ঘুনে খাওয়া হৃদয়টাকে নিয়ে চলতে চলতে আজকাল খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে..
আঁধারের প্রাচুর্যে ঘেরা থৈ থৈ মনের তলানিতে জমে থাকা কষ্ট মিশ্রিত কিছুটা দুঃখবোধের অসহায় বালিকারাশির আড়ালে লুকিয়ে রাখা যন্ত্রণার পাখিরা কুহু কুহু ডাক দিয়ে যায় ক্ষনে ক্ষনে মনে মনে, যা বুকের সমুদ্রে অযথা জোয়ার ডেকে ডেকে আনে অথচ সেই জোয়ারে এক ফোঁটা জলের দেখাও পায় না বহুকালের জল-তেষ্টায় কাতর মনচাতক।
খাঁটি শিমুল তুলোয় তৈরী নরম বালিশের ভিতরে গুড়ি গুড়ি নুড়ি পাথরের ঝাঁক উল্লাসে জেগে ওঠে রাত্রির গভীরতার গর্জন শুনে শুনে, আর সেই গর্জনের পিছু পিছু ছুটে আসা অনুরাগের বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে যায় মনাঞ্চলের সব কিছুকে কষ্টজলের নোনা ঢেউয়ে ভাসিয়ে ভাসিয়ে।
কানের পাশে স্পষ্ট কন্ঠে অবিরাম আবৃত্তি করতে থাকা কবিতাদের নীরব আত্মারা স্লোগানে স্লোগানে হঠাৎ মুখরিত দুখি বাতাসের লাশ কাঁধে বয়ে বয়ে। জীবনের অলস প্রহরগুলোও কেমন উচ্ছ্বসিত শৃঙ্খল ভাঙা আনন্দের মুক্তসুখের উল্লাসে।
জানালার গ্রীল ভেদ করে আসা আকাশের টুকরোটা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় কিছুটা সময়, তখন মনে হয় যেন তুমি এসেছো ফিরে।
বহুদিন তোমার কোমল হাতের স্পর্শ থেকে দূরে থাকা আমি, বহু প্রতিক্ষীত সেই এক টুকরো স্পর্শ পাওয়ার উচ্ছ্বল আকুলতার আনন্দে চিৎকার করে বলে উঠি, তুমি এসেছো!! এসেছো!! এসেছো!! মূহুর্তে দূরাঞ্চলে পালিয়ে যায় জীবনের সমস্ত দুঃখবোধের কর্কশ শব্দমালা, আর পলাতক কষ্টের মৃত্যুর খবর পেয়ে ফিরে এসে ঘিরে ধরে শান্তির শুভ্র সুখপালকের দল। অনাবিল আনন্দের নির্মল সুখের পাখিরা গান গায় সুখি বাগানের পরতে পরতে। চারিদিকে কেবল আলো আর আলো, আঁধারের দেখা নেই বহুদিন.. কোথায় গেছে পালিয়ে, কেউ জানে না, নেই কোন খবর। ইচ্ছেরা ঘুরে বেড়ায় সুখি পৃথিবীর সুখি বাতাসের ডানায় ভর দিয়ে দিয়ে। স্বপ্নের প্রচ্ছদে গান গেয়ে গেয়ে যায় স্বর্গীয় বর্ণমালার দল।
বর্ণীল রঙা প্রজাপতির ঝাঁক উড়ে উড়ে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ গানের সৌরভ ধ্বণি। চারিধারে শোভা পায় স্বর্গালোকের শাশ্বত সুখ। একটা শারসের বিভৎস চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় হঠাৎ, চেয়ে দেখি... "হৃদয়োল্লাসে জাগরিত সুখ সত্যিই আজ দুখের কাফনে বন্দী"।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।