আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপুমনিদের আর ভাইয়াদের জন্য ঈদ ফ্যাশান (জনরোষের কারনে পোষ্ট কিছুটা পরিবর্তীত করা হয়েছে )

হাউকাউ পার্টি

দিনে দিনে ঈদটা চলেই আসলো প্রায়, আপুমনিদের কেনাকাটার আর ভাইয়াদের পকেটের কি হাল হকিকত? কেনাকাটা পর্ব মনে হচ্ছে মনে হয় সবারই শেষ হয়েছে, এখন সাজুগুজুর প্রস্তুতি চলছে মনে হয়, তাই না? আপুমনিদের সাজুগুজুতে হেল্প করার জন্যই এই ছবি ব্লগ আর কত এক রকমের ড্রেসআপ (শাড়ি) করবে, এবার একটু চেঞ্জ করা যায় কিনা দেখোতো আপুরা তোমাদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন রকমের শাড়ি পড়ার স্টাইল কালেকশন করেছি, দেখো তো কে কোন ভাবে পরবে......... প্রাচীন আমলের স্টাইল দিয়েই শুরু করা যাক........ ঈদের দিন সকালে এটা পড়া যায়, কি বলো? আবার এই ধরণটাও খারাপ না, এটাকে নাকি রবীন্দ্রনাথ স্টাইল বলে..... ঠাকুর বাড়ির মেয়েরা নাকি এভাবেই শাড়ি পড়তো, এই সাজে বড় টিপ পড়া বাধ্যতা মূলক এভাবে লম্বা করে আচল ঘুরিয়ে সামনের দিকে এনে শাড়ি পরলে সেটা গুজ্জু স্টাইলের শাড়ি।একই রকম ভাবে শাড়ি পরে যদি মাথা উপর দিয়ে ছোট করে ঘোমটা দাও আর সমনের দিকে আচলটা ছোট রাখ, মানে কোমরের উপর পর্যন্ত আনো, তাহলেই সেটা হয়ে যাবে গুজরাটি স্টাইল...... পেছন থেকে দেখতে এমন লাগবে দেখতে, আর সামনে থেকে নীচের ছবির মতোন..... কোমরে আচল পেচিয়ে শাড়িটা ধুতির মতো করে পারতে পারো মহারাস্ট্রীয় স্টাইলে...... ঝগড়া ঝটির করার সময় এইভাবে শাড়ি পরলে জন্য মনে হয় বেশ সুবিধা হবে এমন প্যাচ ঘোচ দিয়ে শাড়ি পড়াকে বলে মাদিস্যাসা স্টাইল। এটা হলো মুমতাজ স্টাইল, অনেকটা মাদিস্যাসার মতোই! শাড়ি পড়তে যারা আনাড়ি (যেমন আমি) তারা আউলাঝাউলা করে শাড়ি পরে সেটাকে মুমতাজ বা মাদিস্যাস স্টাইল বলে ভাব নিতে পারো নেপালীরা শাড়ি পরে এমন করে....... এটা শ্রীলংকান স্টাইল, পুরাতন ভাই খেয়াল করেণ এটার নাম ডাবল ড্রাপ, কিভাবে পরতে হয় সেটা এই মডেল জানে তামিলরা এমন করে কুচি ছড়িয়ে দিয়ে শাড়ি পরে... এটা লেহেঙ্গা স্টাইল (নাইজুবিল্লাহ) এইতো গেলো শাড়ি পরা ঝামেলা, এবার দেখে নাও শড়ির আঁচলের ক্যারিকেচার... আশা করি তোমাদের কোন না কোন একটা পছন্দ হবেই, না হলে কিন্তু এবার ভাইদের জন্য কিছু এক্সেপশনাল ডিজাইন! আর কত সেই এ রকমের শার্ট প্যান্ট আর পাঞ্জাবী, এবার একটু ভিন্নতা আনলে কেমন হয়...... এটা কিন্তু খুবই সহজ সরল ডিজাইন, দর্জিরও খরচ হবেনা। নিজেই তৈরি করে নেয়া যাবে। শুধু চারকোনা একটা কাপরের মাঝ খানে মাথার সাইজের কেটে নিলেই চলবে এটা একদম রকিং.... পুরানো প্যান্ট, যেগুলোর নীচটা ছিড়ে গেছে ওটা দিয়েও তৈরি করতে পারনে এই ড্যাশিং প্যান্ট। ফতুয়ার সাথে ম্যাচিং করে একই রং এর টুপি আর পায়াজামাও পড়তে পারেন, বেশ একটা ভিন্ন লুক আসবে তাতে.. এবার আসা যাক সবচেয়ে যে জিনিসটা আপনাদের সবচেয়ে বেশি বের করতে হবে জন সমক্ষে সেই মানিব্যাগের কিছু চমৎকার ডিজাইন দেখে নিন, কোনটা পছন্দ হয়...... এটা গুচির ..... এটা ব্রুবেরীর... এটা প্রাদার.. লক্ষ্য রাখবেন মানিব্যাগ একটু বড় হওয়াই ভালো, কারন এতে করে বেশি টাকা পয়সা রখাতে পারবেন আজ এই পর্যন্তই, ভাল থাকুন সবাই, অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।