لا إله إلا الله محمد رسول الله
ভাববেননা বানিয়ে বানিয়ে ভূতের গল্প লিখছি ! ভাবলেও করার কিছু নাই ।
ভূতের গল্পগুলো অধিকাংশই বানিয়ে বানিয়ে লিখা কিংবা কারো কারো বাস্তব জীবনের তীব্র ভীতি থেকেই সৃষ্ট । আমি নিজে যদিও এখন ভূত বিশ্বাস করিনা তবুও অন্ধকারে একা একা হাঁটতে গেলে কেমন যেন গা ছমছম করে !
যাক, ইচ্ছে হলে যদি সময় থাকে তবে গল্পটা পড়তে পারেন...
তখন আমি সেভেন-এইটে পড়ি । সন্ধ্যের পর একান্ত অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতামনা । তারপরও মাঝে মাঝে বের হতাম ।
তেমনি একদিন বাসা থেকে বের হলাম, গন্তব্য পাশের বাড়ী । পাঁচ মিনিটের পথ যদি দৌড় দেই ।
তো আমি ঠিক করলাম এক দৌড়ে যাব । ঘটনাক্রমে লোডশেড়িং চলছিল । কিন্তু যেতে হবে ।
কি আর করা ভয়ে ভয়ে দিলাম দৌড়.....রাস্তার দুপাশে ঘন সিম আর লাউয়ের ঝোপ । কিছুদূর গিয়েই আমি ভয়ে জমে গেলাম ! বাপরে সামনে যা দেখলাম তাতেই আমি জায়গায় দাঁড়িয়ে গেলাম, ভয়ে অন্তরাত্মা যেন উড়ে যাবে ! সামনে যাওয়াতো দূরের কথা পিছনে যেতেও যে সাহস দরকার তা আর অবশিষ্ট নাই । ও আচ্ছা কি দেখলাম তা তো বলা হলনা । দেখলাম ঝোপের সামনে ইয়া বড় এক ভূত দাঁড়িয়ে আছে ! মনে হল কাপনের কাপড় পড়ে আছে । দুদিকে দুহাত ছড়িয়ে আর পা দুটা ফাঁকা করে ব্যাটা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ঘাড়ের উপর
মাথা কই ! শুনেছি মাথাছাড়াও নাকি ভূত আছে ।
বুঝেন আমার অবস্হা ।
মনে মনে অনেক দোয়া-কালমা পড়ে শেষ করলাম কিন্তু ব্যাটা যাচ্ছেনা । দাঁড়িয়ে আছিতো আছিই, মনে মনে একটু একটু সাহস সঞ্চার করছি আর এক পা -দুপা করে পিছনে সরে যাচ্ছি । তারপর হঠাৎ পিছন ঘুরে ভৌ করে একটা দৌড় দিলাম কাছেই আরেকটা বাসার দিকে । কখন চিৎকার দিয়েছিলাম বুঝতে পারিনাই ।
আমার চিৎকারে পাশের বাসার খালাম্মা-খালু টর্চ নিয়ে বের হয়ে আসলেন ।
আমার অবস্হা দেখে খালু আমায় জড়িয়ে ধরলেন, তারপর অভয় দিয়ে কি হয়েছে জানতে চাইলেন । আমার মুখ দিয়ে তখন একটি শব্দই বের হচ্ছিল, ভূত..ভুত..ভূত । খালু ব্যাপার বুঝতে পেরে আমায় আবারো অভয় দিয়ে বললেন কিসের ভূত চলতো দেখি । ততক্ষনে আমি সাহস ফিরে পেলাম , খালাম্মা- খালুকে নিয়ে চল্লাম ঘটনা স্হলে ।
কিন্তু ঘটনাস্হলে গিয়ে যা দেখলাম তাতে বড়ই লজ্বা পেলাম ! খালাম্মা- খালু হাসতে হাসতে ভীষম খেতে লাগলেন ! আর আমার অবস্হা নাইবা শুনলেন...আমি হাসব না কাঁদব বুঝবত পারছিলামনা , বোকার মত দাঁড়িয়ে রইলাম । হাহাহাহা....
আসলে হয়েছে কি , খালুর পাজামা-পাঞ্জাবী ধুয়ে খালাম্মা ঝোপের উপর শুকাতে দিয়েছিলেন কিন্তু ঘরে নিতে ভূলে গিয়েছিলেন । আর ঘটনাক্রমে পাঞ্জাবীর দুহাতা দুদিকে ছড়ানো ছিল এবং ঠিক পাঞ্জাবীর নীচেই পাজামা ছড়ানো ছিল । যাকে অন্ধকারে আমি মাথাছাড়া ভূত ভেবে কি ভয়টাইনা পেয়েছিলাম ! হাহাহাহাহা....হা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।