিয়ে মার্কিন সংবিধানকে দলিত-মথিত করেছে। তাদের ওইসব পদক্ষেপ বা ততপরতা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল ২০০১ সালের ১১ ই সেপ্টেম্বরের সামরিক অভ্যুত্থান বা ক্যুদেতার মাধ্যমে। অনেকেই মনে করেন কথিত বিশ্ব-ব্যবস্থার পথে সবচেয়ে বড় দুই বাধা হল মুসলিম উম্মাহ ও আমেরিকার মধ্যবিত্ত শ্রেণী। কারণ, মুসলমানরা তাদের ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধগুলোকে খুব শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে রাখতে ভালবাসে।

তারা ইহুদিবাদের বিরোধী ও সুদ প্রথাকে ঘৃণা করেন। অন্যদিকে আমেরিকার মধ্য শ্রেণী এমন এক সুসংগঠিত গ্রুপ যারা বেশ শিক্ষিত ও অর্থনৈতিক শক্তির অধিকারী এবং তারা বিশ্ব মোড়লীপনাকে থামিয়ে দেয়ার জন্য মুক্ত-স্বাধীন থাকার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করেন। তাই কথিত নতুন বিশ্বব্যবস্থার কর্তৃত্ব রুখে দেয়ার জন্য ইহুদীবাদী ও তাদের সৌদি অনুচরদের মোকাবেলায় মার্কিন জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য খুবই জরুরী। । এ ঐক্যের পথে মার্কিন জনগণের ‘ইসলাম-আতঙ্ক’ সবচেয়ে বড় বাধা।

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার মাধ্যমে খুব সুপরিকল্পিতভাবে যে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল তারই ফসল হল এই ইসলাম-আতঙ্ক। তাই কথিত নতুন বিশ্ব-ব্যবস্থাকে মোকাবেলার সবচেয়ে ভাল পথ হল ২০০১ সালের ১১ ই সেপ্টেম্বরের সত্যিকারের রহস্যগুলো তুলে ধরার জন্য কাজ করা।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.