আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথ্য-প্রমাণের অভাবে বাঁধনের শ্লীলতাহানি মামলার তিন আসামি খালাস !!

বৃষ্টি যেরকম আসতে আসতে ফিরে যায়..তেমনি বৃষ্টির মতো আমিও ফিরেছি বহুবার...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের টিএসসিতে থার্টিফার্স্ট নাইটে বস্ত্রহরণের শিকার শাওন আক্তার বাঁধনের সাক্ষ্য গ্রহণ ছাড়াই তাঁর দায়ের করা মামলার বিচার ১০ বছর পর সম্পন্ন হলো। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফজলুল হক রাসেলসহ মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন। খালাস পাওয়া অপর দুই আসামি খান মেজবাউল আলম টুটুল ও চন্দন কুমার ঘোষ ওরফে প্রকাশ। ঘটনার শিকার বাঁধন নিজে বাদী হয়ে মামলা করলেও আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাননি।

বারবার সমন পাঠিয়ে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেও তাঁকে আদালতে হাজির করা যায়নি। এ রায়ের মাধ্যমে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়াই চাঞ্চল্যকর কোনো মামলার বিচার সম্পন্ন হওয়ার নজির সৃষ্টি হলো। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৯৯৯ সালের থার্টিফার্স্ট নাইট উদ্যাপন করতে গিয়ে একদল বখাটের কবলে পড়েন বাঁধন। ওই ঘটনা পরদিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের পর সারা দেশে ধিক্কার ও নিন্দার ঝড় ওঠে। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত বাঁধন কয়েক দিন পর ২০০০ সালের ৬ জানুয়ারি রমনা থানায় একটি মামলা করেন।

ডিবি পুলিশ তদন্ত করে একই বছরের ১৪ মে তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো ফজলুল হক রাসেল, খান মেজবাউল আলম টুটুল ও চন্দন কুমার ঘোষ। ওই ঘটনায় প্রথম দিকে গ্রেপ্তার হওয়া মামুন, মোক্তার হোসেন ও সুব্রত তরফদারকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফজলুল হক রাসেলকে বহিষ্কার করে। মামলাটির বিচার শুরু হয় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।

গত ১০ বছরে এ মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়। তবে মামলার বাদী বাঁধন নিজে আদালতে সাক্ষ্য দেননি। সাক্ষ্য দিতে তাঁকে অসংখ্যবার নোটিশ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। কিন্তু তিনি আদালতে যাননি।

মামলাটিতে ২০০৫ সালের ২২ আগস্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের কারণে আবার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়। পরে কয়েকজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত বাঁধনের সাক্ষ্য ছাড়াই ২০০৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বারবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন পেছানো হয়। শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের আইনি বিতর্ক শেষে আদালত গতকাল রায় দিলেন।

Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।