শেষ বলে কিছু নেই
বিবসনা রাত্রি মেলে ধরে হাত; আমি কামনার পাত্র উপুড় করে করতলে ঢেলে দি অবশিষ্ট স্বপ্নজল; রাত পান করে আকণ্ঠ, আর আমি নিঃস্ব হতে থাকি; অথচ রক্ত-কুসুম-রৌদ্রের নিশানা এখনও বিস্তর তফাৎ... হে ঘুম-বণিক, নোনা-বাতাসে তোমার অশরীরী ইস্টিমার হাঁকাতে হবে এখনও কয়েকশ’ নটিক্যাল...
অথচ, কী বেহিসেবী আমি! এর মাঝেই নক্ষত্রদের কাছে ঋণ করে ফেলেছি একটা খাতা-ভরতি আগুন; কবে শোধ দেব আশৈশবের মুগ্ধ রূপকথামালা? অলৌকিক রং মাখানো উড্ডীন ঘুড়ির টানে ঝিম ধরে থাকা বিস্ময়? ওদিকে রাতের ট্রেন গেল; ওর কাছেও ঋণ আছে আমার- ক্রমবিলীয়মান শব্দের বিভা-মাধুরি ধার করেছিলাম এক বিকেলে; উৎসব শেষে ভেঙে যাওয়া আড়ঙের গা ঘেষে বুড়ো কাবলীওয়ালার মত খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে গেল; পটভুমিতে রং-রেখায় আঁকা রইল করুণ-সৌন্দর্যের ধাবমান একঝাঁক রেশমী-পালক। যার একটি পালকও আমি ফিরিয়ে দিতে পারব না;
ও পাখি, জোৎস্নায় ডানা ধোয়া পাখি, আমি যে পারি না দিতে উজান-উড়াল... রাত মেলে ধরে হাত; আমি নক্ষত্র-দগ্ধ চোখ দুটি খুলে রাখি তার প্রসারিত করতলে... হে রাত্রি, হে বিবসনা, অন্ধত্ব দাও; এই অসহ্য মরবিডিটির রাজ্যে অপরিমেয় ঋণের বোঝা আমি আর বহন করতে পারি না...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।