আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভেজালকারীদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক।



আমরা নগদ টাকা দিয়ে বাজার থেকে সদাই কিনি। সঠিক দাম দিয়েই কিনি, বিক্রেতাকে সন্তুষ্ট করেই কিনি। কিন্তু পরবর্তীতে বুঝতে পারি আমাদের ঠকানো হয়েছে। ধরুন আমরা সেগুন কাঠের দাম দিয়ে কড়াই কাঠ পেলাম, আমাদের ফার্নিচারের আয়ু কমে গেল এবং আর্থিকভাবে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। কিন্তূ ভোগ্যপন্যের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি আরও ভয়ংকর।

একে তো আমরা ভেজাল খাবার কিনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম, অপরদিকে ভেজাল খাবার খেয়ে স্ব্ল্পমেয়াদে আমরা অসুস্হ হয়ে পড়ছি এবং দীর্ঘমেয়াদে আমাদের সার্বিক জীবনীশক্তি কমে যাচ্ছে। অসুস্থ হবার ফলে আমাদের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং জীবনীশক্তির ক্ষয়ের ফলে আমরা এই মহার্ঘ, মূল্যবান জীবনকে হূমকির মুখে ফেলছি। খাদ্যে, ওষুধে তথা ভোগ্যপন্যের (consummable goods) ভেজাল এক ধরনের ধীর বিষক্রিয়া (slow poisoning)। এটি একটি পরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদী হত্যাকান্ড। মোবাইল কোর্ট দিয়ে এই সর্বব্যাপী সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় মোটেই।

একমাএ কঠোর আইনই পারে এই দূষ্টচঞের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিতে। একজন ভেজালকারী যখন জানবে যে ভোগ্যপন্যে ভেজাল করলে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত হতে পারে, তখন সে অবশ্যই দ্বিতীয়বার ভাববে এটি করবার আগে। মানুষের এত আয়োজন সুস্হভাবে জীবনকে উপভোগ করবার জন্য, তিলে তিলে মরবার জন্য নয়। তাই আমি প্রস্তাব করছি ভেজালকারীদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হোক। আশা করি এটি গুরুদন্ড হবে না তাঁদের জন্য যারা জেনেশুনে একটি বিশাল জনগোষ্ঠিকে মৃত্যুমুখে নির্দ্বিধায় ঠেলে দেন, নিজেদের আর্থিক মুনাফার জন্য।

আর তা ছাড়াও, এই ভেজালকারীদের বিবেক মৃত। এরা মানুষের পর্যায়ে আর পড়ে না। মৃত্যুদন্ডই এদের জন্য উপযুক্ত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।